Ajker Patrika

নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ১০
নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

নাটোরের সিংড়া চলনবিল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. আনজুমান আরা ও সাবেক সভাপতি মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি নাটোর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই স্কুলের ছয়জন শিক্ষক-কর্মচারী। একই অভিযোগ সিংড়ার পৌর মেয়রসহ বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছেন ওই শিক্ষক-কর্মচারীরা।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিংড়া চলনবিল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক মোছা. আনজুমান আরাকে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করেন ওই ছয়জন শিক্ষক-কর্মচারী। সে সময় প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি কয়েকজনকে নিয়োগপত্র দেন। ১ ফেব্রুয়ারি আবারও তাঁদের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা করে দাবি করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি। আর তাঁদের চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় তাঁদের মৌখিকভাবে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

অভিযোগকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, তিনি ২০১৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। স্কুলটি এমপিওভুক্ত হওয়ার আশায় তাঁরা প্রধান শিক্ষককে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন। এখন হঠাৎ আবার চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় চাকরি নেই বলে মৌখিকভাবে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

অপর শিক্ষক মনির হোসেন বলেন, তিনি ২০১৭ সাল থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং তাঁকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আবার ৭ লাখ টাকা দিতে না পারায় স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁর স্থলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য কাউকে নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন প্রধান শিক্ষক।

এ বিষয়ে সিংড়া চলনবিল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. আনজুমান আরা বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। আর বিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন তা জানতে চাইলে আগামীকাল প্রতিষ্ঠানের খাতা দেখে তিনি জানাবেন বলে জানান।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, সিংড়া চলনবিল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী। সেই অভিযোগপত্রটি জেলা কার্যালয় থেকে তাঁর কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে বিদ্যালয়ে কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত