মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
প্রশ্ন: অনেককে ইস্তিখারা করতে শুনি? ইস্তিখারা কী? কখন ও কীভাবে ইস্তিখারা করতে হয়? জানালে উপকৃত হব।
নওরিন আহমেদ, ঢাকা
উত্তর: ইস্তিখারা শব্দের অর্থ কল্যাণ চাওয়া। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার বিশেষ পদ্ধতিকে ইসলামের পরিভাষায় ইস্তিখারা বলে। কোনো বৈধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে ইস্তিখারা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া সুন্নত। (আল বাহরুর রায়েক: ২/৫৫)
ইস্তিখারা কখন করবেন : যখন আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে যাচ্ছেন এবং করবেন কি করবেন না—সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না, অথবা একাধিক কাজের মধ্যে কোনটি করবেন, তা ঠিক করতে পারছেন না, তখন আপনি ইস্তিখারা করবেন।
ইস্তিখারা কীভাবে করবেন: প্রথমে অজু করতে হবে। তারপর ইস্তিখারার নিয়ত করে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে। নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পর সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর সুরা ইখলাস পড়া সুন্নত। (সায়দুল ফাওয়ায়েদ)। নামাজের পর দুই হাত তুলে বিনয়ের সঙ্গে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। দোয়ার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা এবং নবীজির প্রতি দরুদ পাঠ করে হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়তে হবে।
ইস্তিখারার দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي ومعاشِى وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي ومعاشِى وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاصْرِفْهُ عَنّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِي بِهِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্তাখিরুকা বি-ইলমিকা, ওয়া আস্তাকদিরুকা বি-কুদরাতিকা, ওয়াআসআলুকা মিনফাদলিকাল আযিম। ফা-ইন্নাকা তাকদিরু ওয়ালা আকদিরু, ওয়া তা’লামু ওয়া লা আ’লামু, ওয়া আন্তা আল্লামুল গুয়ুব। আল্লাহুম্মা ইন কুন্তা তা’লামু, আন্না হা-যাল আমরা খাইরুনলি, ফিহ-দ্বীনি ওয়া মা’আশি, ওয়া আ-কিবাতি আমরি, ফাকদুরহুলী, ওয়া-ইয়াসসিরহু লি। সুম্মা বা-রিকলি ফিহি। ওয়া ইন কুনতা তা’লামু, আন্না হা-যাল আমরা, শাররুনলি, ফি দ্বীনি ওয়া মা’আশি, ওয়া আ-ক্কিবাতি আমরি, ফাসরিফহু আন্নি, ওয়াসরিফনি আনহু। ওয়াকদুর লিয়াল খাইরা হাইসু কানা। সুম্মা আরদিনি বিহি।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্য চাইছি, আপনার শক্তির সাহায্য চাইছি এবং আপনার মহান অনুগ্রহ চাইছি। আপনি শক্তি ও ক্ষমতার অধিকারী। আমার কোনো ক্ষমতা নেই। আপনি অফুরন্ত জ্ঞানের অধিকারী। আমার কোনো জ্ঞান নেই। আপনি অদৃশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে জ্ঞাত। হে আল্লাহ, আপনি যদি এ কাজটি আমার জন্য দ্বীনের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমার জীবনযাপন ও কাজের পরিণামের দিক থেকে ভালো মনে করেন, তাহলে তা আমার জন্য নির্দিষ্ট করে দিন এবং সহজ করে দিন।
তারপর তাতে আমার জন্য বরকত দান করুন। আর যদি আপনি এ কাজটি আমার জন্য দ্বীনের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমার জীবনযাপন ও কর্মের পরিণামের দিক থেকে ক্ষতিকর মনে করেন, তাহলে আপনি আমার থেকে তা দূরে সরিয়ে দিন এবং আমাকে তা থেকে বিরত রাখুন। আর যেখান থেকেই হোক আপনি আমার জন্য কল্যাণ নির্ধারণ করে দিন ও তার ওপর আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন।’ (তিরমিজি: ৪৮০; ইবনে মাজাহ: ১৩৮০; রিয়াদুস সলিহিন: ৭২২)
‘হা-জাল আমরা’ শব্দটি যখন আসবে, তখন যে কাজটির বিষয়ে ইস্তিখারা করা হচ্ছে, তা মনে মনে রাখতে হবে। এরপর দরুদ পাঠ করে দোয়া শেষ করবেন। (তুহফাতুল আলমায়ি: ২/৩৩৮)
এটুকুই ইস্তিখারার কাজ। এরপর যে সিদ্ধান্তে আপনার মন প্রশান্ত হবে, আল্লাহর ওপর ভরসা করে তা শুরু করবেন।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: অনেককে ইস্তিখারা করতে শুনি? ইস্তিখারা কী? কখন ও কীভাবে ইস্তিখারা করতে হয়? জানালে উপকৃত হব।
নওরিন আহমেদ, ঢাকা
উত্তর: ইস্তিখারা শব্দের অর্থ কল্যাণ চাওয়া। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য চাওয়ার বিশেষ পদ্ধতিকে ইসলামের পরিভাষায় ইস্তিখারা বলে। কোনো বৈধ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে ইস্তিখারা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া সুন্নত। (আল বাহরুর রায়েক: ২/৫৫)
ইস্তিখারা কখন করবেন : যখন আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে যাচ্ছেন এবং করবেন কি করবেন না—সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না, অথবা একাধিক কাজের মধ্যে কোনটি করবেন, তা ঠিক করতে পারছেন না, তখন আপনি ইস্তিখারা করবেন।
ইস্তিখারা কীভাবে করবেন: প্রথমে অজু করতে হবে। তারপর ইস্তিখারার নিয়ত করে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হবে। নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহার পর সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার পর সুরা ইখলাস পড়া সুন্নত। (সায়দুল ফাওয়ায়েদ)। নামাজের পর দুই হাত তুলে বিনয়ের সঙ্গে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে। দোয়ার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা এবং নবীজির প্রতি দরুদ পাঠ করে হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়তে হবে।
ইস্তিখারার দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي ومعاشِى وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي ومعاشِى وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاصْرِفْهُ عَنّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِي بِهِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আস্তাখিরুকা বি-ইলমিকা, ওয়া আস্তাকদিরুকা বি-কুদরাতিকা, ওয়াআসআলুকা মিনফাদলিকাল আযিম। ফা-ইন্নাকা তাকদিরু ওয়ালা আকদিরু, ওয়া তা’লামু ওয়া লা আ’লামু, ওয়া আন্তা আল্লামুল গুয়ুব। আল্লাহুম্মা ইন কুন্তা তা’লামু, আন্না হা-যাল আমরা খাইরুনলি, ফিহ-দ্বীনি ওয়া মা’আশি, ওয়া আ-কিবাতি আমরি, ফাকদুরহুলী, ওয়া-ইয়াসসিরহু লি। সুম্মা বা-রিকলি ফিহি। ওয়া ইন কুনতা তা’লামু, আন্না হা-যাল আমরা, শাররুনলি, ফি দ্বীনি ওয়া মা’আশি, ওয়া আ-ক্কিবাতি আমরি, ফাসরিফহু আন্নি, ওয়াসরিফনি আনহু। ওয়াকদুর লিয়াল খাইরা হাইসু কানা। সুম্মা আরদিনি বিহি।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্য চাইছি, আপনার শক্তির সাহায্য চাইছি এবং আপনার মহান অনুগ্রহ চাইছি। আপনি শক্তি ও ক্ষমতার অধিকারী। আমার কোনো ক্ষমতা নেই। আপনি অফুরন্ত জ্ঞানের অধিকারী। আমার কোনো জ্ঞান নেই। আপনি অদৃশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে জ্ঞাত। হে আল্লাহ, আপনি যদি এ কাজটি আমার জন্য দ্বীনের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমার জীবনযাপন ও কাজের পরিণামের দিক থেকে ভালো মনে করেন, তাহলে তা আমার জন্য নির্দিষ্ট করে দিন এবং সহজ করে দিন।
তারপর তাতে আমার জন্য বরকত দান করুন। আর যদি আপনি এ কাজটি আমার জন্য দ্বীনের দৃষ্টিকোণ থেকে, আমার জীবনযাপন ও কর্মের পরিণামের দিক থেকে ক্ষতিকর মনে করেন, তাহলে আপনি আমার থেকে তা দূরে সরিয়ে দিন এবং আমাকে তা থেকে বিরত রাখুন। আর যেখান থেকেই হোক আপনি আমার জন্য কল্যাণ নির্ধারণ করে দিন ও তার ওপর আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন।’ (তিরমিজি: ৪৮০; ইবনে মাজাহ: ১৩৮০; রিয়াদুস সলিহিন: ৭২২)
‘হা-জাল আমরা’ শব্দটি যখন আসবে, তখন যে কাজটির বিষয়ে ইস্তিখারা করা হচ্ছে, তা মনে মনে রাখতে হবে। এরপর দরুদ পাঠ করে দোয়া শেষ করবেন। (তুহফাতুল আলমায়ি: ২/৩৩৮)
এটুকুই ইস্তিখারার কাজ। এরপর যে সিদ্ধান্তে আপনার মন প্রশান্ত হবে, আল্লাহর ওপর ভরসা করে তা শুরু করবেন।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫