Ajker Patrika

হঠাৎ পা মচকে গেলে

ডা. মোহাম্মদ ইফতেখার আলম
হঠাৎ পা মচকে গেলে

যেকোনো আঘাতজনিত, অসাবধানতাবশত বা খেলাধুলায় পা মচকে যেতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পা মচকে রোগী চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর যদি এক্স-রে করে দেখে যে হাড় ভাঙেনি, তখন তারা সেটিকে অবহেলা করে থাকে। এর ফলে রোগী এমন ‘সামান্য পা মচকানো’ থেকে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভুগে থাকে।

করণীয়

  • যেকোনো আঘাতজনিত ব্যথায় তীব্রতা কতখানি তার ওপর নির্ভর করে সেই ব্যথার চিকিৎসা পদ্ধতি।
  • আঘাতের তীব্রতা কম থাকলে প্রাথমিক অবস্থায় আঘাত পাওয়া জায়গায় বরফ বা ঠান্ডা পানি দিতে হবে। এতে আঘাতজনিত ফোলা ও নীলচে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না সহজে।
  • তীব্রতা বা ফোলা যদি বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে পায়ের এক্স-রে করে হাড়ের কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, সেটা নিশ্চিত হতে হবে।
  • দীর্ঘক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে না থেকে ঘুমানোর সময় পায়ের নিচে বালিশ রাখতে হবে।

চিকিৎসা

প্রাথমিকভাবে বরফ দেওয়ার পর যদি পা ফোলা থাকে এবং যদি কোনো ফ্র্যাকচার না-ও পাওয়া যায়, তবু সে ক্ষেত্রে রোগীকে শর্ট লেগ প্লাস্টার করে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। কারণ আমাদের হাড়ের জয়েন্ট তৈরি করার জন্য কিছু লিগামেন্ট থাকে, যা এ ধরনের পা মচকানোর জন্য আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব ক্ষেত্রে রোগীর অবহেলায় প্লাস্টার করে গোড়ালি বিশ্রামে রাখা না গেলে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভোগা ও দীর্ঘদিন পা ফোলা থাকার আশঙ্কা থাকে।

যেকোনো পা মচকানোর ক্ষেত্রে অবহেলা না করে গুরুত্বসহকারে অর্থোপেডিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সঠিকভাবে চিকিৎসার মাধ্যমে, প্রয়োজনবোধে প্লাস্টার করে যথাযথ চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক (অর্থোপেডিক সার্জারি), আদ-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত