শাহীন রহমান, পাবনা
জেলার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং বেড়া উপজেলার আংশিক (৫টি ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত পাবনা-২ নির্বাচনী আসন। মোট ভোটার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। আসনটিতে আওয়ামী লীগের অবস্থান আগে থেকেই ভালো। অনেক দিন ধরে এই আসন হাতছাড়া বিএনপির।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮ সাল থেকে আসনটি টানা নিজেদের দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ১৯৯১ সাল থেকে গত ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে চারবার আওয়ামী লীগ ও দুবার বিএনপি জয়লাভ করে। এর মধ্যে অবশ্য একবার ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আহমেদ ফিরোজ কবির বিএনপির এ কে এম সেলিম রেজা হাবিবকে হারিয়ে এই আসনে নির্বাচিত হন।
আগামী দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করেছে বড় দলগুলো। এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে অন্য দলগুলোর অস্তিত্ব তেমন নেই। ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, মতবিনিময় সভা করছেন। চাঙা রাখছেন নেতা-কর্মীদের। লক্ষ্য, আসন্ন নির্বাচনেও আসনটি নিজেদের দখলে রাখা।
স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির নির্বাচনী এলাকায় ভালো অবস্থান তৈরি করেছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও যোগাযোগ বেশ ভালো।
সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘জনগণ আবারও নৌকাকে বিজয়ী করবে বলে বিশ্বাস করি। কারণ, এই সরকার ক্ষমতায় এলে মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তা কেউ কখনো করতে পারেনি।’ সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি আবারও প্রার্থী হবেন বলে জানান।
এর বাইরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান উজ্জল বেশ তৎপর। প্রায়ই তিনি এলাকায় দলীয় সব কর্মসূচি পালন করেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে। এ ছাড়া অসহায়, দুস্থ মানুষদের পাশে গিয়ে তাঁদের সাহায্য করছেন। আওয়ামী লীগের একটি অংশ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। তিনিও এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আশিকুর রহমান খান সবুজ, আব্দুল আজিজ খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল মতীন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা খন্দকার জাহাঙ্গীর কবির রানা, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব প্রার্থী হতে পারেন।
এদিকে এখনো নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দোটানায় রয়েছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা শুভেচ্ছাবার্তা, নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ডিজিটাল ব্যানার লাগিয়ে তাঁদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়, তাহলে নিজেদের হারানো আসন ফিরে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বিএনপি। তবে সেটি কতটুকু সম্ভব হবে, নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কারণ, জেলা থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিএনপিতে কোন্দল অনেক।
বিএনপি নির্বাচনে এলে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সাজ্জাদ।
মনোনয়ন বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেন, ‘বিএনপির প্রধান দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই দাবি পূরণের ভিত্তিতে দল যদি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী।’ সে ক্ষেত্রে বিএনপি হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে পারবে বলে বিশ্বাস তাঁর।
জেলার সুজানগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন এবং বেড়া উপজেলার আংশিক (৫টি ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত পাবনা-২ নির্বাচনী আসন। মোট ভোটার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। আসনটিতে আওয়ামী লীগের অবস্থান আগে থেকেই ভালো। অনেক দিন ধরে এই আসন হাতছাড়া বিএনপির।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮ সাল থেকে আসনটি টানা নিজেদের দখলে রেখেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ১৯৯১ সাল থেকে গত ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে চারবার আওয়ামী লীগ ও দুবার বিএনপি জয়লাভ করে। এর মধ্যে অবশ্য একবার ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আহমেদ ফিরোজ কবির বিএনপির এ কে এম সেলিম রেজা হাবিবকে হারিয়ে এই আসনে নির্বাচিত হন।
আগামী দ্বাদশ নির্বাচন ঘিরে প্রস্তুতি শুরু করেছে বড় দলগুলো। এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে অন্য দলগুলোর অস্তিত্ব তেমন নেই। ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এরই মধ্যে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, মতবিনিময় সভা করছেন। চাঙা রাখছেন নেতা-কর্মীদের। লক্ষ্য, আসন্ন নির্বাচনেও আসনটি নিজেদের দখলে রাখা।
স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির নির্বাচনী এলাকায় ভালো অবস্থান তৈরি করেছেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনী এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও যোগাযোগ বেশ ভালো।
সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, ‘জনগণ আবারও নৌকাকে বিজয়ী করবে বলে বিশ্বাস করি। কারণ, এই সরকার ক্ষমতায় এলে মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, তা কেউ কখনো করতে পারেনি।’ সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি আবারও প্রার্থী হবেন বলে জানান।
এর বাইরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান উজ্জল বেশ তৎপর। প্রায়ই তিনি এলাকায় দলীয় সব কর্মসূচি পালন করেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে। এ ছাড়া অসহায়, দুস্থ মানুষদের পাশে গিয়ে তাঁদের সাহায্য করছেন। আওয়ামী লীগের একটি অংশ তাঁর সঙ্গে রয়েছে। তিনিও এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আশিকুর রহমান খান সবুজ, আব্দুল আজিজ খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল মতীন, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা খন্দকার জাহাঙ্গীর কবির রানা, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব প্রার্থী হতে পারেন।
এদিকে এখনো নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দোটানায় রয়েছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা শুভেচ্ছাবার্তা, নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের ডিজিটাল ব্যানার লাগিয়ে তাঁদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়, তাহলে নিজেদের হারানো আসন ফিরে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বিএনপি। তবে সেটি কতটুকু সম্ভব হবে, নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কারণ, জেলা থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিএনপিতে কোন্দল অনেক।
বিএনপি নির্বাচনে এলে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সাজ্জাদ।
মনোনয়ন বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন বলেন, ‘বিএনপির প্রধান দাবি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই দাবি পূরণের ভিত্তিতে দল যদি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমি মনোনয়নপ্রত্যাশী।’ সে ক্ষেত্রে বিএনপি হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে পারবে বলে বিশ্বাস তাঁর।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪