উম্মে শায়লা রুমকী
একেকজন একেকভাবে ঘুমান। কেউ চিত হয়ে, কেউ একপাশ হয়ে আবার কেউ উপুড় হয়ে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত। খেয়াল করলে দেখবেন, অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘাড়ে কিংবা কোমরে ব্যথা অনুভব করছেন। হাত বা পা অবশ, ঝিমঝিম অথবা শরীরের জয়েন্ট শক্ত বোধ হচ্ছে কোনো কোনো দিন। অনেক ক্ষেত্রে এসবের জন্য দায়ী আমাদের ঘুমানোর ভঙ্গি।
যাঁদের ঘাড়, কোমর বা কাঁধে ব্যথা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ঘুমের ভালো ভঙ্গি হলো যেকোনো একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো। মনে রাখা জরুরি, বালিশ যেন ঘাড়ে থাকে। অনেকের ঘুমানোর সময় বালিশে কেবল মাথাই থাকে, ঘাড়ের অংশটুকু ফাঁকা থাকে। ফলে ঘাড়ের মাংসপেশি, লিগামেন্ট টান টান থাকে এবং দীর্ঘ সময় স্ট্রেচে থাকার কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয়। তাই অবশ্যই বালিশ ঘাড়ের নিচে দিতে হবে। কিন্তু কেউ যদি চিত হয়ে ঘুমাতে চান, তাহলে অবশ্যই পায়ের নিচে বালিশ দিতে হবে।
যাঁদের নাক ডাকার রোগ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘুমের ভঙ্গি ঠিক করতে হবে। যেমন কারও যদি অল্প মাত্রার সমস্যা থাকে, তাহলে চিত হয়ে শুতে হবে। আবার যদি বেশি মাত্রার নাক ডাকার সমস্যা হয়, তাহলে কাত হয়ে শুতে হবে। তবে কোনোভাবেই উপুড় হয়ে বা পেটে ভর দিয়ে ঘুমানো যাবে না। এতে করে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যাটি আরও গুরুতর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
আবার যাঁদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, বিশেষ করে বয়স্ক যাঁদের খাওয়ার পর বুক জ্বালাপোড়া করে বা হার্ট বার্ন হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো ভালো। ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে অ্যাসিড আরও বেশি নিঃসরণ হয়। চিত বা উপুড় হয়ে ঘুমালেও গ্যাসের সমস্যা বাড়ে।
গর্ভকালীন সবচেয়ে ভালো হয় বাঁ দিকে কাত হয়ে ঘুমানো। এর ফলে রক্ত চলাচল সহজ হয়, যা গর্ভের শিশু ও মায়ের জন্য জরুরি। এ ক্ষেত্রে দুই হাঁটুর নিচে বালিশ দিতে হবে। একইভাবে পেটের নিচে একটি বালিশ দিয়ে মেরুদণ্ড ঠিক রাখতে হবে। ভালো ঘুমের জন্য বিছানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন, কোমরের ব্যথায় শক্ত বিছানায় ঘুমানো উচিত। আসলে এটি মোটেই ঠিক নয়। বিছানা অবশ্যই আরামদায়ক হতে হবে। খুব বেশি নরম বা শক্ত হওয়া যাবে না। সাধারণভাবে জাজিমের ওপর পাতলা তোশক যথেষ্ট। বিছানার চাদর, বালিশ, তোশক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। মাঝে মাঝে সেগুলো তপ্ত রোদে দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা উচিত।
লেখক: ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি ফিজিওথেরাপি সেন্টার
একেকজন একেকভাবে ঘুমান। কেউ চিত হয়ে, কেউ একপাশ হয়ে আবার কেউ উপুড় হয়ে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত। খেয়াল করলে দেখবেন, অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘাড়ে কিংবা কোমরে ব্যথা অনুভব করছেন। হাত বা পা অবশ, ঝিমঝিম অথবা শরীরের জয়েন্ট শক্ত বোধ হচ্ছে কোনো কোনো দিন। অনেক ক্ষেত্রে এসবের জন্য দায়ী আমাদের ঘুমানোর ভঙ্গি।
যাঁদের ঘাড়, কোমর বা কাঁধে ব্যথা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ঘুমের ভালো ভঙ্গি হলো যেকোনো একদিকে কাত হয়ে ঘুমানো। মনে রাখা জরুরি, বালিশ যেন ঘাড়ে থাকে। অনেকের ঘুমানোর সময় বালিশে কেবল মাথাই থাকে, ঘাড়ের অংশটুকু ফাঁকা থাকে। ফলে ঘাড়ের মাংসপেশি, লিগামেন্ট টান টান থাকে এবং দীর্ঘ সময় স্ট্রেচে থাকার কারণে ঘাড়ে ব্যথা হয়। তাই অবশ্যই বালিশ ঘাড়ের নিচে দিতে হবে। কিন্তু কেউ যদি চিত হয়ে ঘুমাতে চান, তাহলে অবশ্যই পায়ের নিচে বালিশ দিতে হবে।
যাঁদের নাক ডাকার রোগ রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘুমের ভঙ্গি ঠিক করতে হবে। যেমন কারও যদি অল্প মাত্রার সমস্যা থাকে, তাহলে চিত হয়ে শুতে হবে। আবার যদি বেশি মাত্রার নাক ডাকার সমস্যা হয়, তাহলে কাত হয়ে শুতে হবে। তবে কোনোভাবেই উপুড় হয়ে বা পেটে ভর দিয়ে ঘুমানো যাবে না। এতে করে শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং সমস্যাটি আরও গুরুতর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
আবার যাঁদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, বিশেষ করে বয়স্ক যাঁদের খাওয়ার পর বুক জ্বালাপোড়া করে বা হার্ট বার্ন হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো ভালো। ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে অ্যাসিড আরও বেশি নিঃসরণ হয়। চিত বা উপুড় হয়ে ঘুমালেও গ্যাসের সমস্যা বাড়ে।
গর্ভকালীন সবচেয়ে ভালো হয় বাঁ দিকে কাত হয়ে ঘুমানো। এর ফলে রক্ত চলাচল সহজ হয়, যা গর্ভের শিশু ও মায়ের জন্য জরুরি। এ ক্ষেত্রে দুই হাঁটুর নিচে বালিশ দিতে হবে। একইভাবে পেটের নিচে একটি বালিশ দিয়ে মেরুদণ্ড ঠিক রাখতে হবে। ভালো ঘুমের জন্য বিছানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন, কোমরের ব্যথায় শক্ত বিছানায় ঘুমানো উচিত। আসলে এটি মোটেই ঠিক নয়। বিছানা অবশ্যই আরামদায়ক হতে হবে। খুব বেশি নরম বা শক্ত হওয়া যাবে না। সাধারণভাবে জাজিমের ওপর পাতলা তোশক যথেষ্ট। বিছানার চাদর, বালিশ, তোশক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। মাঝে মাঝে সেগুলো তপ্ত রোদে দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা উচিত।
লেখক: ফিজিওথেরাপি পরামর্শক, পিটিআরসি ফিজিওথেরাপি সেন্টার
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ আরও ২৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১১ ঘণ্টা আগেসরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন থেকে তাঁরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন, মোট পাঁচ ঘণ্টার জন্য।
১৩ ঘণ্টা আগেহৃদ্রোগের পর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হলো ব্যায়াম। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ শুধু শক্তি এবং উদ্যমই বাড়ায় না, বরং হৃদ্রোগে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেক্যানসারের চতুর্থ পর্যায়কে জীবনের শেষ ধাপ মনে করা হয়। এ সময় চিকিৎসার ভারে জর্জরিত হন অনেকে। কিন্তু ব্রিটেনের কিংবদন্তি সাইক্লিস্ট স্যার ক্রিস হোয়ে এই ধারণাকে বদলে দিতে চাইলেন ভিন্নভাবে।
২০ ঘণ্টা আগে