শেখ আবু হাসান, খুলনা
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সারা দেশের মতো খুলনা বিভাগের মানুষের জীবনযাত্রায়ও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম। এ নিয়ে সবচেয়ে বিপদে রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ায় এই শ্রেণির মানুষ এখন আমিষ খেতে পারছে না।
শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। মহানগরী খুলনার ফারাজিপাড়া এলাকার গৃহবধূ তাসলিমা বেগম বলেন, ‘বাজারে গেলেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। চাল, ডাল, তেল, আটা-ময়দা, চিনি, মাছ, মুরগি, ডিম, তরিতরকারিসহ সবকিছুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মাসের বেতনের টাকা ১৮-২০ দিনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাকি দিনগুলো কীভাবে চালবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।’
রূপসা আইচগাতি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক সুধাংশু গাইন বলেন, ‘দাম তো আগেই বেশি ছিল, সরকার জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি করায় সব পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। মানুষের আয় বাড়েনি, বরং কমে যাচ্ছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে পণ্যের দাম যত না বাড়ার কথা, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং পরিবহনমালিকেরা তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে চুষে খাচ্ছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও আমাদের দেশে তা কমানো হয় না। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের ভাড়া ও খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের।
কয়রা উপজেলার দিনমজুর মোসলেম গজী বলেন, ‘কাজকামের জন্যি খুলনে (খুলনা) আসা-যাওয়া করাও দুষ্কর হাইয়ে পড়িছে। কয়রাত্তে খুলনে পর্যন্ত বাসভাড়া ছেলো ১২০-১৩০ টাহা, একন তা হইয়েছে ২২০ টাকা। তেলের দাম বাড়ায় আমরা একন লম্পোও (কুপিবাতি) কোম জ্বালাতিছি। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় একন খাওয়াও কমায় দিছি। আমাগের (আমাদের) যে কী হবে, কিছু বুঝে উঠতি পাচ্ছিনে।’
ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা গ্রামের কৃষক কবির মওলা বলেন, ‘৬১ টাকার ডিজেলের দাম এক বছরে কয়েক দফা বাড়িয়ে এখন ১১৪ টাকা লিটার করা হয়েছে। এক বিঘায় সেচ দিয়ে ধান কত্তি সারা মৌসুমি গড়ে ১০০ লিটার তেল লাগে। বছরে আমার ২ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে। এ ছাড়া এখন ধানের যা দাম হয়ছে, তাতে এক মণ ধান বেইচে দুজন কিষেনের দাম হয় না। তাই ধান বেশি লাগায়ে বিপদে পড়তি চাইনে।’
পাইকগাছার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ‘গত বছর ট্রাক্টর দিয়ে ৪০০ টাকা একরে জমি চষা যাতো। এ হঠাৎ তেলের দাম বাড়ায় তা ৫০০-৬০০ টাকা নেচ্ছে। একন আমরা যাবো কোথায়?’
খুলনা অঞ্চলের কাঁচা তরকারির বড় পাইকারি মোকাম চুকনগর। চুকনগরের সবজি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চুকনগর থেকে খুলনা পর্যন্ত ছোট ট্রাকের ভাড়া আগে ছিল ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা। আগে বড় ট্রাকের ভাড়া ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এখন হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সব ধরনের সবজির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৫ কেজির সব ধরনের চালের বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে সবচেয়ে বিপাকে। মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ায় এই শ্রেণির মানুষ আমিষ খেতে পাচ্ছে না। এতে দেশের একটি বিরাট অংশের মানুষ পুষ্টিহীনতায় পড়বে। এ অবস্থায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের মধ্যে রেশনিং-ব্যবস্থা চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সারা দেশের মতো খুলনা বিভাগের মানুষের জীবনযাত্রায়ও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম। এ নিয়ে সবচেয়ে বিপদে রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ায় এই শ্রেণির মানুষ এখন আমিষ খেতে পারছে না।
শ্রমিক, কৃষক, শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সংসারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। মহানগরী খুলনার ফারাজিপাড়া এলাকার গৃহবধূ তাসলিমা বেগম বলেন, ‘বাজারে গেলেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। চাল, ডাল, তেল, আটা-ময়দা, চিনি, মাছ, মুরগি, ডিম, তরিতরকারিসহ সবকিছুর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। মাসের বেতনের টাকা ১৮-২০ দিনেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাকি দিনগুলো কীভাবে চালবো, কিছুই বুঝতে পারছি না।’
রূপসা আইচগাতি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক সুধাংশু গাইন বলেন, ‘দাম তো আগেই বেশি ছিল, সরকার জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি করায় সব পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। মানুষের আয় বাড়েনি, বরং কমে যাচ্ছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে পণ্যের দাম যত না বাড়ার কথা, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এবং পরিবহনমালিকেরা তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে চুষে খাচ্ছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও আমাদের দেশে তা কমানো হয় না। তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের ভাড়া ও খাদ্যসামগ্রীর দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে শ্রমিক ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের।
কয়রা উপজেলার দিনমজুর মোসলেম গজী বলেন, ‘কাজকামের জন্যি খুলনে (খুলনা) আসা-যাওয়া করাও দুষ্কর হাইয়ে পড়িছে। কয়রাত্তে খুলনে পর্যন্ত বাসভাড়া ছেলো ১২০-১৩০ টাহা, একন তা হইয়েছে ২২০ টাকা। তেলের দাম বাড়ায় আমরা একন লম্পোও (কুপিবাতি) কোম জ্বালাতিছি। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় একন খাওয়াও কমায় দিছি। আমাগের (আমাদের) যে কী হবে, কিছু বুঝে উঠতি পাচ্ছিনে।’
ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা গ্রামের কৃষক কবির মওলা বলেন, ‘৬১ টাকার ডিজেলের দাম এক বছরে কয়েক দফা বাড়িয়ে এখন ১১৪ টাকা লিটার করা হয়েছে। এক বিঘায় সেচ দিয়ে ধান কত্তি সারা মৌসুমি গড়ে ১০০ লিটার তেল লাগে। বছরে আমার ২ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে। এ ছাড়া এখন ধানের যা দাম হয়ছে, তাতে এক মণ ধান বেইচে দুজন কিষেনের দাম হয় না। তাই ধান বেশি লাগায়ে বিপদে পড়তি চাইনে।’
পাইকগাছার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ‘গত বছর ট্রাক্টর দিয়ে ৪০০ টাকা একরে জমি চষা যাতো। এ হঠাৎ তেলের দাম বাড়ায় তা ৫০০-৬০০ টাকা নেচ্ছে। একন আমরা যাবো কোথায়?’
খুলনা অঞ্চলের কাঁচা তরকারির বড় পাইকারি মোকাম চুকনগর। চুকনগরের সবজি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চুকনগর থেকে খুলনা পর্যন্ত ছোট ট্রাকের ভাড়া আগে ছিল ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা। আগে বড় ট্রাকের ভাড়া ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এখন হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সব ধরনের সবজির দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৫ কেজির সব ধরনের চালের বস্তায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে সবচেয়ে বিপাকে। মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ায় এই শ্রেণির মানুষ আমিষ খেতে পাচ্ছে না। এতে দেশের একটি বিরাট অংশের মানুষ পুষ্টিহীনতায় পড়বে। এ অবস্থায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের মধ্যে রেশনিং-ব্যবস্থা চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪