Ajker Patrika

গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে খামারিরা

আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৫৭
গবাদিপশুর খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে খামারিরা

মুলাদীতে গরু ও ছাগলের খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খামারিরা। খৈল, ভুসি, ভুট্টাসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ায় দিশেহারা তাঁরা। দুই মাসের ব্যবধানে গরুর খাদ্যের দাম ২৫-৩০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। দাম না কমলে গরু বিক্রি করে দেওয়া ছাড় উপায় থাকবে না বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

জানা গেছে, উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানায় ছোট বড় মিলিয়ে ২৩৫টি গরুর খামার রয়েছে। এ ছাড়া উপজেলায় ১৮৩টি ছাগলের খামার আছে। এসব খামারে খড়ের পাশাপাশি প্রতিদিন ভুসি, ভুট্টা, খৈল, ক্যাটলসহ বিভিন্ন খাদ্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু উপজেলায় গরু ছাগলের খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা সমস্যায় পড়েছে।

বিশেষ করে কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে ঘাস, খড় এবং পশু চরানোর ভূমির স্বল্পতার পশু খাদ্যের সংকট দেখা দেয়।

কাজিরচর ইউনিয়নের ডিক্রীরচর গ্রামের সোহেল হোসেন জানান, তাঁর খামারে ২০টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন খড়ের সঙ্গে তাঁর দেড় মণ খাদ্যের প্রয়োজন হয় গবাদিপশুর জন্য। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রতি বস্তা খৈল ২ হাজার ৭০০ টাকা, ভুসি ১১০০ টাকা, ভুট্টা ৮০০ টাকায় কেনা যেত। বর্তমানে প্রতি বস্তা খৈল সাড়ে ৩ হাজার টাকা, ভুসি ১৪৫০ টাকা এবং ভুট্টা ১ হাজার টাকায় কিনতে হয়।

মুলাদী পৌরসভার খামারি মাসুদ হাওলাদার বলেন, বিভিন্ন খাবারের দাম বাড়ার সঙ্গে খড়ের দাম বেড়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর তিনগুণ বেশি দামে খড় কিনতে হচ্ছে। পশুর ওষুধ ও চিকিৎসা খরচও বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে অনেক খামার বন্ধ হয়ে যাবে।

গবাদিপশুর খাদ্য বিক্রেতা মকিম হোসেন বলেন, খরচ বেড়ে যাওয়ার অজুহাতে উৎপাদনকারীরা দাম বৃদ্ধি করেছে। পাইকারি মূল্য ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা পর্যায়ে খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সোহেল রানা জানান, গরু-ছাগলের খাদ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। ফলে এসবের ওপর নির্ভরশীল খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। বিভিন্ন জাতের ঘাসের চাষ করে গরুর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত