সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আলো খাতুন। রোজ সকালের সূর্যের আলো ফোটার আগেই শুরু হয় তাঁর কর্মব্যস্ততা। নিজে রোজগার করে সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন। কোদাল হাতে ঢোকেন গোয়ালঘরে। সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করে আঙিনার নির্দিষ্ট স্থানে স্তূপ করে রাখেন। এরপর শুরু করেন লাকড়ি বা ঘুঁটে তৈরি।
শুধু আলো না। তাঁর মতো শিউলি বেগম, নারজিনা বেগম এবং লিজা বেগমও নিজেদের জ্বালানির চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত লাকড়ি তাঁরা বিক্রি করে বাড়তি টাকা ঘরে তুলছেন।
গ্রামের রান্নার কাজে প্রধান জ্বালানি এই লাকড়ি। এ বিষয়ে আলো জানান, গোবর সংগ্রহের কাজ শেষে স্বামী সন্তানের জন্য সকালের নাশতা তৈরি করেন। এরপর সন্তানকে স্কুলে পাঠান। আর স্বামী চলে যান কাজে। এরপর সকাল ৯টা থেকে গোবরের লাকড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন একমনে। দুপুর পর্যন্ত চলে এ কাজ। পাটখড়ির চারপাশে গোবর গেঁথে দিয়ে রোদে শুকাতে দেন। দুই থেকে তিন দিনের রোদেই গোবরগুলো শুকিয়ে তৈরি হয় লাকড়ি।
আলো সারা দিনে ১০০ থেকে ১৫০টি লাকড়ি তৈরি করতে পারেন। এগুলো বিক্রিও করেন ভালো দামে। ১০০টি লাকড়ির বর্তমান বাজার মূল্য ১২০ হতে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি বস্তা ঘুঁটে বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত।
আলো সারিয়াকান্দি সদরের পারতিত পরল গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর নিজস্ব গরু নেই। অন্যের গোয়ালঘর থেকে গোবর সংগ্রহ করে তৈরি করেন লাকড়ি। যা দিয়ে তাঁর সংসারের বেশির ভাগ খরচ চলে।
শুধু আলোই না। গ্রামের বেশির ভাগ নারীরাই যাদের দুয়েকটি গরু রয়েছে, তাঁরা প্রতিদিন সকালে লাকড়ি তৈরি করতে ব্যস্ত থাকেন। নিজেদের জ্বালানির চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত লাকড়ি তাঁরা বিক্রি করে বাড়তি টাকা ঘরে তুলছেন।
আলোর সঙ্গে একই উঠানে লাকড়ি তৈরি করেন শিউলি বেগম, নারজিনা বেগম এবং লিজা বেগম।
কথা হয় সারিয়াকান্দি সদরের পারতিত পরল গ্রামের আমজাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী অগ্রহায়ণ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত গোবর দিয়ে জ্বালানি তৈরি করে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসের জ্বালানি রেখে বাকি জ্বালানি বিক্রি করি। এতে নিজের রান্নার কাজের জন্য যেমন জ্বালানি ঘাটতি থাকছে না, অপর দিকে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছি।’
সারিয়াকান্দি কাঁচা বাজারের চা স্টলের স্বত্বাধিকারী মামুন বলেন, ঘুঁটের আগুন দিয়ে চা জাল করতে কোনো ধোঁয়া হয় না। তা ছাড়া ঘুঁটের আগুন স্থায়ী বেশিক্ষণ হয়।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মাদ আজকের পত্রিকাকে জানান, দিন দিন জ্বালানিসংকট মারাত্মক আকার ধারণ করছে। জ্বালানিসংকটের কারণে গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। দফায় দফায় গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গোবরের তৈরি ঘুঁটে বা শলার লাকড়ি।
আলো খাতুন। রোজ সকালের সূর্যের আলো ফোটার আগেই শুরু হয় তাঁর কর্মব্যস্ততা। নিজে রোজগার করে সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন। কোদাল হাতে ঢোকেন গোয়ালঘরে। সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করে আঙিনার নির্দিষ্ট স্থানে স্তূপ করে রাখেন। এরপর শুরু করেন লাকড়ি বা ঘুঁটে তৈরি।
শুধু আলো না। তাঁর মতো শিউলি বেগম, নারজিনা বেগম এবং লিজা বেগমও নিজেদের জ্বালানির চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত লাকড়ি তাঁরা বিক্রি করে বাড়তি টাকা ঘরে তুলছেন।
গ্রামের রান্নার কাজে প্রধান জ্বালানি এই লাকড়ি। এ বিষয়ে আলো জানান, গোবর সংগ্রহের কাজ শেষে স্বামী সন্তানের জন্য সকালের নাশতা তৈরি করেন। এরপর সন্তানকে স্কুলে পাঠান। আর স্বামী চলে যান কাজে। এরপর সকাল ৯টা থেকে গোবরের লাকড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন একমনে। দুপুর পর্যন্ত চলে এ কাজ। পাটখড়ির চারপাশে গোবর গেঁথে দিয়ে রোদে শুকাতে দেন। দুই থেকে তিন দিনের রোদেই গোবরগুলো শুকিয়ে তৈরি হয় লাকড়ি।
আলো সারা দিনে ১০০ থেকে ১৫০টি লাকড়ি তৈরি করতে পারেন। এগুলো বিক্রিও করেন ভালো দামে। ১০০টি লাকড়ির বর্তমান বাজার মূল্য ১২০ হতে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি বস্তা ঘুঁটে বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত।
আলো সারিয়াকান্দি সদরের পারতিত পরল গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর নিজস্ব গরু নেই। অন্যের গোয়ালঘর থেকে গোবর সংগ্রহ করে তৈরি করেন লাকড়ি। যা দিয়ে তাঁর সংসারের বেশির ভাগ খরচ চলে।
শুধু আলোই না। গ্রামের বেশির ভাগ নারীরাই যাদের দুয়েকটি গরু রয়েছে, তাঁরা প্রতিদিন সকালে লাকড়ি তৈরি করতে ব্যস্ত থাকেন। নিজেদের জ্বালানির চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত লাকড়ি তাঁরা বিক্রি করে বাড়তি টাকা ঘরে তুলছেন।
আলোর সঙ্গে একই উঠানে লাকড়ি তৈরি করেন শিউলি বেগম, নারজিনা বেগম এবং লিজা বেগম।
কথা হয় সারিয়াকান্দি সদরের পারতিত পরল গ্রামের আমজাদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী অগ্রহায়ণ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত গোবর দিয়ে জ্বালানি তৈরি করে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসের জ্বালানি রেখে বাকি জ্বালানি বিক্রি করি। এতে নিজের রান্নার কাজের জন্য যেমন জ্বালানি ঘাটতি থাকছে না, অপর দিকে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছি।’
সারিয়াকান্দি কাঁচা বাজারের চা স্টলের স্বত্বাধিকারী মামুন বলেন, ঘুঁটের আগুন দিয়ে চা জাল করতে কোনো ধোঁয়া হয় না। তা ছাড়া ঘুঁটের আগুন স্থায়ী বেশিক্ষণ হয়।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুত তারিক মোহাম্মাদ আজকের পত্রিকাকে জানান, দিন দিন জ্বালানিসংকট মারাত্মক আকার ধারণ করছে। জ্বালানিসংকটের কারণে গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। দফায় দফায় গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গোবরের তৈরি ঘুঁটে বা শলার লাকড়ি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫