Ajker Patrika

ধূমপানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে

আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২: ৫৬
ধূমপানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে

খুব শিগগির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে সমাজের জন্য ধূমপানের মতোই ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে মত দিয়েছেন প্রথিতযশা বিশ্লেষক ব্রনউইন উইলিয়ামস। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক ঘোষণা করা নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামসের প্রসঙ্গও টানেন ব্রনউইন। 

অর্থনীতিবিদ ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা বিশ্লেষক ব্রনউইন মত দিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে ধূমপান সম্পর্কে মানুষের মধ্যে যেভাবে নেতিবাচক মনোভাব বিকশিত হয়েছে, ঠিক সেই পথেই এগোচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিষয়টি। 

তিনি বলেন, ‘ধূমপান সর্বত্রই ছিল এবং মানুষ নিজের সন্তান এবং অন্যের সন্তানের সামনেই দেদার ধূমপান করতেন।’ 

উইলিয়ামস জানিয়েছেন, ধূমপানকে একসময় চিকিৎসকেরাও উৎসাহিত করতেন এবং এটিকে একটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে দেখা হতো। ধূমপানকে সমাজ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন এর প্রকৃত প্রভাবগুলো মানুষ উপলব্ধি করতে শুরু করে, তখন ওই গ্রহণের বিষয়টি প্রত্যাহার করা হয়। 

ব্রনউইক যোগ করেন, গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের মেয়রের ঘোষণার মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পর্কে আমাদের যেসব উপলব্ধি হচ্ছে, তাতে এটির ক্ষেত্রে ধূমপানের মতোই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।

ব্রনউইন বলেন, ‘বিষয়গুলো খুব শিগগির সম্পূর্ণরূপে গ্রহণযোগ্য থেকে সম্পূর্ণ ঘৃণ্য বিষয়ে পরিণত হতে পারে।’ 

গত সপ্তাহে নিউইয়র্কের মেয়র অ্যাডামস জানিয়েছিলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তিনি জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। কারণ, টিকটক, ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো কোম্পানিগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের সংকট বাড়িয়ে তুলছে। 

অ্যাডামস বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে তামাক ও বন্দুকের মতো জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক বিবেচনা করা হবে। 

প্রবণতা বিশ্লেষক ব্রনউইনও মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ফলেই বিষণ্নতা ও আত্মহত্যার হার বেড়ে গেছে। 

আজ শুক্রবার দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু নিউইয়র্ক নয়, সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটির ৪০ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী মনে করেন, এটি আসক্তির উদ্রেক করে। আর তাঁদের মধ্যে অন্তত ৯ শতাংশ স্বীকার করেছেন, তাঁরা পুরোপুরি আসক্ত (অ্যাডিকটেড)। 

সম্প্রতি মেটা, টিকটক, অ্যাক্স, স্ন্যাপসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সিইওকে শিশুদের ক্ষতি করার অভিযোগে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে তলব করা হয়েছিল। শুনানির সময় ক্ষতিগ্রস্ত বাবা-মায়েদের দিকে তাকিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। 

জাকারবার্গ বলেছিলেন, ‘আপনারা যা কিছুর মধ্য দিয়ে গেছেন, এ জন্য আমি দুঃখিত। আপনাদের পরিবার যে ক্ষতির শিকার হয়েছে, এ রকম হওয়া উচিত নয়। এমনটি যেন আর কারও সঙ্গে না হয়, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত