Ajker Patrika

দখল-দূষণের কবলে নদী

কালীগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ৩১
দখল-দূষণের কবলে নদী

দখল আর দূষণে হারিয়ে যেতে বসেছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের কাকশিয়ালী নদী। নদীর দুই পাশে কলকারখানা, ইটভাটা, বিভিন্ন বাজারের ময়লা-আবর্জনা, অসংখ্য ভাসমান টয়লেট আর স্থানীয় ভূমিদস্যু কর্তৃক নদী ভরাট করায় এর প্রশস্ততা কমে যাচ্ছে।

একসময় নদীতে দেশের বিভিন্ন বন্দর থেকে লঞ্চ ও মালবাহী কার্গো আসত। নদীতে শোভা পেত পালতোলা নৌকা। কিন্তু এখন আর এমন চিত্র চোখে পড়ে না। পলি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাফরুল্লাহ ইব্রাহিম বলেন, একসময় কাকশিয়ালী নদীর ভরা যৌবন ছিল। এককালের প্রমত্তা কাকশিয়ালী নদীদূষণ আর দখলের কারণে নাব্য হারিয়েছে। নদীর দুই পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। প্রভাবশালীরা নদীর চর দখল করে মৎস্যঘের তৈরি করেছেন। এ ছাড়া নদীর চর দখল করে অসংখ্য বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় নদী লুটে খাচ্ছে দখলদারেরা।

স্থানীয় মোশারফ হোসেন, আব্দুল্লাহ সিদ্দিক, মিলন হোসেন, শফিকুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কাকশিয়ালী নদী দিন দিন মরে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে নদীর অস্তিত্ব একসময় হারিয়ে যাবে। কতিপয় স্বার্থান্বেষী ভূমিদস্যু নদী দখলের উৎসবে মেতে উঠেছে। এই নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি প্রবাহ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে এই অঞ্চলের মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে। অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তাঁরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালীগঞ্জে নদী ও খাল দখল করে যেসব প্রতিষ্ঠান বা বসতঘর নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোকে তালিকা করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকের অনুমতি পেলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।

এ অবস্থায় নদীটি বাঁচাতে অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত