Ajker Patrika

ভুয়া খাত দেখিয়ে অর্ধলাখ টাকা বিল

নুরুল আমিন হাসান, উত্তরা
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১৭: ১৫
ভুয়া খাত দেখিয়ে অর্ধলাখ টাকা বিল

ডায়ালাইসিস মেশিন কিংবা কিডনি বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক নেই। তবু উত্তরার রেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিডনি ও হার্টের রোগে আক্রান্ত নুরুল ইসলামকে (৪৬)। গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হন নুরুল। ভর্তির সময়ই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রসিদ ছাড়া তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা নেয়। কিছুক্ষণ পর আরও টাকা চাইলে সঙ্গে থাকা শেষ সম্বল ১৬ হাজার ২০০ টাকা হাসপাতালে জমা দেন তাঁর স্বজনেরা।

এদিকে রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে আট ঘণ্টা পর রাত দুইটার দিকে আরও ২৯ হাজার ২০০ টাকার বিল ধরিয়ে দেয় তারা। এরপর ১৫ মিনিটের মধ্যেই রোগীকে নিয়ে চলে যেতে বলা হয়। উপায় না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চান স্বজনেরা। ফোন পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ গিয়ে সমঝোতা করে আরও ৯ হাজার ৮০০ টাকা দিতে বলে। সঙ্গে টাকা না থাকলেও বিকাশের মাধ্যমে এনে টাকা জমা দিতে হয় স্বজনদের। পরে রোগীকে সরকারি কোনো হাসপাতালে না নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুরে নিয়ে যান তাঁরা।

নুরুল ইসলামের ছেলে মাজেদুল ইসলাম গতকাল সোমবার এমন অভিযোগ করেন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রসিদের মাধ্যমে মোট ৫৫ হাজার ২০০ টাকা বিল দিয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত ৬ হাজার টাকাসহ মোট ৩২ হাজার টাকা দিয়েছি আমরা। প্রতারণা করে তারা এত টাকার বিল দিয়েছে। বাস্তবে একজন চিকিৎসক দেখভাল করলেও রসিদে তিনজনের কথা বলে তারা ৫ হাজার টাকা বিল করেছে। ৮ ঘণ্টায় আইসিইউ চার্জ ৭ হাজার এবং ভেন্টিলেটর চার্জ ৮ হাজার টাকা বিল করেছে। যা গরিবের রক্ত চোষার মতো। অন্য হাসপাতালে নেওয়ার মতো আর টাকা নেই। বাধ্য হয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।’

মাজেদুল বলেন, ‘আমার বাবা তুরাগের পাকুরিয়া এলাকার ভাড়া থেকে বাসের ড্রাইভারি করতেন। তিনি কিছুদিন থেকে কিডনি ও হার্টের রোগে ভুগছেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রেসক্রিপশনসহ উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রেসক্রিপশন না দেখেই আমার বাবাকে ভর্তি করায়। তখন হাসপাতালে কোনো চিকিৎসকও ছিল না। পরে ফোন করে একজন ডাক্তার আনা হয়।’

মাজেদুল অভিযোগ করেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ আমার বাবাকে তারা ভর্তি করিয়েছে। আশানুরূপ কোনো চিকিৎসা না দিয়ে রক্ত চোষার মতো সব টাকা নিয়েছে। তাদের চিকিৎসায় বরং বাবা আরও অসুস্থ হয়েছে। অবশেষে আমাদের কাছে থাকা সব টাকা রেডিকেল হাসপাতালে দিয়ে খালি হাতে বাবাকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।’

রেডিকেল হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার তানভীর মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কোনো অতিরিক্ত বিল করি নাই। বিল যা হয়েছে তা-ই ধরা হয়েছে। রোগীর লোকজন পুরো টাকা দিতে না পারায় সর্বোচ্চ কনসিডার করে ২৯ হাজার ২০০ টাকা বিল করি। সেটার পরিবর্তে ৯ হাজার ৮০০ টাকা রেখেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

জুলাই অভ্যুত্থান: নিজেদের মামলা তদন্তে ‘বেশি সতর্ক’ পুলিশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত