Ajker Patrika

ভাঙনের ঝুঁকিতে পাঁচ শতাধিক বসতভিটা

বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৪৭
ভাঙনের ঝুঁকিতে পাঁচ শতাধিক বসতভিটা

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নে শাখা যাদুকাটা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে ডালারপাড় ও বাগগাঁও গ্রাম দুটির আবাদি জমি, ফলের বাগান, বাঁশঝাড়, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে ভাঙনকবলিত দুই গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে এই শাখা যাদুকাটা নদীর ভাঙনের আতঙ্কে দুটি গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর এই শাখা নদীটি থেকে বালি ও পাথর তোলার কারণে ২০০৪ সাল থেকে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে দুটি গ্রাম। প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অসংখ্য ঘর বাড়ি ও আবাদি জমি। এত নদীপাড়ের প্রায় ৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। আর ভাঙন হুমকিতে রয়েছে তাঁদের অনেক আবাদি জমি ও বসতভিটা। ইতিমধ্যে গ্রাম দুটির ৩০০ বিঘার বেশি আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে বলে ওই এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন জানিয়েছেন। এই ভাঙনে আবাদি জমি, ফলের বাগান, বাঁশ ঝাড়, জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন লোকজন।

এলাকাবাসী জানান, বন্যায় প্রতি বছর নদী থেকে বালু এসে ফসলি জমিতে পড়ে চাষাবাদের অযোগ্য করে ফেলছে। নদীর ভাঙন এভাবে অব্যাহত থাকলে ২-৩ বছরের মধ্যে দুটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। নদীর এই ভাঙন থেকে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভাঙন কবলিত এলাকাবাসী। নদীপাড়ের মানুষের অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা পরিদর্শনে গিয়ে সান্তনার বাণী শুনিয়েছেন। কিন্তু ভাঙনরোধে কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি আজও।

সরেজমিনে নদীভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘর-বাড়ি রক্ষা করতে অনেকে বাড়ি-ঘর ভেঙে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ঘরবাড়ি আবাদি জমি। নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলোর অনেকেই বাড়ি-ঘর সরিয়ে ফেলছেন নিরাপদ স্থানে। কেটে ফেলছেন মূল্যবান সব গাছ-পালা।

ডালারপাড় গ্রামের বাসিন্দা সালাহ উদ্দিন বলেন, গত কয়েক বছরে ডালারপাড় ও বাগগাঁও গ্রাম দুটি নদীর অব্যাহত ভাঙনে আকারে অর্ধেক হয়ে গেছে। নদীর করাল গ্রাস থেকে কিছু বাদ যাচ্ছে না।

বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘গত বর্ষায় আমি আমার নিজ অর্থায়নে বেশ কিছু জায়গায় বাঁশ, বস্তা দিয়ে নদীভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করেছি।’

বাগগাঁও পুরোনো জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদ আলম বলেন, ইতিমধ্যে নদী গর্ভে চলে গেছে আবাদি জমি, ফলের বাগান বাঁশ ঝাড়, মসজিদসহ স্থায়ী স্থাপনা। এখনো ভাঙনের ঝুঁকিকে রয়েছে এখানকার ৫ শতাধিক পরিবারের বসতভিটা।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘বর্ষাকালে আমাদের কিছু জরুরি কাজ হয়, অস্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ। আমার জানামতে এখানে কোনো স্থায়ী প্রকল্প নেই, তবে আমাদের একটি প্রকল্প আছে সেখানে এটি ধরা আছে কিনা তা আমার দেখতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অরকার আক্রমণে তরুণী প্রশিক্ষকের মৃত্যু, ভাইরাল ভিডিওটি সম্পর্কে যা জানা গেল

জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা ও মামলা প্রত্যাহার

ভারতকে পাকিস্তানি সেনাপ্রধানের পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

প্লট–ফ্ল্যাট বরাদ্দে সচিব, এমপি, মন্ত্রী, বিচারপতিসহ যাঁদের কোটা বাতিল

জর্ডান-মিসরকে নিয়ে বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করতে চান নেতানিয়াহু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত