Ajker Patrika

ক্রেতা নেই শীতের কাপড়ের

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৫৯
ক্রেতা নেই শীতের কাপড়ের

‘সন্ধ্যা হলিই কুয়াশা পড়তি থাকি, মাঠে ধানের পাতো লাগাই আতি আতি ঠান্ডায় গা চিনচিন করে। শহরে যাই সদাই কিনতি। দেহি শহরেও ঠান্ডা। তাই পুরান সোয়েটার বের করে পরতেছি। যদিও ছিঁড়ে গেছে তবু গরিব মানুষ এতেই ভরসা করে এই শীত কাটাতি হবি। তবু পুরাতন বিদেশি কাপড় কিনব না। করোনা তো যাইনেই। তাই বাড়ির কাপড়েই চালাই দেব।’

সদরের কাটাখাল এলাকার কৃষক সবুর উদ্দিন নিজের শীতের প্রস্তুতির কথা এভাবেই ব্যক্ত করলেন। অন্যের জমিতে চাষাবাদ করে তাঁর সংসার চলে। শীত মাগুরায় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে তার ভরসা পুরোনো সোয়েটার। নতুন একটা গরম কাপড় কেনার অনীহার কথা জানালেন করোনার জন্য। তাঁর মতো কয়েকজন জানান, বাজারে চাইনিজ কাপড়ে ভরা। করোনার জন্য সেগুলো কিনছেন না।

নভেম্বরের শেষ দিকে মাগুরায় শীত বেড়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে গ্রাম কি শহরে শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে নারী-পুরুষের জবুথবু অবস্থা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে শীত। তীব্রতা চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত। শহরের নানা প্রান্তে গরম কাপড়ের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। নতুন কাপড়ের থেকে পুরোনো কাপড়ে, যেগুলো বিদেশে থেকে আনা সেগুলোতেই ঝোঁক বেশি।

জেলার একমাত্র পুরাতন গরম কাপড় পট্টি এলাকা বলে পরিচিত পোস্ট অফিস সংলগ্ন জায়গাটি। সেখানে সারা বছর কম দামি কাপড়ের দোকান থাকলেও শীতের শুরুতে সব বিক্রেতা পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করেন। গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি দোকান বসেছে প্রধান সড়ক ঘেঁষে। তবে ক্রেতা শূন্য।

পুরাতন গরম কাপড় বিক্রেতা কামাল জানান, শীত ভালোই পড়েছে। এই নভেম্বরে আমাদের ভরা মৌসুম কাপড় বিক্রির। কিন্তু ডিসেম্বর মাস শুরু হলেও ক্রেতা নেই বললে চলে। যারা আসছে তারা দেখে চলে যাচ্ছে।

ব্যবসায়ী জহির জানান, শীত বেড়েছে কিন্তু পুরাতন কাপড় কেনার ক্রেতা পাচ্ছি না। ফলে বেশ কিছু বিনিয়োগ থমকে আছে। এই শীতে যদি গরম কাপড় বিক্রি না হয় তবে জানুয়ারি মাসে তেমন বিক্রি হয় না।

বেবি প্লাজায় নতুন গরম কাপড় কিনতে আসা এক গৃহিণী শরীফা খাতুন জানান, বিদেশি যে কাপড়গুলো পোস্ট অফিসের সামনে বিক্রি হয় সেগুলো বেছে নিলে ভালো কিছু পাওয়া যায়। কয়েক বছর ওখান থেকে কিনেছি। কিন্তু করোনা আসায় আমরা শঙ্কিত। কারণ এসব কাপড় বিদেশে থেকে আসে। কার কি নিয়ে আসে সেটা বলা মুশকিল। তাই দাম বেশি হলেও মার্কেট থেকে নতুন কাপড় কিনতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব গরম কাপড় এ বছরের বিদেশ থেকে আসেনি। গত বছরের কাপড় জাহাজে করে চট্টগ্রামে আসে। এরপর সেখান থেকে পাইকারি লট ধরে তাঁরা কিনে আনেন মাগুরায়। তাই করোনার শঙ্কা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৫ দেশে সফর বাতিল করলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনি

স্ত্রীকে হতে হবে নোরা ফাতেহির মতো, না খাইয়ে রেখে তিন ঘণ্টা করে ব্যায়াম করান স্বামী

বাংলা বলায় কলকাতার মার্কেটে ছুরি, বন্দুকের বাঁট ও হকিস্টিক নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত