Ajker Patrika

শীত বাড়ায় ভিড় পুরোনো কাপড়ের দোকানে

শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৪৫
শীত বাড়ায় ভিড় পুরোনো কাপড়ের দোকানে

তারাগঞ্জে কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ফলে পুরোনো গরম কাপড় বিক্রির হিড়িক পড়েছে। উপজেলার হাটবাজারে অস্থায়ী দোকানগুলোতে ভিড় লেগে থাকছে। কম দামে ভালো মানের পোশাক মেলায় এসব দোকানে বেচাকেনাও বেড়েছে কয়েক গুণ।

কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা পুরোনো কাপড়গুলো বাইরের দেশ থেকে জাহাজে করে চট্টগ্রামে আনেন। সেখান থেকে খুচরা বিক্রেতারা কিনে এনে বিক্রি করেন। প্রতি শীতে অগ্রহায়ণ থেকে এ কাপড়ের চাহিদা শুরু হয়ে অব্যাহত থাকে মাঘের শেষ পর্যন্ত।

গতকাল রোববার সরেজমিন দেখা গেছে, তারাগঞ্জ গরুর হাট ও তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়কের দুই ধারে বাঁশ, পলিথিন দিয়ে বানানো হয়েছে পুরোনো কাপড়ের দোকান। এগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকে সবচেয়ে বেশি।

তারাগঞ্জ বাজারে ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে পুরোনো জ্যাকেট কিনতে এসেছিলেন চিকলী গ্রামের নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষ আমরা। এখানে যে পুরোনো জ্যাকেট ৩০০ টাকা, তা নতুন কিনতে গেলে ৩ হাজারেও পাওয়া যায় না। নতুন হোক আর পুরোনো, শীত না লাগলেই হলো। তাই ছেলেকে নিয়ে এসেছি জ্যাকেট কিনতে। শরীরে ফিট হলেই কিনে নিয়ে যাব।’

যমুনেশ্বরী নদী ঘেঁষা জলুবার গ্রাম থেকে আসা দিনমজুর রমজান আলী বলেন, ‘বাইরের এই পুরোনো গরম পোশাক না থাকলে আমরা বিপদেই পড়ে যেতাম। এক থেকে দেড় শ টাকার মধ্যে মোটা ভালো সোয়েটার পাওয়া যায়। নিজের, স্ত্রীর ও বৃদ্ধ বাবার জন্য তাই সোয়েটার কিনতে এসেছি। আমাদের তো বেশি দাম দিয়ে নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্য নাই।’

রমজানের পাশেই পুরোনো কাপড় উল্টে জ্যাকেট খুঁজছিলেন তেলিপাড়া গ্রামের মিনারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নতুন কিনে গায়ে দিলে পরের দিনই তো সেটা পুরোনো। ঠিক তেমনি পুরোনো কাপড় কিনে ভালো করে ধুয়ে পড়লে তা নতুন। আর পুরোনো কাপড়ে ডিজাইন থাকে ইউনিক। যা আমাদের দেশে মেলে না। তাই নিজের ও স্ত্রীর জন্য কাপড় খুঁজছি।’

শীত এলে পুরোনো কাপড়ের কদর বাড়ে বলে জানান গরুর হাটের পুরোনো কাপড় ব্যবসায়ী বেনামী বর্মণ। তিনি বলেন, ‘সব বয়সী মানুষের শীতের পোশাক সোয়েটার ও জ্যাকেট আমরা বিক্রি করি। অপেক্ষাকৃত কম দামে একটি জ্যাকেট বা সোয়েটার ক্রেতার হাতে তুলে দিতে পারলে ভালো লাগে। এগুলো যখন কোনো ক্রেতার শরীরের সঙ্গে মানানসই হয়, তখন তাঁদের মুখের হাসি মনে প্রশান্তি এনে দেয়।’

শীতের পুরোনো পোশাকের আরেক বিক্রেতা শাহ আলম জানান, শীত শুরুর দিকে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হতো। গত কয়েক দিনে শীত বাড়ায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে। নারীদের শীতের পোশাক বেশি চলে। পাশাপাশি শিশুদের সোয়েটারের চাহিদাও ভালো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের পতন হলে, এরপরই রাশিয়া—অভিমত রুশ বিশ্লেষকদের

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

লাইভ-২ (২৩ জুন, ২০২৫) ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপল ইসরায়েল, তেহরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি থেকে বিদায় নিচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত