Ajker Patrika

ব্ল্যাক অস্টল ও তিতির মুরগি পালন

গৌরনদী প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ০৭
ব্ল্যাক অস্টল ও তিতির মুরগি পালন

করোনাকালীন সময়ে ব্ল্যাক অষ্টল ও তিতির মুরগির খামার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাহরিয়ার আদিত্য। তিনি গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ পালরদী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী পুষ্টিবিদ ইলিয়াস বীন শওকতের পুত্র। ব্ল্যাক অষ্টল ও তিতির মুরগিতে অত্যন্ত সুস্বাদ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে গ্রাম পর্যায়ে এর ব্যাপক চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

আদিত্য জানান, দুই বছর আগে গাজিপুরের এক খামার থেকে তিন মাস বয়সের একশত ব্ল্যাক অষ্টল ও একশত তিতির মুরগির বাচ্চা এনে নিজ বাড়িতে খামারটি শুরু করেন। নিজ বাড়ির আঙিনায় খামারটি করে দুই বছরে তার অনেক লাভবান হয়েছে। বর্তমানে তিনি ডিম ফুটানোর মেশিন দিয়ে নিজেই বাচ্চা উৎপাদন করছেন। খামারের পরিধি বাড়ানোর জন্য আরও দুইটি সেট তৈরির কাজ চলছে। তারমতে এ প্রজাতির মুরগি যে কোনো আবহাওয়ায় পালন করা যায়। তিনি দুই প্রজাতির পঞ্চাশটি মুরগিকে কোনো বাণিজ্যিক খাবার না দিয়ে ধান, গম, শুঁটকি মিশ্রিত ভুসি ও ঘাস খাইয়ে পালন করছেন। ডিমের পরিমাণও বেশি আসছে। বর্তমানে খামারে বয়স্ক ও বাবাসহ ৪০০ মুরগি রয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরও ৩০০ বাচ্চা বের হবে।

প্রতিদিন গড়ে দুই শত পিচ ডিম পাচ্ছেন।

তিনি আরও জানান ব্ল্যাক অষ্টল প্রজাতির মুরগিটি অস্ট্রেলিয়ান জাত। এটির ডিম ও মাংসের জন্য পালন করা যায়। ব্ল্যাক অষ্টল প্রায় বারো মাসই ডিম দিয়ে থাকে। একটানা তিন মাস ডিম দেওয়ার পরে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ১০ দিন বিরতি দিয়ে আবার ডিম দেওয়া শুরু করে।

খামার দেখতে আসা সহিদ সরদার জানান, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে তার এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। আমি নিজেও তার থেকে পরামর্শ নিয়ে একটি খামার করার কাজ শুরু করেছি। প্রতিদিন তার খামার দেখতে অনেক লোকই আসে। মুরগি পালন সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ