Ajker Patrika

ভাঙনে বিলীন বসতবাড়ি

বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ০৫
ভাঙনে বিলীন বসতবাড়ি

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জে হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোন কিছুতেই যেন থামছে না সর্বনাশা আড়িঁয়াল খা নদের ভাঙন। সম্প্রতি ৭টি বসতবাড়ি, মসজিদ, রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ।

গত সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের আরজি কালিকাপুর ও ছোট মীরগঞ্জ এলাকার দক্ষিণ পাশে খানকায়ে সুলতানিয়া নামক একটি মসজিদ, রফিয়াদী সিংহেরকাঠী গ্রামের মনিন্দ বিশ্বাস, আবুল হাসান ও শহিদুল ইসলামের বসত ঘরসহ ৭টি বসতঘর, বিদ্যুতের খুঁটি, মূল্যবান গাছ, বেশ কিছু জমিসহ একাংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

গত দুই সপ্তাহ পূর্বে একটি ইটের রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ইতিমধ্যে আশপাশের বাড়ি ঘরের মালামালসহ ঘর সরিয়ে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন স্থানীরা। গত সোমবার বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মীরগঞ্জ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

ওই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, মীরগঞ্জ লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় লঞ্চঘাটের সড়কের সঙ্গে রাজগুরু ও নতুন চর দুই গ্রামের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় অনেক দিন আগেই। লঞ্চঘাটের সঙ্গে সংযোগ সড়কের কালভার্ট ভেঙে পড়ায় দুই গ্রামের লোকজন এক কিলোমিটার এলাকা ঘুরে লঞ্চঘাটে আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

চাঁদপাশা ইউনিয়নের ময়দানের হাট বাজারের রাস্তার মাথা থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙনের কবলে পরেছে। দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ময়দানের হাট ও আরজি কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভাঙনের কবলে পরতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এখানকার প্রায় ২০টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, পানের বরজ, ফসলি জমি ও বসত ভিটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ছোট মীরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, তার প্রতিষ্ঠান চার বার ভেঙেছে। এবার ভাঙনের কবলে পরলে পথে বসতে হবে। আমরা গ্রামবাসী অস্তিত্ব সংকটে পরতে যাচ্ছি।

রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদ বলেন, প্রতিবছরই নদী ভাঙনে উল্লেখিত এলাকার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। গত বছর ছোট মীরগঞ্জ সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে বাজারটি সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এক বছর পার না হতেই আবার ভাঙনের কবলে পরেছে। ইতিমধ্যে বাজারটির ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্বমিল, মসজিদ, বসতঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

চাঁদপাশা ইউপি চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান সবুজ বলেন, আমার ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের শতাধিক পরিবার ইতিমধ্যে গৃহহীন হয়ে পরেছে। নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে চাঁদপাশা হুমকির মুখে পরবে।

এ ব্যাপারে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ সাংবাদিকদের জানান, ভাঙন থেকে রক্ষার্থে বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৪০ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছিল। বর্তমানে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা মীরগঞ্জ, এয়ারপোর্টের উত্তর অংশ ও বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য একটি ইন্টিগ্রেটর প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ