কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
তাঁদের অভাব অনটনের সংসার। কারও স্বামী নেই। কারও স্বামী অসুস্থ। তাই তাঁরা রোজগারে নেমেছেন। হিমাগারে আলু বাছাইয়ের কাজ করেন। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে চলে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এতে তাঁদের আয় হয় ২০০ টাকা। আর এই টাকায়ই চলে তাঁদের সংসার। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ১১টি হিমাগারে কাজ করেন, এমন নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০০।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হিমাগারগুলোতে স্তূপ করে রাখা হয়েছে আলু। নানা বয়সের নারীরা সারিবদ্ধ হয়ে সেগুলো বাছাইয়ের কাজ করছেন। পচে যাওয়া, খারাপ আলু বাছাই করে তাঁরা সরিয়ে রাখছেন। তাঁদের সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। প্রতিদিন এই কাজের জন্য তাঁদের হাজিরা বা বেতন দেওয়া হয় ২০০ টাকা।
আঁওড়ার কালিমোড় গ্রামের শেফালি বেগম (৫০)। সংসারের হাল ধরতে তিনি নিজেই আলু বাছাইয়ের কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভাব-অনটনের সংসার। আবার আমার স্বামী অসুস্থ। আমার কাজ করা ছাড়া উপায় নাই। যা কামাই করি, তা দিয়ে খেয়ে না-খেয়ে কষ্ট করে দিন চলে যায়। আমাদের পারিশ্রমিক একটু বাড়িয়ে দিলে আরও ভালোভাবে সংসার চালাতে পারতাম।’
আরেক নারীশ্রমিক হাসিনা বেওয়া (৬৫)। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী অনেক আগে মারা গেছে। পেট তো ভাত দেওয়া লাগে। আমি কাজ না করলে ভাত দিবে কে? তাই প্রায় ৪ কিলোমিটার দূর থেকে এসে আলু বাছাইয়ের এই কাজ করি।’
নারীশ্রমিক গীতা রানী বলেন, ‘আমার স্বামী বয়স্ক। কোনো কামাই-রোজগার করতে পারে না। ছেলেমেয়েদের আছে। তাদের লেখাপড়ার খরচ আছে। খাওয়া খরচা আছে। এই কারণে আমি এই কাজ করছি।’
নারীশ্রমিক হালিমা বেগম ও মাহমুদা বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। সংসারে আয়-রোজগারের আর কেউ নাই। আমার ছেলেমেয়েরা ছোট। সংসারের হাল ধরারও কেউ নাই। কাজ নাই, খাওয়াও নাই। এই কারণে আমি আলু বাছার এই কাজ করি। কাজ ভালোই। বছরে প্রায় ৮ মাস করা যায়। কাজই করে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। আমার আর কোনো অবলম্বন নাই।’
হিমাগারে আলু কিনতে আসা ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, হিমাগারগুলোতে এলাকার এসব দুস্থ, অসহায়, বিধবা নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর আলুর দাম কম। সে জন্য আলু ব্যবসায়ীদের ক্ষতি গুনতে হচ্ছে।
উপজেলার পুনট হিমাগার লিমিটেডের হিসাবরক্ষক এনামুল হক বলেন, উপজেলায় মোট ১১টি আলুর হিমাগার আছে। এসব হিমাগারে প্রায় ৫০০ নারী কাজ করেন।
আর বি স্পেশালাইজড হিমাগার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ বাবু বলেন, এখানে যেসব নারী কাজ করছেন, তাঁরা বেশির ভাগই আশপাশের এলাকায় থাকেন। সে জন্য নির্ধারিত সময়েই তাঁরা কাজে আসতে পারছেন। তবে বাজারে আলুর দাম কম। দাম ভালো থাকলে নারীদের পারিশ্রমিক বেড়ে যেত। ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখলে, শ্রমিকদের হাজিরাও বাড়বে।
তাঁদের অভাব অনটনের সংসার। কারও স্বামী নেই। কারও স্বামী অসুস্থ। তাই তাঁরা রোজগারে নেমেছেন। হিমাগারে আলু বাছাইয়ের কাজ করেন। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে চলে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এতে তাঁদের আয় হয় ২০০ টাকা। আর এই টাকায়ই চলে তাঁদের সংসার। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ১১টি হিমাগারে কাজ করেন, এমন নারীর সংখ্যা প্রায় ৫০০।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হিমাগারগুলোতে স্তূপ করে রাখা হয়েছে আলু। নানা বয়সের নারীরা সারিবদ্ধ হয়ে সেগুলো বাছাইয়ের কাজ করছেন। পচে যাওয়া, খারাপ আলু বাছাই করে তাঁরা সরিয়ে রাখছেন। তাঁদের সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। প্রতিদিন এই কাজের জন্য তাঁদের হাজিরা বা বেতন দেওয়া হয় ২০০ টাকা।
আঁওড়ার কালিমোড় গ্রামের শেফালি বেগম (৫০)। সংসারের হাল ধরতে তিনি নিজেই আলু বাছাইয়ের কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভাব-অনটনের সংসার। আবার আমার স্বামী অসুস্থ। আমার কাজ করা ছাড়া উপায় নাই। যা কামাই করি, তা দিয়ে খেয়ে না-খেয়ে কষ্ট করে দিন চলে যায়। আমাদের পারিশ্রমিক একটু বাড়িয়ে দিলে আরও ভালোভাবে সংসার চালাতে পারতাম।’
আরেক নারীশ্রমিক হাসিনা বেওয়া (৬৫)। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী অনেক আগে মারা গেছে। পেট তো ভাত দেওয়া লাগে। আমি কাজ না করলে ভাত দিবে কে? তাই প্রায় ৪ কিলোমিটার দূর থেকে এসে আলু বাছাইয়ের এই কাজ করি।’
নারীশ্রমিক গীতা রানী বলেন, ‘আমার স্বামী বয়স্ক। কোনো কামাই-রোজগার করতে পারে না। ছেলেমেয়েদের আছে। তাদের লেখাপড়ার খরচ আছে। খাওয়া খরচা আছে। এই কারণে আমি এই কাজ করছি।’
নারীশ্রমিক হালিমা বেগম ও মাহমুদা বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। সংসারে আয়-রোজগারের আর কেউ নাই। আমার ছেলেমেয়েরা ছোট। সংসারের হাল ধরারও কেউ নাই। কাজ নাই, খাওয়াও নাই। এই কারণে আমি আলু বাছার এই কাজ করি। কাজ ভালোই। বছরে প্রায় ৮ মাস করা যায়। কাজই করে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। আমার আর কোনো অবলম্বন নাই।’
হিমাগারে আলু কিনতে আসা ব্যবসায়ী এনামুল হক বলেন, হিমাগারগুলোতে এলাকার এসব দুস্থ, অসহায়, বিধবা নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর আলুর দাম কম। সে জন্য আলু ব্যবসায়ীদের ক্ষতি গুনতে হচ্ছে।
উপজেলার পুনট হিমাগার লিমিটেডের হিসাবরক্ষক এনামুল হক বলেন, উপজেলায় মোট ১১টি আলুর হিমাগার আছে। এসব হিমাগারে প্রায় ৫০০ নারী কাজ করেন।
আর বি স্পেশালাইজড হিমাগার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ বাবু বলেন, এখানে যেসব নারী কাজ করছেন, তাঁরা বেশির ভাগই আশপাশের এলাকায় থাকেন। সে জন্য নির্ধারিত সময়েই তাঁরা কাজে আসতে পারছেন। তবে বাজারে আলুর দাম কম। দাম ভালো থাকলে নারীদের পারিশ্রমিক বেড়ে যেত। ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখলে, শ্রমিকদের হাজিরাও বাড়বে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫