Ajker Patrika

বহু অভিযোগ নিয়ে গুচ্ছের পরীক্ষা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৪৬
বহু অভিযোগ নিয়ে   গুচ্ছের পরীক্ষা শুরু

হুট করে ফি দ্বিগুণ করা, ইউনিট পরিবর্তনের সুযোগ না রাখা, পছন্দক্রম অনুযায়ী কেন্দ্রে আসন না পড়া, কমসংখ্যক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া, কর্মদিবসে পরীক্ষা–শিক্ষার্থীদের এমন অনেক অভিযোগ, আপত্তি, অসন্তুষ্টি। এসবের মধ্যেই দেশে প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি শুরু হচ্ছে আজ রোববার। প্রথম দিনে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগসহ তিনটি ইউনিটে মোট ২২ হাজার ১৩টি আসন আছে। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী। ‘ক’ ইউনিটে ১ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ জন, ‘খ’ ইউনিটে ৬৭ হাজার ১১৭ জন এবং ‘গ’ ইউনিটে ৩৩ হাজার ৪৩৭ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি আবেদন করেছেন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১১ হাজার ৫৬১ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ৬ হাজার ১২৯ জন এবং বাণিজ্য বিভাগ থেকে ভর্তি হতে পারবে ৩ হাজার ৪৯৫ জন শিক্ষার্থী। আর সমন্বিত বিভাগ থেকে ৭৭০ জন

এরপর পৃষ্ঠা ২ কলাম ৬

শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। সে হিসাবে ‘ক’ ইউনিটে প্রতিটি আসনের জন্য লড়াই করবে ১১ জনের বেশি শিক্ষার্থী।

আজকের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার পর ২৪ অক্টোবর ‘খ’ এবং ১ নভেম্বর ‘গ’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে।

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। এতে মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর। দেশের মোট ২৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রথম থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রতিটি ধাপে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আয়োজক কমিটিকে নানা রকম প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কষ্ট লাঘবের জন্য গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলেও প্রকৃত অর্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা যতটা না শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব করেছে, তার চেয়ে বেশি হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম থেকেই গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে একের পর এক পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত করেছে।

আয়োজক কমিটি প্রথমে চূড়ান্ত আবেদন ফি হিসেবে ৬০০ টাকা ধার্য করলেও হঠাৎ করে তা ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। প্রতি ইউনিটে দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে বলা হলেও আবেদন কম পড়ায় বাণিজ্য এবং মানবিক বিভাগে যারা আবেদন করেছে, সবাইকে চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগের সব আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সুযোগ না দিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ লাখ ৩১ হাজার শিক্ষার্থীকে চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষার জন্য সিলেকশন করা হয়েছে। যার বিরোধিতা করে দীর্ঘ সময় আন্দোলন করেছে বিজ্ঞান বিভাগের চূড়ান্ত আবেদনবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। তবে গুচ্ছ কমিটি শিক্ষার্থীদের এ দাবি আমলে নেয়নি।

এদিকে সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কর্মদিবসে পড়ায় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা ভোগান্তিতে পড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রাজধানীর কেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তি বেশি হবে। যদিও কর্মদিবসে পরীক্ষা হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সময় বিষয়ে অধিক সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আয়োজকেরা।

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পরীক্ষার দিন যেন কোনো প্রকার ঝামেলার সৃষ্টি ও যানজট না হয়, এ জন্য আমরা ডিএমপির কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। আশপাশে যতগুলো থানা আছে, আমাদের শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্য বলা হয়েছে। পরীক্ষা ঘিরে কোথাও অপ্রীতিকর কোনো কিছু ঘটলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান বাংলাদেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত