মধুপুর প্রতিনিধি
মধুপুরের পুস্তক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সারা দেশের পাইকারি দোকান ও প্রকাশকদের বই বেচাকেনাসহ সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নিয়ম ভেঙে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে বই বিক্রি করায় তাঁদের এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গত ২৮ দিন ধরে চলা অচলাবস্থার কারণে পাঠসহায়ক বইয়ের সংকট দেখা দিয়েছে উপজেলাজুড়ে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত জেলা শাখার মাধ্যমে উপজেলায় বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। তাঁদের বেঁধে দেওয়া মূল্যে বই বেচাকেনা করা হয়। তাঁদের নিয়ম অনুসরণ করেই মধুপুরের ২৯ পুস্তক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কিন্তু এসব ব্যবসায়ী গত বছরের এপ্রিল থেকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বইয়ের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম মূল্যে বই বিক্রি করছেন। এতে নাখোশ হয়েছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তাঁরা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে উপজেলার পুস্তক ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেন। পরে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়।
পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার আবেদনের প্রেক্ষিতে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল ও সদস্যসচিব কাজী শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মধুপুরের পুস্তক ব্যবসায়ী এবং নাগরপুর ও মির্জাপুরের ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, টাঙ্গাইল জেলা শাখার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির নীতিমালা ভঙ্গ করে ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার সকল পুস্তক ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ লাইব্রেরি কলেজ রোড মির্জাপুর এবং কহিনুর লাইব্রেরি, নাগরপুর, টাঙ্গাইলের সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয়সহ যাবতীয় লেনদেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ওই আদেশের পর শিক্ষক আরশেদ আলী, অভিভাবক শামছুন নাহার, নুরুন্নবীসহ অনেকেই জানিয়েছেন তাঁরা বই সংগ্রহ করতে একাধিকবার দোকানে গিয়েও বই পাননি।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি মধুপুর শাখা সূত্রে জানা গেছে, ‘করোনার কারণে আমরা গত বছরের এপ্রিল থেকে শতকরা ১০-১৫ ভাগ কম মূল্যে বই বিক্রি শুরু করি। এর ফলে আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পুস্তক ব্যবসায়ী জানান, সর্বোচ্চ ভালোমানের একটি উপন্যাস, গল্প বা কাব্যগ্রন্থের গায়ের মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ কম দামে বিক্রি করলেও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি নেই। ২৮ দিন ধরে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। তারা গায়ের মূল্যে বই বিক্রি শুরু করলে এখনই সব নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। কিন্তু তারা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে রাজি না।
এ ব্যাপারে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি মধুপুরের সভাপতি মো. আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা দুর্যোগ বিবেচনায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম দামে বিক্রি করেছি। এ কারণে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারা আমাদের ওপর এক প্রকার মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে। আমরা ব্যবসার মাধ্যমে মানুষের সেবা করতে চাই। আমরা চাই জেলা কমিটির নেতারা মধুপুরের ব্যবসায়ীদের ওপর জারি করা অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসুক।’
পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, মধুপুরের পুস্তক ব্যবসায়ীরা সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাঁরা সংগঠনের বিরুদ্ধাচরণ থেকে সরে এলে অবশ্যই আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিলের বিষয় বিবেচনা করা হবে।
মধুপুরের পুস্তক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সারা দেশের পাইকারি দোকান ও প্রকাশকদের বই বেচাকেনাসহ সব ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নিয়ম ভেঙে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে বই বিক্রি করায় তাঁদের এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গত ২৮ দিন ধরে চলা অচলাবস্থার কারণে পাঠসহায়ক বইয়ের সংকট দেখা দিয়েছে উপজেলাজুড়ে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত জেলা শাখার মাধ্যমে উপজেলায় বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। তাঁদের বেঁধে দেওয়া মূল্যে বই বেচাকেনা করা হয়। তাঁদের নিয়ম অনুসরণ করেই মধুপুরের ২৯ পুস্তক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কিন্তু এসব ব্যবসায়ী গত বছরের এপ্রিল থেকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বইয়ের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম মূল্যে বই বিক্রি করছেন। এতে নাখোশ হয়েছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তাঁরা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে উপজেলার পুস্তক ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেন। পরে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়।
পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার আবেদনের প্রেক্ষিতে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল ও সদস্যসচিব কাজী শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মধুপুরের পুস্তক ব্যবসায়ী এবং নাগরপুর ও মির্জাপুরের ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, টাঙ্গাইল জেলা শাখার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির নীতিমালা ভঙ্গ করে ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার সকল পুস্তক ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ লাইব্রেরি কলেজ রোড মির্জাপুর এবং কহিনুর লাইব্রেরি, নাগরপুর, টাঙ্গাইলের সঙ্গে ক্রয়-বিক্রয়সহ যাবতীয় লেনদেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ওই আদেশের পর শিক্ষক আরশেদ আলী, অভিভাবক শামছুন নাহার, নুরুন্নবীসহ অনেকেই জানিয়েছেন তাঁরা বই সংগ্রহ করতে একাধিকবার দোকানে গিয়েও বই পাননি।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি মধুপুর শাখা সূত্রে জানা গেছে, ‘করোনার কারণে আমরা গত বছরের এপ্রিল থেকে শতকরা ১০-১৫ ভাগ কম মূল্যে বই বিক্রি শুরু করি। এর ফলে আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন পুস্তক ব্যবসায়ী জানান, সর্বোচ্চ ভালোমানের একটি উপন্যাস, গল্প বা কাব্যগ্রন্থের গায়ের মূল্যের চেয়ে ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ কম দামে বিক্রি করলেও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি নেই। ২৮ দিন ধরে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। তারা গায়ের মূল্যে বই বিক্রি শুরু করলে এখনই সব নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। কিন্তু তারা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে রাজি না।
এ ব্যাপারে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি মধুপুরের সভাপতি মো. আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা দুর্যোগ বিবেচনায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম দামে বিক্রি করেছি। এ কারণে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারা আমাদের ওপর এক প্রকার মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে। আমরা ব্যবসার মাধ্যমে মানুষের সেবা করতে চাই। আমরা চাই জেলা কমিটির নেতারা মধুপুরের ব্যবসায়ীদের ওপর জারি করা অধ্যাদেশ প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসুক।’
পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বলেন, মধুপুরের পুস্তক ব্যবসায়ীরা সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার দায়ে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাঁরা সংগঠনের বিরুদ্ধাচরণ থেকে সরে এলে অবশ্যই আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিলের বিষয় বিবেচনা করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪