Ajker Patrika

উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১৬: ৫৬
উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচন

লক্ষ্মীপুরের দুই উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এবং একটি পৌরসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, উত্তাপ ততই বাড়ছে। উঠছে পাল্টাপাল্টি হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ। ইতিমধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নানান অভিযোগে অন্তত ৩৫ জনকে জরিমানা করা হলেও আচরণবিধি লঙ্ঘন থামছে না।

গত সোমবার রাতে রামগঞ্জ উপজেলার স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল ইসলাম সুমনের (মোটরসাইকেল প্রতীক) দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের চণ্ডীপুর বাজার ও পদ্মা বাজারে তাঁর দুটি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে এসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী শামছুল ইসলাম সুমনের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা দুটি কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে।

শামছুল ইসলাম সুমন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. কামাল হোসেনের লোকজন দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ও প্রচার মাইক ভাঙচুর করে। তারা আমার নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মীদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামাল হোসেন দাবি করেন, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুল ইসলাম সুমনের লোকজনই নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে নৌকার সমর্থকদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সমর্থক জড়িত নয়।

রায়পুর উপজেলার তিন ইউপিতে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান এবং দুই উপজেলায় সংরক্ষিত নারী ও পুরুষ পদে ১৬ জন সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হন।

বিএনপি-জামায়াত এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও প্রতিটি ইউপিতে নৌকার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। দুই পক্ষে প্রায়ই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এসব বিষয়ে একে অপরকে দায়ী করছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কিত।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে ভোট হবে ইভিএমে। আগামী ২৮ নভেম্বর এসব ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সোমবার রাতে দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু তাহের জানান, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে লিখিতভাবে এখনো কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেন সবাই নির্বিঘ্নে-নিরাপদে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

টাকা চুরি করতে দেখে ফেলায় দুই খালাকে হত্যা করে কিশোর: ডিবি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত