Ajker Patrika

তদন্ত শেষ পর্যায়ে

অভয়নগর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ১৬
তদন্ত শেষ পর্যায়ে

যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত সদস্য উত্তম সরকার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একে একে সন্দেহভাজন ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

চরমপন্থী এক নেতা, সাবেক এক ইউপি সদস্যও রয়েছেন আটকদের মধ্যে। এ ছাড়া তিনটি গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার এসব আটক ব্যক্তিদের প্রতিবেশী ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে নারাজ। পুলিশ বলছে, একাধিক দল তদন্তে মাঠে রয়েছে। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব শিগগিরই হত্যার রহস্য উন্মোচন করা হবে।

আটক সন্দেহভাজন ৮ জন হলেন উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ছোট সুন্দলী গ্রামের প্রজিৎ কুমার বিশ্বাস ওরফে বুলেট, সাবেক ইউপি সদস্য অর্ধেন্দু মল্লিক, নিহতের কাকা হরিশপুর গ্রামের দীপংকর সরকার, ফুলেরগাতী গ্রামের সঞ্চিত রায়, সুন্দলী গ্রামের অশোক বিশ্বাস, রামসরা গ্রামের দীপংকর মণ্ডল, গাবুখালী গ্রামের সুমন, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া গ্রামের বাদল। এলাকাবাসী ও আটকৃতদের পরিবার সূত্রে নামগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পরের দিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিহত উত্তম সরকারের স্ত্রী শ্রাবন্তী সরকার অভয়নগর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই রাতে অভয়নগর থানা ও যশোর ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করেন। গত বুধবার গভীর রাতে আটক প্রজিৎ কুমার বিশ্বাস ওরফে বুলেটের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সুন্দলী ইউনিয়নের ছোট সুন্দলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে ৩টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

অভয়নগর থানা ও যশোর ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে গুলি উদ্ধার ও সন্দেহভাজন একজনকে আটকের বিষয়ে অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিলন কুমার মণ্ডল জানান, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।’

তবে বিস্তারিত তথ্যের জন্য যশোর জেলা ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন তিনি। এ ব্যাপারে শুক্রবার সকালে যশোর জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপম সরকারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত