Ajker Patrika

আ.লীগের অন্তঃকোন্দলে পরাজয়

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ২৭
আ.লীগের অন্তঃকোন্দলে পরাজয়

নির্বাচনে হেরে দলীয় নেতাদের দুষলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী কামরুজ্জামান মান্নান মোল্লা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পান্টি ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজারের নিজ কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন তিনি অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচনে হেরেছেন।

লিখিত বক্তব্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থীর খোলামেলা নির্বাচন করেছেন এবং ভোটের পরেও নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছেন।

কামরুজ্জামান বলেন, ‘নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে নিয়ে নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা–কর্মীদের নৌকার বিরুদ্ধে ভোট চাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। বিষয়টি জানার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করি। এরপরও নেতারা না এসে অনুসারীদের পাঠান।’

পরাজিত নৌকার এ চেয়ারম্যান প্রার্থী আরও বলেন, ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে সুমন ও তাঁর লোকজন সরাসরি মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের চাপ সৃষ্টি করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর নিজেও বিষয়গুলো দেখেছেন এবং নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু তাঁরা কর্ণপাত করেননি।’ তিনি বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আমি পরাজিত হয়েছি। পরাজিত হওয়ার জন্য দায়ী সুমনের বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতাদের জানানো হয়েছে এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশরত্ন শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর বলেন, ‘পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি নির্বাচনে দলের জন্য কোনো ভূমিকায় পালন করেননি। বরং তাঁরা সদস্য ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে দলীয় প্রতীকের পরাজয় নিশ্চিত করেছেন।’ 
পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম আব্দুল্লাহ টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাঁরা ধরেননি।

২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে পান্টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হয়। ভোটে নৌকার প্রার্থীকে ৭১১ ভোটে পরাজিত করেন স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী হাফিজুর রহমান। কামরুজ্জামান পান ৭ হাজার ৬৯৮ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৮ হাজার ৪০৯ ভোট। বিজয়ী হাফিজুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং পান্টি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাখাইনে মানবিক করিডর: জান্তার আপত্তিতে সরকারে দ্বিধা

নারীর প্রতি অবমাননা: হেফাজতকে তিন এনসিপি নেত্রীসহ ৬ নারীর লিগ্যাল নোটিশ

মানবিক করিডরে বাংলাদেশের ফায়দা কী

রোগী দেখতে হবে কমপক্ষে ১০ মিনিট, অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা

সন্ধ্যায় বাজারে গিয়ে নিখোঁজ, ভোরে কালভার্টের নিচে মিলল নারীর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত