ডা. সমীর কুমার সাহা
ঠোঁটের কোণে বা কিনারায় অথবা ঠোঁটের আশপাশে যে গুচ্ছ ফুসকুড়ি ওঠে সেগুলোই জ্বরঠোসা বা জসারি। চিকিৎসা পরিভাষায় সেগুলোকে বলে ফিভার ব্লিস্টার। ফুসকুড়ি ওঠার দুই-তিন দিনের মধ্যে ঘা হয়। ঘা হয়ে ব্যথা হয়। অনেক সময় রসও পড়ে। শীতকালে এই জ্বরঠোসা একটু বেশি দেখা যায়।
জ্বরঠোসা দেখতে যেমন কদাকার, ব্যথাও তেমনি মারাত্মক। সাধারণভাবে মনে করা হয়, ভেতরে ভেতরে বহুদিন শরীর খারাপ গেলে বা জ্বর গেলে জ্বরঠোসা হয়। আসলে তা নয়। ফিভার ব্লিস্টার সংক্রমণের কারণেই জ্বর আসে। তবে হ্যাঁ, জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে। যদি সেই জ্বর অন্য কোনো সংক্রমণের কারণে হয়, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। আবার ভিটামিন সি আর টি-এর অভাবেও এটি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বরঠোসা ছোঁয়াচে। এটি সারতেও সময় লাগে। অনেকে আবার বলেন, ভিটামিনের অভাবেই জ্বরঠোসা হয়। তবে কারণ যা-ই হোক না কেন, বিরক্তিকর, যন্ত্রণাদায়ক এই জ্বরঠোসা দ্রুত সারাতে জেনে নিন কয়েকটি
ঘরোয়া উপায়।
বরফ
জ্বরঠোসা আক্রান্ত জায়গা নখ দিয়ে কোনোভাবেই খুঁটবেন না। টাওয়ালে বরফ নিয়ে পাঁচ মিনিট সেখানে চেপে রাখুন, ব্যথা কমবে। অন্য সংক্রমণের সমস্যাও থাকবে না। এভাবে ১৫ মিনিট করতে হবে। কোনো ব্যথাতেই বরফ সরাসরি লাগাবেন না।
রসুন
প্রতিদিন গরম ভাতে রসুন আর কাঁচা মরিচ ভেজে খান। খেতে পারেন রসুনের আচার কিংবা কাঁচা রসুনও। রসুনের কোয়া বেটে নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগান, ভালো ফল পাবেন।
মধু
মধু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালসমৃদ্ধ। ক্ষত স্থানে দিনে অন্তত দুবার ৫-১০ মিনিট মধু লাগিয়ে রাখুন। জ্বরঠোসা দ্রুত সেরে যাবে।
লেবু
লেবুতে রয়েছে লেমন এসেনশিয়াল অয়েল। ক্ষত স্থানে তুলা দিয়ে চেপে চেপে লাগান। এরপর সেখানে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিন।
টি-ট্রি অয়েল
টি-ট্রি অয়েল মুখ, ত্বক ভালো রাখে। স্নান করে বা মুখ ভালো করে ধুয়ে অ্যান্টি ভাইরাল উপাদানসমৃদ্ধ টি-ট্রি অয়েল তুলোয় নিয়ে দিনে বেশ কয়েকবার জ্বরঠোসায় লাগান। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকিয়ে দ্রুত সেরে উঠবেন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
প্রতিদিন পাতে রাখুন ভিটামিন সি। লেবু বা আমলকীর জুস যেকোনো একটা অবশ্যই পান করুন। যদি প্রতিদিন অ্যাপল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন তাহলেও খুব ভালো। এতে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। আর শরীরও ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।
লেখক: সাবেক নির্বাহী পরিচালক, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
ঠোঁটের কোণে বা কিনারায় অথবা ঠোঁটের আশপাশে যে গুচ্ছ ফুসকুড়ি ওঠে সেগুলোই জ্বরঠোসা বা জসারি। চিকিৎসা পরিভাষায় সেগুলোকে বলে ফিভার ব্লিস্টার। ফুসকুড়ি ওঠার দুই-তিন দিনের মধ্যে ঘা হয়। ঘা হয়ে ব্যথা হয়। অনেক সময় রসও পড়ে। শীতকালে এই জ্বরঠোসা একটু বেশি দেখা যায়।
জ্বরঠোসা দেখতে যেমন কদাকার, ব্যথাও তেমনি মারাত্মক। সাধারণভাবে মনে করা হয়, ভেতরে ভেতরে বহুদিন শরীর খারাপ গেলে বা জ্বর গেলে জ্বরঠোসা হয়। আসলে তা নয়। ফিভার ব্লিস্টার সংক্রমণের কারণেই জ্বর আসে। তবে হ্যাঁ, জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে। যদি সেই জ্বর অন্য কোনো সংক্রমণের কারণে হয়, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। আবার ভিটামিন সি আর টি-এর অভাবেও এটি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, জ্বরঠোসা ছোঁয়াচে। এটি সারতেও সময় লাগে। অনেকে আবার বলেন, ভিটামিনের অভাবেই জ্বরঠোসা হয়। তবে কারণ যা-ই হোক না কেন, বিরক্তিকর, যন্ত্রণাদায়ক এই জ্বরঠোসা দ্রুত সারাতে জেনে নিন কয়েকটি
ঘরোয়া উপায়।
বরফ
জ্বরঠোসা আক্রান্ত জায়গা নখ দিয়ে কোনোভাবেই খুঁটবেন না। টাওয়ালে বরফ নিয়ে পাঁচ মিনিট সেখানে চেপে রাখুন, ব্যথা কমবে। অন্য সংক্রমণের সমস্যাও থাকবে না। এভাবে ১৫ মিনিট করতে হবে। কোনো ব্যথাতেই বরফ সরাসরি লাগাবেন না।
রসুন
প্রতিদিন গরম ভাতে রসুন আর কাঁচা মরিচ ভেজে খান। খেতে পারেন রসুনের আচার কিংবা কাঁচা রসুনও। রসুনের কোয়া বেটে নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগান, ভালো ফল পাবেন।
মধু
মধু অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালসমৃদ্ধ। ক্ষত স্থানে দিনে অন্তত দুবার ৫-১০ মিনিট মধু লাগিয়ে রাখুন। জ্বরঠোসা দ্রুত সেরে যাবে।
লেবু
লেবুতে রয়েছে লেমন এসেনশিয়াল অয়েল। ক্ষত স্থানে তুলা দিয়ে চেপে চেপে লাগান। এরপর সেখানে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিন।
টি-ট্রি অয়েল
টি-ট্রি অয়েল মুখ, ত্বক ভালো রাখে। স্নান করে বা মুখ ভালো করে ধুয়ে অ্যান্টি ভাইরাল উপাদানসমৃদ্ধ টি-ট্রি অয়েল তুলোয় নিয়ে দিনে বেশ কয়েকবার জ্বরঠোসায় লাগান। ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকিয়ে দ্রুত সেরে উঠবেন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
প্রতিদিন পাতে রাখুন ভিটামিন সি। লেবু বা আমলকীর জুস যেকোনো একটা অবশ্যই পান করুন। যদি প্রতিদিন অ্যাপল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন তাহলেও খুব ভালো। এতে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে। আর শরীরও ভেতর থেকে সুস্থ থাকবে।
লেখক: সাবেক নির্বাহী পরিচালক, পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজন চিকিৎসাধীন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ আরও ২৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেসরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন থেকে তাঁরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন, মোট পাঁচ ঘণ্টার জন্য।
৪ ঘণ্টা আগেহৃদ্রোগের পর সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি হলো ব্যায়াম। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ শুধু শক্তি এবং উদ্যমই বাড়ায় না, বরং হৃদ্রোগে মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগেক্যানসারের চতুর্থ পর্যায়কে জীবনের শেষ ধাপ মনে করা হয়। এ সময় চিকিৎসার ভারে জর্জরিত হন অনেকে। কিন্তু ব্রিটেনের কিংবদন্তি সাইক্লিস্ট স্যার ক্রিস হোয়ে এই ধারণাকে বদলে দিতে চাইলেন ভিন্নভাবে।
১২ ঘণ্টা আগে