Ajker Patrika

সড়কের ৭ কিলোমিটারে দুর্ভোগ

আরিফুল হক তারেক, মুলাদী
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৩৩
সড়কের ৭ কিলোমিটারে দুর্ভোগ

মুলাদী-মৃধারহাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের পাঁচ ইউনিয়নের বাসিন্দারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সড়কটি এক ধাপে সংস্কার না করে দুই ধাপে করায় এই হাল, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বিশেষ করে চরডিক্রী মাদ্রাসা থেকে মৃধারহাট পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা বেশি খারাপ বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, মুলাদী-মৃধারহাট সড়ক প্রায় ১০ কিলোমিটার লম্বা। এটা দিয়ে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের গাছুয়া, চরকালেখান, বাটামারা, নাজিরপুর ও সফিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচল করতে হয়। বলা চলে তাঁদের সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এটি। এই ১০ কিলোমিটার সড়ক দুই অংশে ভাগ করে ধাপে ধাপে সংস্কার করেছিল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

বর্তমানে চরডিক্রী মাদ্রাসা থেকে মৃধারহাট পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চরডিক্রী রাড়ী বাড়ি মোড়, গ্রামীণ ফোন টাওয়ার, বেলতলা, সাতানি কাচারি, ঢালী বাড়ি, মিয়ারহাট, মাস্তান বাজার, বাঁশতলা, রমজানপুর এলাকায় বড় বড় গর্ত হয়েছে। এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে লেগুনা, অটোরিকশা, অটো ভ্যান চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন যাত্রীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ সড়কটি দুই অংশে ভাগ করে সংস্কার করায় সারা বছরই ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এক অংশের খানাখন্দ সংস্কার হলে অন্য অংশের খানাখন্দ রয়ে যায়। এক সঙ্গে সংস্কার করা হলে দেড়-দুই বছর মানুষ স্বস্তিতে চলাচল করতে পারত।

চরকালেখান গ্রামের ফারুক হোসেন বলেন, মুলাদী থেকে বাটামারা খেয়াঘাট, সফিপুর খেয়াঘাট, মৃধারহাট, মাদ্রাসা বাজার, সোনামদ্দিন বন্দর, পদ্মারহাটসহ উত্তরাঞ্চলের সব স্থানে যাওয়ার জন্য এই সড়ক ব্যবহার করতে হয়। পরে গাড়িগুলো শাখা সড়কে প্রবেশ করে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কেন সংস্কার করা হচ্ছে না জানেন না কেউ।

চরকালেখান ইউনিয়নের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, মুলাদী থেকে চরডিক্রী মাদ্রাসা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক এক ধাপে সংস্কার করা হয়। আবার চরডিক্রী মাদ্রাসা থেকে মৃধারহাট পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার আরেক ধাপে সংস্কার করে এলজিইডি। গত বছর মুলাদী সিনেমা হল বাসস্ট্যান্ড থেকে চরডিক্রী মাদ্রাসা পর্যন্ত সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু মৃধারহাট থেকে চরডিক্রী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক বেহাল হয়েছে। এই পথে রোগী নিয়ে যাওয়ার সময় অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।

গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশেষ করে রোগী এবং বয়স্কদের কষ্ট হয় বেশি। এ ছাড়া সময়ও লাগে বেশি।

অটোরিকশা চালক বেল্লাল হোসেন বলেন, মুলাদী থেকে মৃধারহাট পর্যন্ত যেতে এখন ৩০-৩৫ মিনিট সময় লাগে। সড়কটি সংস্কার করা হলে ১৫-২০ মিনিটে সেখানে যাওয়া যায়। এ ছাড়া ভাঙা সড়কে চলাচল করায় মাসের মধ্যে ২-৩ বার অটোরিকশা মেরামত করতে হয়।

সড়ক সংস্কারের বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে মুলাদী-মৃধারহাট সড়কের ৩ কিলোমিটার সংস্কার করা হয়েছে। আরও ২ হাজার ৬৫৫ মিটার সংস্কারের দরপত্র দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে বাকি সড়ক সংস্কারের কাজ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত