Ajker Patrika

মামলা তুলে নিতে চাপ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৫৭
মামলা তুলে নিতে চাপ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে কিশোরী অপহরণের মামলা করে বিপাকে পড়েছে এক পরিবার। ছেলেকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে মামলা তুলে নেওয়াসহ ওই কিশোরীর পরিবারকে নানাভাবে চাপ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

কিশোরীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শহরের কাউতলি এলাকার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা সেলিম রেজা হাবিবের ছেলে তোফায়েল আহমেদ একই এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরী স্কুলে যাওয়া-আসার সময় উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি ওই কিশোরীর বাবা তোফায়েলের পরিবারকে জানালে এতে তিনি ক্ষিপ্ত হন। পরে গত ১৭ আগস্ট দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তোফায়েল ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান।

এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেন কিশোরীর পরিবার। পরে ২০ আগস্ট তোফায়েল ও তাঁর বাবা সেলিম রেজা হাবিব, তিন ভাই জুয়েল, রাসেল ও সেন্টু, চাচি মনজু আরা বেগম এবং চাচাতো ভাই শাকিলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এ মামলায় ১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তোফায়েল ও তাঁর স্বজনেরা। ওই দিন আসামিরা অপহৃত কিশোরীকেও তাঁদের সঙ্গে আদালতে নিয়ে যান। পরে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এ দিকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তোফায়েল ও তাঁর চাচাতো ভাই শাকিল এবং চাচি মনজু আরা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মোতালিব। নিম্ন আদালতে সব আসামি হাজির হলে সবাইকে জামিন দিলেও তোফায়েলকে কারাগারে পাঠান আদালত।

এ দিকে কারাগারে থাকা ছেলেকে রক্ষা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম। অভিযোগ উঠে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে বিষিয়ে তুলেছেন ওই কিশোরী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবন। প্রতিনিয়ত তাঁদের মামলা তুলে নিয়ে আপস করার জন্য হুমকি-ধমকি এবং সামাজিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কিশোরীর বাবা। হুমকির ঘটনায় থানায় জিডিও করা হয়েছে। নানাভাবে বাদীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার বাদী ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ‘মামলার পর একের পর এক হুমকিতে আছি। সেলিম রেজা হাবিবের ছেলেরা আমাকে হুমকি দিয়ে আসছেন। গত রোববার সকালেও আমার ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে।’

তবে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা হাবিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার ছেলে এখনো জেলহাজতে আছে। এ সময়ে আপস মীমাংসার জন্য চাপ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মুত্তালিব জানান, আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ২২ ধারা জবানবন্দি ও তদন্ত অনুযায়ী যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তাদের চার্জশিটে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত