Ajker Patrika

ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে দিশেহারা তারাকান্দার কৃষক

শরিফুল আলম রাসেল, তারাকান্দা
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ০৩
ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে দিশেহারা তারাকান্দার কৃষক

তারাকান্দায় উচ্চফলনশীল ব্রি-২৮ ও ৮১ ধান চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। ধানে নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে তাঁরা এখন দিশেহারা। অধিক খরচ করে বোরো ধান আবাদ করলেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ধান পাচ্ছেন না তাঁরা। এ ধানে চিটার পরিমাণ বেশি হওয়ায় কৃষকেরা লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন। তাঁদের দাবি, শিষ মরা রোগে আক্রান্ত ধানের খড় গবাদিপশুও খেতে চায় না।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে গত বছরের চেয়ে প্রায় ৩০০ হেক্টর কম জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এ বছর ২১ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ব্রি-২৮ ও ৮১ জাতের ধান চাষ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আক্রান্ত ধানের শিষ শুকিয়ে খয়েরি হয়ে চিটায় পরিণত হয়েছে। ব্লাস্ট আক্রান্ত ধানখেত সোনালি ও খয়েরি রং ধারণ করেছে। দূর থেকে পাকা ধান মনে হলেও কাছে গিয়ে দেখা যায়, ধানের শিষে কোনো দানা নেই। কৃষকদের মতে, এ রোগের নাম শিষ মরা। আর কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এটি নেক ব্লাস্ট রোগ।

উপজেলার মাসকান্দা গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ ধান লাগিয়েছিলাম। ২৪ থেকে ২৬ মণ ধান পাওয়া কথা থাকরেও ১০ থেকে ১২ মণ ধান পেতে পারি।’ খেতেই চিটা হয়ে অর্ধেক ধান নষ্ট হয়েছে গেছে বলে জানান তিনি।

কৃষকেরা জানান, তারাকান্দা উপজেলায় কয়েক বছর ধরে উচ্চফলনশীল আগাম জাত ব্রি-২৮ ধান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগে ফসল ঘরে তুলতে অনেক কৃষক এ জাতের ধান রোপণ করেন।

গড়পাড়া গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘৩২ শতাংশ জমিতে ছয় মণ ধান দেওয়ার চুক্তিতে নিয়ে ব্রি-২৮ ধান চাষ করেছি। কিন্তু শিষ মরা রোগে সব ধান চিটা হয়ে গেছে। লাভ তো দূরের কথা, খরচও উঠবে না। জমির মালিক যদি ছাড় না দেন, বাজার থেকে ধান কিনে দিতে হবে তাঁকে।’

রামপুর ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৪৫ শতাংশ জমিতে ৮১ জাতের ধান রোপণ করেছি। আশা করেছিলাম ৩৫ থেকে ৪০ মণ ধান পাব। কিন্তু ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ২০ মণ ধান পাওয়া যেতে পারে।’

চরপাড়া গ্রামের রুবেল নামের এক কৃষক জানান, এ রোগে ধানের শিষের গোড়ায় কালো দাগ হয়। দুদিনের মধ্যে সব শিষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যায়। ওষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না।

এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্রি-২৮ ও ৮১ জাতের ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ বেশি। আমরা কৃষকদের এ জাতের ধান চাষ থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার পরামর্শ দিয়ে আসছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত