Ajker Patrika

খাবারের দোকানে চাঁদাবাজি দুই ছাত্রলীগ নেতার

রাবি প্রতিনিধি
খাবারের দোকানে চাঁদাবাজি দুই ছাত্রলীগ নেতার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে এক হোটেল ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অভিযুক্তরা দাবি করা চাঁদা না পেলে দোকান বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেন। ওই সময়ের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুই ছাত্রলীগ নেতা।

চাঁদা দাবি করা ছাত্রলীগ নেতারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ এবং শহীদ হাবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিনহাজুল ইসলাম ওরফে মিনহাজ। জানা গেছে, অভিযুক্ত সোহাগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের এবং মিনহাজ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।

অডিও রেকর্ডে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ দোকানিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ভাইয়ের নাম মিনহাজ। আমার নাম সোহাগ। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক। এই বিষয়টা প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির কনসার্নে আছে। যেহেতু দুই দিক থেকে আইছি, এখন বুঝতে হবে কনসার্নে আছে। যেহেতু ডেট নিছেন...।’ সোহাগ আরও বলেন, ‘এর আগেও আমি আর সাদিক ভাই (শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) একদিন এসেছিলাম। আপনি বললেন যে সমস্যা নাই, মিনহাজ ভাইয়ের সঙ্গে আপনার কথা হয়েছে। আপনি যেহেতু কুলাইতে পারবেন না, তো ডেট নিয়েছেন কেন ১২ তারিখ পর্যন্ত।’ এরপর দোকানিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি দিতে পারব না। আমার যেখান থেকে টাকা পাওয়ার কথা ছিল, সেখান থেকে পাইনি। এখন সেই টাকাটা পেলে দিতে পারতাম।’

কথাবার্তার এ পর্যায়ে সোহাগ বলেন, ‘যেকোনো জায়গা থেকে যা সাপোর্ট লাগে আমরা দেব। আমাদের একটা সম্পর্ক তৈরি হবে। আমরা ভাই-ব্রাদার হয়ে যাব। আপনি আমাদের দেখবেন, আমরা আপনাকে দেখব। এটাই স্বাভাবিক। আপনি আজকে কিছু দেন।’

দোকানিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কি লাখ টাকার ব্যবসা ভাই? পাঁচ টাকার ব্যবসা করতে এসে দশ হাজার টাকা দেওয়া লাগবে। আমি দোকানই বন্ধ করে দেব। ডাইনিংয়ে কাজ করি, ওই কাজই করব।’

এরপর সোহাগ দোকানিকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘কাল যদি দোকান বন্ধ না করেন তাহলে কী হবে?’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দোকানি বলেন, ‘আমার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই নাজুক। কিছুদিন আগে আমার বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। এতে আমার অনেক ধার-দেনা হয়ে গেছে। ফলে দোকানে কাজের লোক রাখতে পারি না। অনেকটা বাধ্য হয়ে নিজের স্ত্রীকে দিয়ে দোকানে কাজ করাতে হচ্ছে। এমন সংকটকালে ছাত্রলীগের কয়েকজন আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে না পারায় তাঁরা অনেক হুমকি-ধমকি দেন। এখন আমি অনেকটা দিশেহারা।’

চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে সোহাগ বলেন, ‘রোজা-রমজানের মাসে আমি কেন চাঁদা চাইতে যাব। সন্ধ্যায় তো ইফতারির সময়। গতকাল সন্ধ্যায় আমি ইবলিশ মাঠে (শেখ রাসেল চত্বর) ইফতার করছিলাম।’ আরেক ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো কাজের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। আমার নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ রটানো হচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু ও সাধারণ সম্পাদক গালিব বলেন, অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মৌচাকে গাড়িতে লাশ: ২৫ লাখ টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলে জাকিরকে শ্রীলঙ্কায় নিয়েছিল দালাল

যেভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছিল, স্বীকারোক্তিতে জানালেন মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিন

টেলিটক এখন গলার কাঁটা পর্যায়ে চলে এসেছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

সিন্ধু পানিবণ্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় পাকিস্তানের বড় জয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের চার পাটপণ্যে ভারতের বন্দর নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত