হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকার কয়েক শ একর ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, দুটি কলাবাগানসহ অনেক স্থাপনা গত দুই সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ঝিটকা-গোপীনাথপুর-বাল্লা-পাটুরিয়া সড়ক ভাঙনের হুমকিতে আছে। এ ছাড়া হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙনে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ১৩টি মৌজার ১২টি মৌজা বিলীন হয়ে শুধু গৌড়বোরদিয়া মৌজা অবশিষ্ট রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা। অনেকে তিন-চারবার ভাঙনের পর এখন কোর্টকান্দি, মুহম্মদপুর এলাকায় যে বাড়ি করেছেন, তাও এখন ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে।
উপজেলার কোর্টকান্দি গ্রামের বৃদ্ধ হাশেম মল্লিক (৭০) বলেন, ‘এর আগে আরও চারবার গাঙ্গের ভাঙনে ঘরবাড়ি হারায়ে এই গ্রামে আইছি। আর কয়দিন বাঁচপো? মরার আগে এই বাড়িডাতেও মনে হচ্ছে আর থাকবার পারুম না।’
কাঞ্চনপুর ইউপির সাবেক সদস্য কাঞ্চন বলেন, ‘বর্ষার শুরুতে যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে অনেকের বাপ-দাদার ভিটা নদীগর্ভে চলে যাবে। এরপর তাঁরা কোথায় যাবেন!’
কোর্টকান্দি গ্রামের জবেদা বেগম (৫০) বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিন পার করি। ছেলে রিকশা চালায়। এর আগে বাড়ি ভাঙছে, এবার ভাঙলে যামু কই! সরকার যেন ভাঙন ফিরাইতে ব্যবস্থা নেয়।’
আরেক বাসিন্দা ওমর ফকির (৪৭) জানান, ‘সরকার ভাঙন ফিরাইতে স্থায়ী বাঁধ না দিলে সব শ্যাষ হইয়া যাইবো। আমগো মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু থাকপো না।’
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজি বনি ইসলাম রুপক বলেন, ‘কয়েক বছরের অব্যাহত পদ্মার ভাঙনে ১৩টি মৌজার ১২টি মৌজাই পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এখন শুধু গৌড়বোরদিয়া মৌজা অবশিষ্ট রয়েছে। গত দুই বছরে পদ্মার ভাঙনে শত শত বিঘা জমি ও কয়েকশ বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এবার কোর্টকান্দি সবচেয়ে বেশি ভাঙছে। এ ছাড়া মুহম্মদপুর বৌদ্ধকানিতেও পদ্মায় পানি বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাঞ্চনপুর ইউপির চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ‘হরিরামপুরের কাঞ্চনপুর ও গোপীনাথপুরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হরিরামপুরে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করতে পারব।’
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার এলাকার কয়েক শ একর ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, দুটি কলাবাগানসহ অনেক স্থাপনা গত দুই সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ঝিটকা-গোপীনাথপুর-বাল্লা-পাটুরিয়া সড়ক ভাঙনের হুমকিতে আছে। এ ছাড়া হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙনে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ১৩টি মৌজার ১২টি মৌজা বিলীন হয়ে শুধু গৌড়বোরদিয়া মৌজা অবশিষ্ট রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা। অনেকে তিন-চারবার ভাঙনের পর এখন কোর্টকান্দি, মুহম্মদপুর এলাকায় যে বাড়ি করেছেন, তাও এখন ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে।
উপজেলার কোর্টকান্দি গ্রামের বৃদ্ধ হাশেম মল্লিক (৭০) বলেন, ‘এর আগে আরও চারবার গাঙ্গের ভাঙনে ঘরবাড়ি হারায়ে এই গ্রামে আইছি। আর কয়দিন বাঁচপো? মরার আগে এই বাড়িডাতেও মনে হচ্ছে আর থাকবার পারুম না।’
কাঞ্চনপুর ইউপির সাবেক সদস্য কাঞ্চন বলেন, ‘বর্ষার শুরুতে যদি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে অনেকের বাপ-দাদার ভিটা নদীগর্ভে চলে যাবে। এরপর তাঁরা কোথায় যাবেন!’
কোর্টকান্দি গ্রামের জবেদা বেগম (৫০) বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিন পার করি। ছেলে রিকশা চালায়। এর আগে বাড়ি ভাঙছে, এবার ভাঙলে যামু কই! সরকার যেন ভাঙন ফিরাইতে ব্যবস্থা নেয়।’
আরেক বাসিন্দা ওমর ফকির (৪৭) জানান, ‘সরকার ভাঙন ফিরাইতে স্থায়ী বাঁধ না দিলে সব শ্যাষ হইয়া যাইবো। আমগো মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু থাকপো না।’
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজি বনি ইসলাম রুপক বলেন, ‘কয়েক বছরের অব্যাহত পদ্মার ভাঙনে ১৩টি মৌজার ১২টি মৌজাই পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এখন শুধু গৌড়বোরদিয়া মৌজা অবশিষ্ট রয়েছে। গত দুই বছরে পদ্মার ভাঙনে শত শত বিঘা জমি ও কয়েকশ বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এবার কোর্টকান্দি সবচেয়ে বেশি ভাঙছে। এ ছাড়া মুহম্মদপুর বৌদ্ধকানিতেও পদ্মায় পানি বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাঞ্চনপুর ইউপির চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ‘হরিরামপুরের কাঞ্চনপুর ও গোপীনাথপুরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হরিরামপুরে বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করতে পারব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪