Ajker Patrika

দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত তদন্ত কমিটি গঠন

যশোর প্রতিনিধি
দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত তদন্ত কমিটি গঠন

ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বুধবার বিকেলে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের সই করা পৃথক দুটি অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দুজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং (এফবি) বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম হৃদয় এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ। তাঁরা যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারী।

অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘটিত মারামারির পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে অস্ত্রধারী দুজন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম হৃদয় এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের আসিফ আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপের দায়ে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত চলাকালে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। একই সঙ্গে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্টকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে হলে প্রবেশ ও অবস্থান করতে না দেওয়ার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির তদন্তকাজে সহায়তা করার জন্য তাঁরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবেন।

যবিপ্রবি রেজিস্ট্রারের সই করা আরেকটি অফিস আদেশে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মেহেদী হাসানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. হাফিজ উদ্দিন ও সদস্যসচিব প্রক্টর হাসান মো. আল-ইমরান। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে ডাকাতি হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসানের উদ্দেশে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ডাকাতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী নুরুল আমিন। এ স্ট্যাটাসে ক্ষুব্ধ হন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম শামীম হাসানের ভাগনে এবং বর্তমান যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল ও তাঁর অনুসারীরা।

এ ঘটনার জেরে গত রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কদমতলায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল ও সভাপতি সোহেল রানার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত