Ajker Patrika

অর্ধকোটি টাকা নিয়ে এনজিও উধাও

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ১০
অর্ধকোটি টাকা নিয়ে এনজিও উধাও

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় দরিদ্র পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও ‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’ নামের একটি এনজিও। নারী গ্রাহকদের অধিক মুনাফার কথা বলে ওই এনজিওতে টাকার রাখাতে উৎসাহ দেন এনজিও কর্মকর্তারা। টাকা হারিয়ে গ্রাহকেরা দিশেহারা।

গতকাল সোমবার আখাউড়া পৌরশহরের মসজিদ পড়ার (বাইপাস) এলাকায় ‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’ অফিসে ঋণগ্রহীতারা ঋণ নিতে এসে দেখেন অফিস তালাবন্ধ। এ সময় তারা অফিসের সামনে টাকার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা থানায় অবস্থান নেন। ভুয়া এনজিওর খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ।

ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস ধরে ‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’ নামের এনজিওর কয়েক জন মাঠকর্মী ঋণ দেওয়ার নামে পৌর শহরসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রচার শুরু করে। তাঁরা আগ্রহী গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম সঞ্চয় বাবদ ১০ হাজার ২৫০ টাকা করে জমা নেয়।

গতকাল সোমবার ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। সকালে ঋণগ্রহীতারা মসজিদপাড়ার আলেক মিয়ার বাড়িতে ওই এনজিও অফিসে আসেন। কিন্তু অফিস তালাবদ্ধ ছিল। কোনো সাইনবোর্ডও নেই। অফিসের সামনে আগের সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলা হয়ে। বর্তমানে ওই এনজিওর কর্মীরা পলাতক।

উপজেলার গঙ্গাসাগরের ভুক্তভোগী নারী রীনা বেগম, ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামের ফারক ইসলাম, আব্দুর রউফ, নোয়ামুড়ার বকুল বেগম, জ্যোতি আক্তার, রাজাপুরের শরীফা, নয়ন তারা জানান, ‘গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র’ নামের ওই এনজিওর দুজন মাঠকর্মী বাড়িতে আসেন। প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে, এমন কথা বলে ওই গ্রামে একটি কেন্দ্রে ১০ সদস্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। প্রতি সদস্যের কাছ থেকে অগ্রিম সঞ্চয় হিসেবে ১০ হাজার এবং সদস্য ফি বাবদ ২৫০ টাকা করে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী ঋণগ্রহীতারা সুদে, গরু ও স্বর্ণের গয়না বিক্রি করে এনজিও কর্মীদের টাকা পরিশোধ করেন।

আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত