Ajker Patrika

নিজেকেও কাঠগড়ায় তুলছেন মুমিনুল

তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম থেকে
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৩৮
নিজেকেও  কাঠগড়ায় তুলছেন মুমিনুল

ম্যাচ শেষের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতেই ব্যাট-প্যাড নিয়ে মুমিনুল হক নেমে পড়লেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের নেটে। বল থ্রোয়ারকে নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক নেটে পড়ে রইলেন প্রায় আধ ঘণ্টা। দলের হার তো আছেই, মুমিনুলকে হয়তো পোড়াচ্ছিল নিজের ভুলও। ভুল শোধরাতে তাই দ্রুত নেটে নেমে পড়া বাংলাদেশ অধিনায়কের।

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও হারের বৃত্ত ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার ৮ উইকেটে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। ধারাবাহিক রান করে ‘প্রিয়’ ভেন্যু বানিয়ে ফেলা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এবার হতাশ করেছেন মুমিনুল। দুই ইনিংসে তাঁর রান ৬ ও ০।

প্রথম টেস্টে হারে সবার আগে কাঠগড়ায় উঠবে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। যেখানে পাকিস্তানের দুই ওপেনারের ব্যাটে চড়ে পাকিস্তান পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়েছে, সেখানে বাংলাদেশকে দুই ইনিংসেই ডুবিয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে টপ অর্ডারের ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানেই ৪ উইকেট হারানো। অথচ পাকিস্তানের দুই ওপেনার প্রথম ইনিংসে ১৪৫ রানের জুটির পর দ্বিতীয় ইনিংসে গড়েছেন ১৫১ রানের জুটি।

মুমিনুল স্বীকার করে নিচ্ছেন, চট্টগ্রাম টেস্টে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। বাংলাদেশ অধিনায়ক গতকাল শেষ দিনের খেলা শেষে বলেছেন, ‘প্রথম ইনিংসে ৪০ রানে ৪ উইকেট নেই (৪৯/৪)। দ্বিতীয় ইনিংসেও ও রকম (২৫/৪)। (ব্যাটিং অর্ডারের) ওপরের যদি এই অবস্থায় হয়, খেলায় ফেরা কঠিন। ওপরে কেউ (ভালো) অবদান রাখলে খেলাটা অন্য রকম হতো।’

টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মিছিলে আছেন মুমিনুল নিজেও। অধিনায়ক নিজের দায়ও স্বীকার করে নিচ্ছেন নির্দ্বিধায়, ‘আমার আরও দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করা উচিত ছিল। চার নম্বরে যদি বড় ইনিংস খেলতে পারতাম, ভালো দিকে যেতে পারতাম। টেস্ট তো অবশ্যই, যেকোনো সংস্করণে ১০ ওভারের মধ্যে যদি ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেন, যতই চেষ্টা করেন ছন্দ ফিরে পাওয়া কঠিন। তাইজুল তাও খুব ভালো করেছিল বলে আমরা ফিরতে পেরেছিলাম।’ ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট মুমিনুল, ‘এ রকম উইকেট পছন্দ করি। ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক ছিল। টপ অর্ডারে বাকি সবাই ছিল অনভিজ্ঞ, আমিই একমাত্র ছিলাম ৪০টার বেশি (টেস্ট) খেলা। দায়টা আমার নিজের ওপরই নিচ্ছি।’

এই টেস্ট অবশ্য একটি বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি কেড়েছে মুমিনুলকে—ফ্ল্যাট উইকেটে দলের পেসারদের সংগ্রাম। বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক তাই বলছেন, ‘ফ্ল্যাট উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হয়, জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় বেশি বেশি চার দিনের ম্যাচ খেলা উচিত। আপনি ভারতে দেখবেন, তারা প্রচুর ম্যাচ খেলে। আমাদের পেসারদেরও সুযোগ পেলে চার দিনের ম্যাচ খেলা উচিত।’

এত হতাশার ভিড়েও মুমিনুল হক আলাদা প্রশংসা বরাদ্দ রাখলেন তাইজুল, লিটন ও মুশফিকের জন্য। অধিনায়ক বলছেন, ‘এই টেস্টে দুই-তিনটি প্রাপ্তির মধ্যে সেরা হচ্ছে তাইজুলের ৭ উইকেট। এই উইকেটে ৭ উইকেট পাওয়া সহজ ছিল না। লিটন অসাধারণ খেলেছে। মুশফিক ভাইও ভালো করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত