Ajker Patrika

ওএমএসে ঝুঁকছে মধ্যবিত্ত

সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া
ওএমএসে ঝুঁকছে মধ্যবিত্ত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। চাল, ডাল, তেল, চিনি, সাবান, ডিটারজেন্টসহ সবকিছুর দাম মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে সেই সঙ্গে বাড়ছে না মানুষের আয়-রোজগার। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে।

সীমিত আয়ের লোকজনের জন্য খোলাবাজারে বিক্রয় (ওএমএস) কার্যক্রম চালু রেখেছে সরকার। তবে সংসার সামলাতে হিমশিম খাওয়া মধ্যবিত্তরাও এখন ঝুঁকছেন এসব চাল কেনায়। ওএমএসের চাল কেনার সারিতে দিন দিন বাড়ছে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা। এতে বরাদ্দ পাওয়া চাল দিয়ে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার তিনটি ওএমএসের চাল বিতরণ কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় পাকুন্দিয়া পৌর বাজারের কলেজ রোডের একটি দোকান, বরাটিয়া চৌরাস্তা এলাকায় একটি, আলুর স্টোর বাজার এলাকার একটি দোকানসহ মোট তিনটি পয়েন্টে চাল বিক্রি হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। ডিলাররা প্রতিদিন এক টন (এক হাজার কেজি) করে চাল বরাদ্দ পান। প্রত্যেকে পাঁচ কেজি চাল কেনার সুযোগ পান।প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই ওই সব কেন্দ্রে উপস্থিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যাই বেশি।দীর্ঘ সময় অপেক্ষা শেষে চাল কিনে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। অপেক্ষা শেষেও বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় চাল ছাড়াই অনেককে ফিরে যেতে হচ্ছে। সীমিত আয়ের লোকজনের জন্য এ চাল বরাদ্দ থাকলেও কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন মধ্যবিত্তরাও। এ জন্য বরাদ্দের চাল তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে একান্ত নিরুপায় হয়েই তুলনামূলক কম দামে চাল কিনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মধ্যবিত্তরা।

চাল কিনতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, সবকিছুর দাম বেশি। প্রতিদিনই বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। যে টাকা আয়-রোজগার হয়, তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত—সবারই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওএমএসের চাল বাজার দরের চেয়ে কমে কেনা যায়। এ জন্য চাল কিনতে সারিতে শামিল হচ্ছেন তাঁরা। এতে কিছুটা হলেও সাশ্রয় হবে বলে জানান এসব মানুষ।

আলুর স্টোর বাজারের ওএমএসের পরিবেশক মোনায়েম মুন্না বলেন, পাঁচ কেজি করে ২০০ জনকে চাল দেওয়া যায়। প্রতিদিন লোক হয় ৩০০-৩৫০ জন। যে বরাদ্দ পাওয়া যায়, তাতে সবাইকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই অনেককে চাল ছাড়াই ফিরতে হয়।

পৌর শহরের কলেজ রোডে অবস্থিত কেন্দ্রের পরিবেশক সিদ্দিক হোসেন মাসুদ জানান, সরকারনির্ধারিত আইন মেনে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন এক হাজার কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সকাল ৯টা থেকে একজনকে পাঁচ কেজি চাল দিই। বেলা ১১টার মধ্যেই বিতরণ শেষ হয়ে যায়। তখনো অনেক লোক লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে।

সিদ্দিক হোসেন মাসুদ বলেন, ‘এতে আমাদের কিছু করার থাকে না। চালের বরাদ্দ বাড়িয়ে দিলে হয়তো কাউকে খালি হাতে ফিরতে হতো না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওএমএসের চাল শুধু পৌর এলাকায় বিক্রি হয়। বরাদ্দ বাড়াতে গেলে পরিবেশক (ডিলার) বাড়াতে হবে। আপাতত পরিবেশক কিংবা বরাদ্দ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

কারাগারে ১০৫ মন্ত্রী-এমপি

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ও পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত