মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের মুলাদীতে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। কিন্তু মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের বিশেষ ভিজিডির চালের জন্য কার্ড দেওয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার। যাঁদের চাল দেওয়া হবে না, তাঁদের কী হবে? এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন সাধারণ জেলেরা। চাল না পেয়ে এসব জেলে নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে ইলিশ শিকার করবেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে বঞ্চিত জেলেদের সঙ্গে ভিজিডির সুবিধাভোগী কিছু জেলেও ইলিশ শিকার করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এঁদের সঙ্গে মৌসুমি জেলেরা যুক্ত হয়ে মাছ শিকার করায় গত বছরগুলোতে ইলিশ রক্ষার অভিযান সফল হয়নি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সুবিধাবঞ্চিত জেলেদের কার্ড ও সরকারি সহযোগিতা প্রদানের জন্য নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৫ হাজার ৯০০। এসব জেলে উপজেলার জয়ন্তী, আড়িয়াল খাঁ ও নয়াভাঙনী নদীতে মাছ শিকার করেন।
প্রতিবছর অক্টোবর মাসে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই সময়ে তালিকাভুক্ত জেলেদের প্রত্যেককে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে সরবরাহকৃত কার্ডগুলো ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা জেলেদের দিয়ে থাকেন। চলতি বছর জেলেদের প্রণোদনার জন্য মাত্র ৩ হাজার ৫০০ কার্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২ হাজার ৪০০ জেলে কার্ড ও বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চরকালেখান ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামের কাঞ্চন সিকদার বলেন, ‘আমি নিবন্ধিত জেলে এবং মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু আমাকে সরকারি সুবিধার কোনো কার্ড দেওয়া হয়নি। নিষেধাজ্ঞার সময়ে পরিবারের সদস্যরা কী খেয়ে বাঁচবে? এ ছাড়া যাঁরা প্রকৃত জেলে, তাঁরা মাছ না ধরলেও নদীতে অনেক নৌকা দেখা যায়। নিষেধজ্ঞা দিয়ে মুলাদীতে কোনো লাভ হয় না।’
সফিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী জানান, তাঁর ইউনিয়নে পুরোনো নিবন্ধিত ৬০০ জেলে আছেন। নতুন আরও তিন শতাধিক জেলের তালিকা করা হয়েছে।
এঁদের মধ্যে মাত্র ২৫০-৩০০ জেলে সরকারি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, তাঁর ইউনিয়নে নিবন্ধিত প্রায় ৫২৭ জন জেলে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে কার্ড রয়েছে ৩০৫ জনের।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন বলেন, মৎস্য দপ্তর থেকে জেলেদের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তবে জেলে নিবন্ধন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জেলেকে কার্ড দেওয়া ও সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। সুবিধাবঞ্চিত জেলেদের কার্ড ও সরকারি সহযোগিতা দিতে নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষার জন্য থানা-পুলিশ ও নৌ পুলিশ নিয়ে নদীতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
বরিশালের মুলাদীতে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। কিন্তু মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের বিশেষ ভিজিডির চালের জন্য কার্ড দেওয়া হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার। যাঁদের চাল দেওয়া হবে না, তাঁদের কী হবে? এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন সাধারণ জেলেরা। চাল না পেয়ে এসব জেলে নিষেধাজ্ঞার সময় নদীতে ইলিশ শিকার করবেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে বঞ্চিত জেলেদের সঙ্গে ভিজিডির সুবিধাভোগী কিছু জেলেও ইলিশ শিকার করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এঁদের সঙ্গে মৌসুমি জেলেরা যুক্ত হয়ে মাছ শিকার করায় গত বছরগুলোতে ইলিশ রক্ষার অভিযান সফল হয়নি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সুবিধাবঞ্চিত জেলেদের কার্ড ও সরকারি সহযোগিতা প্রদানের জন্য নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মুলাদী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৫ হাজার ৯০০। এসব জেলে উপজেলার জয়ন্তী, আড়িয়াল খাঁ ও নয়াভাঙনী নদীতে মাছ শিকার করেন।
প্রতিবছর অক্টোবর মাসে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। এই সময়ে তালিকাভুক্ত জেলেদের প্রত্যেককে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে সরবরাহকৃত কার্ডগুলো ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা জেলেদের দিয়ে থাকেন। চলতি বছর জেলেদের প্রণোদনার জন্য মাত্র ৩ হাজার ৫০০ কার্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ২ হাজার ৪০০ জেলে কার্ড ও বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চরকালেখান ইউনিয়নের ভেদুরিয়া গ্রামের কাঞ্চন সিকদার বলেন, ‘আমি নিবন্ধিত জেলে এবং মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু আমাকে সরকারি সুবিধার কোনো কার্ড দেওয়া হয়নি। নিষেধাজ্ঞার সময়ে পরিবারের সদস্যরা কী খেয়ে বাঁচবে? এ ছাড়া যাঁরা প্রকৃত জেলে, তাঁরা মাছ না ধরলেও নদীতে অনেক নৌকা দেখা যায়। নিষেধজ্ঞা দিয়ে মুলাদীতে কোনো লাভ হয় না।’
সফিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী জানান, তাঁর ইউনিয়নে পুরোনো নিবন্ধিত ৬০০ জেলে আছেন। নতুন আরও তিন শতাধিক জেলের তালিকা করা হয়েছে।
এঁদের মধ্যে মাত্র ২৫০-৩০০ জেলে সরকারি সুবিধা পেয়ে থাকেন।
উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, তাঁর ইউনিয়নে নিবন্ধিত প্রায় ৫২৭ জন জেলে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে কার্ড রয়েছে ৩০৫ জনের।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এ এফ এম নাজমুস সালেহীন বলেন, মৎস্য দপ্তর থেকে জেলেদের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তবে জেলে নিবন্ধন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জেলেকে কার্ড দেওয়া ও সরকারি সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। সুবিধাবঞ্চিত জেলেদের কার্ড ও সরকারি সহযোগিতা দিতে নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষার জন্য থানা-পুলিশ ও নৌ পুলিশ নিয়ে নদীতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫