Ajker Patrika

ফ্যামিলি কার্ডে কমেছে ভিড়, ফিরেছে স্বস্তি

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ১৬: ২০
ফ্যামিলি কার্ডে কমেছে  ভিড়, ফিরেছে স্বস্তি

কার্ড দেখিয়ে টিসিবির পণ্য কিনতে লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। এতে সুবিধাভোগী ব্যক্তিরা কিছুটি হলেও স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় গতকাল আহম্মেদাবাদের হারুঞ্জা বাজারে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে গত রোববার থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে পৌরসভার পাঁচশিরা বাজার, উদয়পুরের আনু ফকির বাজার, পৌরসভার কালাই বাসস্ট্যান্ড ও উদয়পুরের মোসলেমগঞ্জ বাজারে ২ হাজার ৩৭৩টি পরিবারের মাঝে টিসিবির পণ্য দেওয়া হয়। এ ছাড়া গতকাল উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হারুঞ্জা বাজার ও পুনট ইউনিয়নের পাঁচগ্রাম বাজারে সুবিধাভোগী ১ হাজার ১১৩টি পরিবারের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়।

প্রতিটি পয়েন্টে দুজন ট্যাগ অফিসার, পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তাঁদের মাধ্যমে কার্ডের বিপরীতে প্রতিজনকে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি চিনি ও দুই কেজি ডাল দেওয়া হয়। প্যাকেজের মূল্য ধরা হয় ৪৬০ টাকা। এ সুবিধা ৯ হাজার ৭৮৩টি পরিবার পাবে।

আগে সারা দিন অপেক্ষা করার পরও পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন অনেকে। এখন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যেকোনো সময় কার্ড আর টাকা নিয়ে এলেই সহজে পণ্য কিনতে পারছেন তাঁরা। এতে সময়ও বাঁচছে। উপজেলার আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফ্যামিলি কার্ড দেখিয়ে টিসিবির পণ্য কিনতে এসে কথাগুলো বললেন বাহিরপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হোসেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনাকালে যাঁরা মানবিক সহায়তা পেয়েছেন সেই সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এবার কার্ড সিস্টেমের কারণে কমেছে ভোগান্তি, কমেছে সময়। টিসিবির পণ্য নিতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। নারী ও পুরুষদের পৃথক সারি করে ট্যাগ অফিসাররা মূল কার্ড ও ফটোকপি কার্ডে উপকারভোগীদের টিপসই নিয়ে একটি সংরক্ষণ করে মূল কার্ড ফেরত দেন। সেই কার্ড দেখে টাকা নিয়ে ডিলাররা ট্রাক থেকে তেল, চিনি, ডাল ব্যাগে ভরে দেন।

উপজেলার নওপাড়া গ্রামের আলেফা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগে ট্রাকে করে সরকারি তেল, ডাল বিক্রি করছে। কম পণ্য ট্রাকে নিয়া আসি এক-দেড় ঘণ্টাতে শেষ করছে। আমরা অর্ধেক মানুষ খালি হাতে ঘুরি গেছি। কার্ডের মাধ্যমে পণ্য দেওছে। এখন আর ডিলাররা কারচুপি করতে পারবে না।’

দুপুরে কথা হয় উপজেলার হারুঞ্জা বাজারে টিসিবি পণ্য নিতে আসা উপজেলার বালাইট গ্রামের আবুল হোসেনের (৭০) সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন পণ্য কিনে বাড়িতে যাচ্ছেন। কার্ড না থাকলে সংসারের কাজে যে সময়টা তিনি ব্যয় করতে পারতেন তা ঠেলাঠেলি আর পণ্য কার আগে কে নিতে পারবেন সেই প্রতিযোগিতাতেই শেষ হতো বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে ইউএনও টুকটুক তালুকদার বলেন, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিতরণের কারণে মানুষের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমেছে। সুবিধাভোগীরা কার্ড দেখিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে পণ্য কিনে বাড়ি ফিরছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত