Ajker Patrika

আজান দেওয়ার ফজিলত

ইজাজুল হক, ঢাকা
আজান দেওয়ার ফজিলত

ইসলামে আজান দেওয়া এবং মুয়াজ্জিন হওয়ার মর্যাদা অপরিসীম। মানুষকে নামাজের জন্য ডাকার বিনিময়ে তাঁকে জান্নাতের উঁচু স্থান দেওয়া হবে। হাদিসে মুয়াজ্জিনের অসংখ্য ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি ফজিলতের কথা তুলে ধরা হলো—

এক. আজান দেওয়ার সওয়াব সম্পর্কে যদি মানুষের ধারণা থাকত, তবে সবাই আজান দিতে চাইত এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় লটারির আয়োজন করতে হতো। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ যদি জানত, আজান দেওয়া ও নামাজের জন্য প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর কী সওয়াব, তাহলে লটারি করা ছাড়া কোনো উপায় থাকত না। …’ (বুখারি)

দুই. মুয়াজ্জিনকে মুসল্লির চেয়ে বেশি সওয়াব দেওয়া হবে। তবে আজানের জবাব দিলে মুয়াজ্জিনের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যাবে। মহানবী (সা.)-কে এক সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, মুয়াজ্জিনগণ আমাদের চেয়ে বেশি মর্যাদা পাচ্ছেন।’ মহানবী (সা.) জবাবে বললেন, ‘তাঁরা যা বলেন, তুমিও তা বলো এবং যখন আজানের জবাব দেওয়া শেষ হবে তখন আল্লাহর কাছে দোয়া করো, তাহলে তোমাকেও দেওয়া হবে।’ (আবু দাউদ)

তিন. নিষ্ঠার সঙ্গে আজান দিলে বা আজানের জবাব দিলে বিনিময়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, একদিন আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম।

তখন বেলাল দাঁড়িয়ে আজান দিচ্ছিলেন। যখন আজান শেষ করলেন, তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘যে অন্তরে বিশ্বাস নিয়ে এমনটি বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (নাসায়ি)

চার. আজান শুনে যত লোক নামাজ পড়বে, ততজনের সমান সওয়াব মিলবে। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, মুয়াজ্জিনের আওয়াজ যত দূর পর্যন্ত যাবে, তত দূর পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা হবে। তার কল্যাণের জন্য প্রতিটি সজীব-নির্জীব বস্তু সাক্ষ্য দেবে। আজান শুনে যত লোক নামাজ আদায় করবে, মুয়াজ্জিন তাদের সমান নেকি পাবে। …’ (নাসায়ি) 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত