Ajker Patrika

অটোর দখলে সড়ক, যানজট

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
অটোর দখলে সড়ক, যানজট

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মিশুকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার প্রধান সড়কগুলোর দুই পাশ দখল করে এসব অটো-মিশুক পার্ক করে রাখেন চালকেরা।

কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই এ চালকেরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা করেন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে সিরাজদিখান বাজারে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে অটো-মিশুক পার্ক করে রাখা। অবাধে চলাচল করায় উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলার ইছাপুরা চৌরাস্তা, মালখানগর চৌরাস্তা, নিমতলা বাজার এলাকা, কুচিয়ামোড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে যানজটের দীর্ঘ সারি।

জানা যায়, এসব গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অনেক চালকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। চালকেরা রাস্তায় যেখানে-সেখানে যাত্রী ওঠানামা করেন। ব্যস্ততম রাস্তায় কোনো সিগন্যাল ছাড়া হঠাৎ গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলে। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া ট্রাক-মাহিন্দ্রা চলাচলের কারণে অতিরিক্ত যানজট সৃষ্টি এবং দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ফিটনেসবিহীন ট্রাক অতিরিক্ত গতিতে চলাচলের কারণে অনেকের প্রাণ অকালেই ঝরে যাচ্ছে। তাই স্থানীয়রা বলছেন, এসব চালককে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

রাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আলী হোসেন জানান, রাস্তার দুই পাশে অটো রাখার কারণে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। এ ছাড়া ট্রাক ও মাহিন্দ্রার কারণে যানজট এবং দুর্ঘটনা ঘটে। তাই প্রশাসনের নজরদারিতে এনে এসব গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

অটোরিকশার যাত্রী মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, এই অটোরিকশার জন্য বাজারে ঢুকতে ও বের হতে প্রায় ঘণ্টা লেগে যায়। সেতু থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাস্তার দুই পাশে অটোরিকশার লাইন করে রাখে, যেন দেখার কেউ নেই।

সিরাজদিখান বাজারের ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যে যাঁর মতো যখন-তখন ক্রয় করে অটো-মিশুক রাস্তায় নামাচ্ছেন। আগে চীন থেকে আমদানি হতো। এখন বিভিন্ন এলাকার গ্যারাজে তৈরি হচ্ছে এসব গাড়ি। ফলে যখন-তখন মনে চাইলেই অটো-মিশুক রাস্তায় নামাচ্ছে কিছু মানুষ। এটা নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।

 এ বিষয়ে একাধিক চালক জানান, গাড়ি রাখার কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তার পাশেই পার্ক করে রাখতে হয়। এই গাড়ি চালাতে কোনো ট্রেনিং লাগে না। যিনি রিকশা চালাতে পারেন, তিনি অটোরিকশা সহজেই চালাতে পারেন। এ কারণে অটোরিকশার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজগর হোসেন বলেন, থানা-পুলিশ যতটুকু সম্ভব যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অটো-মিশুকের তৎপরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। পুলিশ গেলে গাড়ি সরিয়ে নেয়, পুলিশ চলে এলে আবার রাস্তার পাশে ভিড় জমায়। জনবল কম থাকায় সব সময় পুলিশ রাখা সম্ভব হয় না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত