Ajker Patrika

৩০ শতাংশ ছাত্রীর বাল্যবিবাহ

খালিদ হাসান, শিবগঞ্জ (বগুড়া)
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ২৮
৩০ শতাংশ ছাত্রীর বাল্যবিবাহ

দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় স্কুল-মাদ্রাসা বন্ধ থাকার পর বগুড়ার শিবগঞ্জের শিক্ষার্থীর অনেকেই আগ্রহ নিয়ে ক্লাসে ফিরেছে। তবে এ উপজেলায় অধিকাংশ মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা ছাত্রীর বাল্যবিবাহের কারণে উপস্থিতি কমেছে।

কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্কুল বন্ধ থাকায় করোনাকালে বাল্যবিয়ের প্রভাবেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে এ নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান নেই। উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ৫০টি উচ্চবিদ্যালয়, ৪৪টি মাদ্রাসা ও ১৪টি কলেজ রয়েছে।

এর মধ্য, গুজিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৪৫০ শিক্ষার্থীর মধ্যে করোনাকালে ৩১ জন ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল হক তোতা। এর মধ্য ষষ্ঠ শ্রেণির চারজন, সপ্তম শ্রেণির চারজন, অষ্টম শ্রেণির তিনজন, নবম শ্রেণির চারজন, দশম শ্রেণির পাঁচজন ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ১১ জন রয়েছে।

বাঘমারা দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ শতাধিক। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় অনুপস্থিতির হার ৩০ শতাংশ। যার মধ্য ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে আর মাদ্রাসায় আসছে না।

শিবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির হার ১৫ শতাংশের বেশি। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাতজনের বাল্যবিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম।

শিবগঞ্জের দাড়িদহ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৬৫৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শুধু নবম ও দশম শ্রেণিতে উপস্থিতি কমেছে ৪০ শতাংশ। প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার রায় বলেন, কোভিডের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অনেককেই বিয়ে দিয়েছেন।

একই উপজেলার মহাস্থান শাহ্ সুলতান বলখি (রহ.) সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। বাল্যবিয়ে হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীর।

এদিকে গত এক বছরে উপজেলায় বাল্যবিয়ের পরিসংখ্যান জানতে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে পারেননি।

শিবগঞ্জ উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন, ‘বাল্যবিয়ে-সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। এটা আমরা সংরক্ষণও করি না।’

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সম্পা জানান, ‘করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও দারিদ্র্যের কারণে বাল্যবিয়ের প্রকোপ বেড়েছিল। খবর পেয়ে আমরা অনেক বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছি। কিন্তু উপজেলায় কতগুলো বাল্যবিয়ে হয়েছে তার কোনো তথ্য নেই আমাদের কাছে। এগুলো মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে থাকতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

এক মাস আগে কলেজে আত্মহত্যার চেষ্টা ইপ্সিতার, ভিডিও ভাইরাল

সারজিস আলমের পোস্ট: সেই সাবরেজিস্ট্রারের অফিসে দুদকের অভিযান

জোহরান মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, চেহারা বাজে ও বুদ্ধি কম: ট্রাম্প

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত