ঝিকরগাছায় চলতি মৌসুমে আলুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় আলু চাষে কৃষকদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। উৎপাদন খরচও অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। এতে প্রতি বিঘায় আলু চাষে ৫-৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
চাষিরা জানান, এ বছর চাষের শুরুতে দুই দফা ভারী বৃষ্টির কারণে অনেকেরই দুইবার করে বীজ লাগাতে হয়েছে। এতে যেমন পরিশ্রম হয়েছে তেমন অতিরিক্ত খরচও হয়েছে। কিন্তু মৌসুম শেষে আলুর দাম না পাওয়ায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাঁদের। তবে গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে আলুর দাম একটু ভালো হওয়ায় লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, চলতি বছর এ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা হয়েছিল ৪৬০ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৪১০ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর চাষ হয়েছিল ৪৫০ হেক্টর জমিতে। এরপরেও এ বছর আলুর দাম না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন আলু চাষিরা।
আরও জানা যায়, এ বছর ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু বেশি চাষ হয়েছে। এসবের পাশাপাশি বেনেলা, মালটা, স্টিকসহ কয়েকটি জাতের আলু কমবেশি চাষ হয়েছে। পাইকারি বাজারে এসব আলুর দাম ভালো থাকলেও ফলন বিপর্যয়ের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
কৃষকেরা জানান, আলু লাগানোর ৯০ দিন পর ওঠাতে হয়। তবে যারা বীজের জন্য চাষ করেন তাঁদের ৭৫ দিনের মাথায় ওঠাতে হয়। অবশ্য তাঁদের চাষ শুরু করতে হয় অপেক্ষাকৃত পরে। ইতিমধ্যে চাষিরা আলু ওঠাতে শুরু করেছেন। শুরুতে আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম ছিল না তবে গত এক সপ্তাহে বাজারে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে লোকসানের পরিমাণ কিছুটা কমতে শুরু হয়েছে চাষিদের।
সরেজমিনে কথা হয় রাজাপুর গ্রামের আলু চাষি নুর বিল্লা লাভলুর সঙ্গে। তিনি বলেন, `এ বছর উপজেলার বল্লার মাঠে সাত বিঘা জমিতে ডায়মন্ড ও স্টিক জাতের আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় আলুর গড় ফলন পেয়েছি ৬৫ মণ। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় বিশেষ করে চাষের শুরুতেই দুই দফা বৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি আলুতে দাগ ধরেছে।’
লাভলু আরও বলেন, `বর্তমান পাইকারি বাজারে প্রতি মণ আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৭ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
বোধখানা গ্রামের আলী হোসেন বলেন, `এ বছর নয় বিঘা জমিতে কার্ডিনাল জাতের আলু চাষ করেছি। অতিবৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়নি। ইতিমধ্যে এক বিঘা জমির আলু তুলে ফলন পেয়েছি ৬০ মণ। যেখানে আবহাওয়া ভালো থাকলে ৯০-৯৫ মণ। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৫ টাকা। পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকা করে। এ বছর দাম মোটামুটি ভালো থাকলেও ফলন কম পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, `এ বছর অসময়ে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে ফলন একটু কম হয়েছে। তবে দাম ভালো থাকায় কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে।’
ঝিকরগাছায় চলতি মৌসুমে আলুর ফলন বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় আলু চাষে কৃষকদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। উৎপাদন খরচও অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। এতে প্রতি বিঘায় আলু চাষে ৫-৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
চাষিরা জানান, এ বছর চাষের শুরুতে দুই দফা ভারী বৃষ্টির কারণে অনেকেরই দুইবার করে বীজ লাগাতে হয়েছে। এতে যেমন পরিশ্রম হয়েছে তেমন অতিরিক্ত খরচও হয়েছে। কিন্তু মৌসুম শেষে আলুর দাম না পাওয়ায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাঁদের। তবে গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারে আলুর দাম একটু ভালো হওয়ায় লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, চলতি বছর এ উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা হয়েছিল ৪৬০ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৪১০ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর চাষ হয়েছিল ৪৫০ হেক্টর জমিতে। এরপরেও এ বছর আলুর দাম না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন আলু চাষিরা।
আরও জানা যায়, এ বছর ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল আলু বেশি চাষ হয়েছে। এসবের পাশাপাশি বেনেলা, মালটা, স্টিকসহ কয়েকটি জাতের আলু কমবেশি চাষ হয়েছে। পাইকারি বাজারে এসব আলুর দাম ভালো থাকলেও ফলন বিপর্যয়ের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের।
কৃষকেরা জানান, আলু লাগানোর ৯০ দিন পর ওঠাতে হয়। তবে যারা বীজের জন্য চাষ করেন তাঁদের ৭৫ দিনের মাথায় ওঠাতে হয়। অবশ্য তাঁদের চাষ শুরু করতে হয় অপেক্ষাকৃত পরে। ইতিমধ্যে চাষিরা আলু ওঠাতে শুরু করেছেন। শুরুতে আলুর কাঙ্ক্ষিত দাম ছিল না তবে গত এক সপ্তাহে বাজারে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে লোকসানের পরিমাণ কিছুটা কমতে শুরু হয়েছে চাষিদের।
সরেজমিনে কথা হয় রাজাপুর গ্রামের আলু চাষি নুর বিল্লা লাভলুর সঙ্গে। তিনি বলেন, `এ বছর উপজেলার বল্লার মাঠে সাত বিঘা জমিতে ডায়মন্ড ও স্টিক জাতের আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘায় আলুর গড় ফলন পেয়েছি ৬৫ মণ। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় বিশেষ করে চাষের শুরুতেই দুই দফা বৃষ্টিতে ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি আলুতে দাগ ধরেছে।’
লাভলু আরও বলেন, `বর্তমান পাইকারি বাজারে প্রতি মণ আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৭ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
বোধখানা গ্রামের আলী হোসেন বলেন, `এ বছর নয় বিঘা জমিতে কার্ডিনাল জাতের আলু চাষ করেছি। অতিবৃষ্টির কারণে ফলন ভালো হয়নি। ইতিমধ্যে এক বিঘা জমির আলু তুলে ফলন পেয়েছি ৬০ মণ। যেখানে আবহাওয়া ভালো থাকলে ৯০-৯৫ মণ। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১৫ টাকা। পাইকারি বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ টাকা করে। এ বছর দাম মোটামুটি ভালো থাকলেও ফলন কম পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, `এ বছর অসময়ে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে ফলন একটু কম হয়েছে। তবে দাম ভালো থাকায় কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪