মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
বর্ষা মৌসুমে পদ্মার ভরা যৌবন থাকায় বন্যার পানিতে চারদিক টইটম্বুর থাকে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত নদীর পাড় ভাঙতে দেখা যায়। পানি নেমে গিয়ে শুকনো মৌসুমে অর্থাৎ মাঘ-ফাল্গুন মাসে পানিবিহীন পদ্মা মরা খালে পরিণত হয়। নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা ধু ধু বালুচরে কৃষকেরা নানা ধরনের ফসল ফলাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। কুষ্টিয়ার পদ্মা নদী পাড়ের কয়েকটি ইউনিয়নে যুগ যুগ ধরে এ চিত্র দেখা গেছে। কিন্তু এবারে চিত্র ভিন্ন। শুকনো মৌসুমেও যেন পদ্মা অগ্নি মূর্তি ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদী গিলে খাচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি। জেলার ভেড়ামারা, মিরপুর এবং দৌলতপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় এবারের শুকনো মৌসুমে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন।
স্থানীয়রা জানান, আগে কখনো অসময়ে এ ধরনের ভাঙনের ঘটনা ঘটেনি। তাঁদের অভিযোগ, নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলাসহ নদীকে কিছু প্রভাবশালী মহল সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে পানির গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে মূল নদী থেকে পানি প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তীব্র গতিতে পানি পাড়ে আঁচড়ে পড়ছে এবং ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমস্যার কারণ জানার পরও সমাধানে তেমন উদ্যোগ দেখা যায় না। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে বিলীন হয়ে যেতে পারে মিরপুর, দৌলতপুর এবং ভেড়ামারা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে বিলীন হয়ে যাবে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক, রায়টা-মহিষকুণ্ডি নদী রক্ষা বাঁধ ও অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হুমকির মুখে পড়তে পারে ভারত থেকে আসা বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন।
সরেজমিন দেখা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়া-কোলদিয়া গ্রাম থেকে শুরু করে মাজদিয়াড়, পোড়ারদিয়ার, হাটপাড়া হয়ে জুনিয়াদহ পর্যন্ত প্রায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার এলাকা, এবং মিরপুরের তালবাড়ীয়া এলাকার প্রায় ৯ কিলোমিটারজুড়ে ব্যাপকভাবে নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ১০০ বিঘা ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। গত দুই তিন সপ্তাহে কয়েক হাজার একর জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। চার ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
দৌলতপুরের কোলদিয়ার গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক ভুলু ফরাজি বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে এ ধরনের নদী ভাঙন আগে কখনো ঘটেনি। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’ অবিলম্বে বালু তোলা বন্ধ করে ভাঙনরোধে জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার হোসেন বলেন, ‘কোলদিয়াড় মাঠে আমার ৭ বিঘা জমি ছিল। এসব জমিতে গম, ভুট্টা, মসুরি, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনের ভাঙনে সব বিলীন হয়ে গেছে।’
মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে পদ্মার ভাঙনে ইউনিয়নের অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। স্থায়ী নদী শাসন না হলে পুরো ইউনিয়নই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।’ বালু তোলা বন্ধ করে স্থায়ী নদী ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেন তিনি।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘নদী ভাঙনরোধ করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন তৎপর।’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, ‘জেলার যে কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছিল, সেসব স্থানে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ এবং জিও টিউবের মাধ্যমে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবং স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে।’
বর্ষা মৌসুমে পদ্মার ভরা যৌবন থাকায় বন্যার পানিতে চারদিক টইটম্বুর থাকে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণত নদীর পাড় ভাঙতে দেখা যায়। পানি নেমে গিয়ে শুকনো মৌসুমে অর্থাৎ মাঘ-ফাল্গুন মাসে পানিবিহীন পদ্মা মরা খালে পরিণত হয়। নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা ধু ধু বালুচরে কৃষকেরা নানা ধরনের ফসল ফলাতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। কুষ্টিয়ার পদ্মা নদী পাড়ের কয়েকটি ইউনিয়নে যুগ যুগ ধরে এ চিত্র দেখা গেছে। কিন্তু এবারে চিত্র ভিন্ন। শুকনো মৌসুমেও যেন পদ্মা অগ্নি মূর্তি ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদী গিলে খাচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি। জেলার ভেড়ামারা, মিরপুর এবং দৌলতপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় এবারের শুকনো মৌসুমে দেখা দিয়েছে ব্যাপক নদী ভাঙন।
স্থানীয়রা জানান, আগে কখনো অসময়ে এ ধরনের ভাঙনের ঘটনা ঘটেনি। তাঁদের অভিযোগ, নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলাসহ নদীকে কিছু প্রভাবশালী মহল সুবিধামতো ব্যবহার করার ফলে পানির গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে মূল নদী থেকে পানি প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তীব্র গতিতে পানি পাড়ে আঁচড়ে পড়ছে এবং ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমস্যার কারণ জানার পরও সমাধানে তেমন উদ্যোগ দেখা যায় না। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে বিলীন হয়ে যেতে পারে মিরপুর, দৌলতপুর এবং ভেড়ামারা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। সেই সঙ্গে বিলীন হয়ে যাবে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক, রায়টা-মহিষকুণ্ডি নদী রক্ষা বাঁধ ও অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হুমকির মুখে পড়তে পারে ভারত থেকে আসা বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন।
সরেজমিন দেখা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়া-কোলদিয়া গ্রাম থেকে শুরু করে মাজদিয়াড়, পোড়ারদিয়ার, হাটপাড়া হয়ে জুনিয়াদহ পর্যন্ত প্রায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার এলাকা, এবং মিরপুরের তালবাড়ীয়া এলাকার প্রায় ৯ কিলোমিটারজুড়ে ব্যাপকভাবে নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ১০০ বিঘা ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। গত দুই তিন সপ্তাহে কয়েক হাজার একর জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। চার ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
দৌলতপুরের কোলদিয়ার গ্রামের ষাটোর্ধ্ব কৃষক ভুলু ফরাজি বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে এ ধরনের নদী ভাঙন আগে কখনো ঘটেনি। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’ অবিলম্বে বালু তোলা বন্ধ করে ভাঙনরোধে জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার হোসেন বলেন, ‘কোলদিয়াড় মাঠে আমার ৭ বিঘা জমি ছিল। এসব জমিতে গম, ভুট্টা, মসুরি, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দিনের ভাঙনে সব বিলীন হয়ে গেছে।’
মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে পদ্মার ভাঙনে ইউনিয়নের অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। স্থায়ী নদী শাসন না হলে পুরো ইউনিয়নই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।’ বালু তোলা বন্ধ করে স্থায়ী নদী ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেন তিনি।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘নদী ভাঙনরোধ করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন তৎপর।’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, ‘জেলার যে কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছিল, সেসব স্থানে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ এবং জিও টিউবের মাধ্যমে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবং স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যেগুলো মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৬ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫