মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর—এই তিন মাসে আদালতের নির্দেশে কবর খুঁড়ে তিনটি মরদেহ তোলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আ. বারেক গাজী ও রহিমা খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এবং ইমরান গাজীর মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হয়।
পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দুটি এবং মঠবাড়িয়া থানা-পুলিশ একটি মরদেহ উত্তোলন করে। গত ২৭ অক্টোবর পিরোজপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খাইরুল ইসলাম চৌধুরীর উপস্থিতিতে পিবিআই উপজেলার ভাইজোড়া গ্রামের কৃষক আ. বারেক গাজীর (৬০) মরদেহ, ২৫ নভেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হাসানের উপস্থিতিতে পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার ইমরান গাজীর (২৬) মরদেহ এবং সর্বশেষ ২৩ ডিসেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আফরোজের উপস্থিতিতে মঠবাড়িয়া থানা-পুলিশ উপজেলার চড়কখালী গ্রাম থেকে রহিমা খাতুনের (৬০) মরদেহ উত্তোলন করে। এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রীতম কুমার পাইক ও পিরোজপুর পিবিআই’র পরিদর্শক আহসান কবির ও মঠবাড়িয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. রায়হান আহমেদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাইজোড়া গ্রামের কৃষক আবদুল বারেক গাজী নিজ জমিতে ইরি ধানের বীজ রোপণ করেন। ওই দিন বিকেলে প্রতিবেশী ইউনুস হাওলাদারের বীজতলা থেকে বীজ চুরি হয়। ইউনুস সন্দেহ করেন বারেককে সন্ধ্যায় বাড়িতে ডেকে মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই বারেক গাজী মারা যান। বারেক স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন ইউনুস। ময়নাতদন্ত ছাড়াই কৃষক বারেকের মরদেহ দাফন করতে বাধ্য করেন ইউনুস।
এ ঘটনায় কৃষক বারেক গাজীর ভাই আ. হালিম গাজী বাদী হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার অভিযোগ এনে ইউনুস হাওলাদারকে (৫৫) আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে গত ১১ অক্টোবর দুপুরে মঠবাড়িয়া থানা-পুলিশ পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার আউয়াল শরীফের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে ফ্যান লাগানোর রডের সঙ্গে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান গাজীর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনা তাঁর ভাই আব্দুল্লাহ গাজী বাদী হয়ে ১৮ অক্টোবর ৫ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারিক হাকিম মো. কামরুল আজাদ মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন।
এ ছাড়া উপজেলার চড়কখালীতে রহিমা খাতুনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে রুহুল আমিন বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মঠবাড়িয়া থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।
মামলায় একই বাড়ির আ. খালেক খাঁ (৬০), তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও মেয়ে নোছেফা বেগমের নাম উল্লেখসহ ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
অপরদিকে উপজেলার চড়কখালী গ্রামের আবুল হাসেম হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা খাতুন ৬ নভেম্বর রাতে নিজের রান্নাঘরে আগুনে দগ্ধ হন। এ সময় তার ডাকচিৎকারে ছেলে ও স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দুই দিন পর রহিমা খাতুনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু রহিমার ছেলেরা অসহায় হওয়ায় তাঁরা তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান। এরপর বাড়িতে রহিমার মৃত্যু হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আহসান কবির ও মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক মো. রায়হান আহমেদ সোহেল বলেন, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডাক্তারের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর—এই তিন মাসে আদালতের নির্দেশে কবর খুঁড়ে তিনটি মরদেহ তোলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আ. বারেক গাজী ও রহিমা খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য এবং ইমরান গাজীর মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য তোলা হয়।
পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) দুটি এবং মঠবাড়িয়া থানা-পুলিশ একটি মরদেহ উত্তোলন করে। গত ২৭ অক্টোবর পিরোজপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খাইরুল ইসলাম চৌধুরীর উপস্থিতিতে পিবিআই উপজেলার ভাইজোড়া গ্রামের কৃষক আ. বারেক গাজীর (৬০) মরদেহ, ২৫ নভেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ হাসানের উপস্থিতিতে পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার ইমরান গাজীর (২৬) মরদেহ এবং সর্বশেষ ২৩ ডিসেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আফরোজের উপস্থিতিতে মঠবাড়িয়া থানা-পুলিশ উপজেলার চড়কখালী গ্রাম থেকে রহিমা খাতুনের (৬০) মরদেহ উত্তোলন করে। এ সময় মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রীতম কুমার পাইক ও পিরোজপুর পিবিআই’র পরিদর্শক আহসান কবির ও মঠবাড়িয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. রায়হান আহমেদ সোহেল উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ভাইজোড়া গ্রামের কৃষক আবদুল বারেক গাজী নিজ জমিতে ইরি ধানের বীজ রোপণ করেন। ওই দিন বিকেলে প্রতিবেশী ইউনুস হাওলাদারের বীজতলা থেকে বীজ চুরি হয়। ইউনুস সন্দেহ করেন বারেককে সন্ধ্যায় বাড়িতে ডেকে মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই বারেক গাজী মারা যান। বারেক স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে প্রচার করেন ইউনুস। ময়নাতদন্ত ছাড়াই কৃষক বারেকের মরদেহ দাফন করতে বাধ্য করেন ইউনুস।
এ ঘটনায় কৃষক বারেক গাজীর ভাই আ. হালিম গাজী বাদী হয়ে ৬ সেপ্টেম্বর মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার অভিযোগ এনে ইউনুস হাওলাদারকে (৫৫) আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে গত ১১ অক্টোবর দুপুরে মঠবাড়িয়া থানা-পুলিশ পৌর শহরের সবুজ নগর এলাকার আউয়াল শরীফের নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে ফ্যান লাগানোর রডের সঙ্গে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান গাজীর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনা তাঁর ভাই আব্দুল্লাহ গাজী বাদী হয়ে ১৮ অক্টোবর ৫ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারিক হাকিম মো. কামরুল আজাদ মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন।
এ ছাড়া উপজেলার চড়কখালীতে রহিমা খাতুনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে রুহুল আমিন বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মঠবাড়িয়া থানাকে এফআইআরের নির্দেশ দেন।
মামলায় একই বাড়ির আ. খালেক খাঁ (৬০), তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও মেয়ে নোছেফা বেগমের নাম উল্লেখসহ ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
অপরদিকে উপজেলার চড়কখালী গ্রামের আবুল হাসেম হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা খাতুন ৬ নভেম্বর রাতে নিজের রান্নাঘরে আগুনে দগ্ধ হন। এ সময় তার ডাকচিৎকারে ছেলে ও স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দুই দিন পর রহিমা খাতুনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু রহিমার ছেলেরা অসহায় হওয়ায় তাঁরা তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান। এরপর বাড়িতে রহিমার মৃত্যু হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আহসান কবির ও মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক মো. রায়হান আহমেদ সোহেল বলেন, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডাক্তারের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪