মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েন জেলেরা। গত শনিবার মধ্যরাত থেকেই কক্সবাজারের বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রায় ৭ হাজার ছোট-বড় ট্রলার সাগরে নামানো হয়। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ট্রলার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনার ৬ নম্বর ঘাটে মাছ নিয়ে ভিড়তেও শুরু করেছে। এর বেশির ভাগই ইলিশভর্তি। এসব ট্রলার তিন দিনের প্রস্তুতি নিয়ে সাগরে গেলেও এক-দুই দিনেই ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ভর্তি করে চলে এসেছে।
দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর ঘাট। গতকাল সোমবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে এ ঘাটে। জেলেরা ঘাটে ট্রলার ভিড়াতেই শ্রমিকেরা মাছ খালাসে নেমে পড়ছেন। ইলিশ কিনতে ভিড় করছেন ব্যবসায়ীরা।
সাইফুল ইসলাম (৪৫) একজন পাইকারি ব্যবসায়ী। ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে ইলিশ কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ইলিশের দাম বেশ চড়া। ফেরত তো যাওয়া যাবে না।
কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী জানান, দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ১ কেজির নিচের ইলিশ বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
আক্কাস আলী নামের এক ট্রলার মাঝি বলেন, তাঁরা ১০ জন মাঝি-মাল্লা ৩ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার রাতে রওনা হয়েছিলেন। বঙ্গোপসাগরের ৪০-৪৫ কিলোমিটার দূরে গিয়েই জাল ফেলেন। এতেই ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে তাঁরা ঘাটে ফিরে এসেছেন। মাছ খালাস করে আবারও সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
কয়েকজন জেলে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো থাকলে এবার ভালো মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইলিশের আকারও বেশ বড়।
জেলা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক এহেছানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সাগরে যাওয়ার পরদিন থেকে ট্রলার ঘাটে ভিড়ছে। প্রথম দিন রোববার সাড়ে ১৬ মেট্রিক টন মাছ অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে। দ্বিতীয় দিন সোমবার এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ইলিশ।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির তথ্যমতে, জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফের উপকূলে প্রায় ৭ হাজার ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে লক্ষাধিক মাঝি-মাল্লা রয়েছেন। এর মধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকে। আবার কিছু কিছু এলাকায় উপকূলের কাছাকাছি ইঞ্জিনবিহীন ককশিটের বোটে থাকে দুজন জেলে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সরকার ২০১৯ সাল থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। এর ফলে মাছের উৎপাদন ও আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন সময়ে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় সাময়িকভাবে জেলে ও ট্রলার মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাঁরাই এর সুফল ভোগ করছেন। কারণ, সাগরে এখন ইলিশ ও অন্যান্য মাছ আকারে যেমন বড় হচ্ছে, তেমনি উৎপাদনও বাড়ছে
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েন জেলেরা। গত শনিবার মধ্যরাত থেকেই কক্সবাজারের বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রায় ৭ হাজার ছোট-বড় ট্রলার সাগরে নামানো হয়। এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু ট্রলার শহরের বাঁকখালী নদীর মোহনার ৬ নম্বর ঘাটে মাছ নিয়ে ভিড়তেও শুরু করেছে। এর বেশির ভাগই ইলিশভর্তি। এসব ট্রলার তিন দিনের প্রস্তুতি নিয়ে সাগরে গেলেও এক-দুই দিনেই ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ভর্তি করে চলে এসেছে।
দেশের অন্যতম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কক্সবাজার শহরের ৬ নম্বর ঘাট। গতকাল সোমবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে এ ঘাটে। জেলেরা ঘাটে ট্রলার ভিড়াতেই শ্রমিকেরা মাছ খালাসে নেমে পড়ছেন। ইলিশ কিনতে ভিড় করছেন ব্যবসায়ীরা।
সাইফুল ইসলাম (৪৫) একজন পাইকারি ব্যবসায়ী। ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে ইলিশ কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, ইলিশের দাম বেশ চড়া। ফেরত তো যাওয়া যাবে না।
কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী জানান, দেড় থেকে ২ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এ ছাড়া ১ কেজির নিচের ইলিশ বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।
আক্কাস আলী নামের এক ট্রলার মাঝি বলেন, তাঁরা ১০ জন মাঝি-মাল্লা ৩ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার রাতে রওনা হয়েছিলেন। বঙ্গোপসাগরের ৪০-৪৫ কিলোমিটার দূরে গিয়েই জাল ফেলেন। এতেই ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে তাঁরা ঘাটে ফিরে এসেছেন। মাছ খালাস করে আবারও সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
কয়েকজন জেলে বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো থাকলে এবার ভালো মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইলিশের আকারও বেশ বড়।
জেলা মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক এহেছানুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা সাগরে যাওয়ার পরদিন থেকে ট্রলার ঘাটে ভিড়ছে। প্রথম দিন রোববার সাড়ে ১৬ মেট্রিক টন মাছ অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে। দ্বিতীয় দিন সোমবার এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ইলিশ।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির তথ্যমতে, জেলার কুতুবদিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফের উপকূলে প্রায় ৭ হাজার ছোট-বড় মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে লক্ষাধিক মাঝি-মাল্লা রয়েছেন। এর মধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকে। আবার কিছু কিছু এলাকায় উপকূলের কাছাকাছি ইঞ্জিনবিহীন ককশিটের বোটে থাকে দুজন জেলে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সরকার ২০১৯ সাল থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। এর ফলে মাছের উৎপাদন ও আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন সময়ে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় সাময়িকভাবে জেলে ও ট্রলার মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাঁরাই এর সুফল ভোগ করছেন। কারণ, সাগরে এখন ইলিশ ও অন্যান্য মাছ আকারে যেমন বড় হচ্ছে, তেমনি উৎপাদনও বাড়ছে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫