Ajker Patrika

জাপার সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ০১
জাপার সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় আট ইউপির মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী দিয়েছিল জাতীয় পার্টি (জাপা)। কিন্তু এসব ইউপিতে লাঙল প্রতীকের সব প্রার্থী হেরে গিয়ে জামানত হারিয়েছেন।

গত ২৮ নভেম্বর কালীগঞ্জের পাঁচটি ইউপিতে নির্বাচন করে জাপার প্রার্থীদের একজন ৪ অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারলেও চারজনে পারেননি। তাঁদের এমন ফলাফলে দলের মাঠপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। প্রার্থীদের অভিযোগ, নামেই ‘জাতীয় পার্টি’ কিন্তু কামে ছিল না। জেলার নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় আসেননি। কিন্তু সরকারি দলের নেতারা মাঠপর্যায়ে প্রচারণায় নেমেছিলেন। দলের এমনিতেই নাজুক অবস্থা। সেই সঙ্গে উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় নির্বাচনে দলের সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় ও জাপা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মদাতী ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জাপার দলীয় প্রতীক লাঙল নিয়ে নির্বাচন করে দলটির ইউনিয়ন আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৮৭টি। দলগ্রাম ইউপিতে নির্বাচন করেন ওই ইউনিয়নের জাপার সভাপতি মো. জাহিদ হাসান। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৮০টি। চলবলা ইউপিতে নির্বাচন করেন ইউনিয়ন জাপার আহ্বায়ক মো. আব্দুল আলিম, ভোট পেয়েছেন ১২৩টি। কাকিনা ইউপিতে জাপার প্রার্থী ইউনিয়ন জাপার সদস্য মো. হায়দার আলী। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৯৩ এবং তুষভান্ডার ইউপিতে নির্বাচন করেছেন দলটির উপজেলা কমিটির সদস্য মাসুদ রানা। তিনিই একমাত্র ৪ অঙ্কের ঘরে গিয়ে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ২২৪টি।

জাপার এমন ভরাডুবিতে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘদিন ধরে দলটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতা, মাঠপর্যায়ে ঘর না গুছিয়ে হঠাৎ নির্বাচনে আসায় এমন ভরাডুবি হয়েছে জাতীয় পার্টির। এ ছাড়া দলটিকে আর কেউ বিশ্বাস করতে চায় না বলে নির্বাচনে এখন একের পর এক পরাজয় ঘটছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার স্থানীয় এক নেতা তৃণমূলের এই নির্বাচনে দলের ভরাডুবির কারণ হিসেবে মনে করেন এখানকার জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মীদের খোঁজখবর রাখেন না। যাঁরা উপজেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা বিভিন্ন কারণে অর্থনৈতিক সংকটে আছেন। এসব কারণেই দিন দিন দলটির জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে এবং তা এখন প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।

তুষভান্ডার ইউপি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির পরাজিত প্রার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘দলের এমন নাজুক অবস্থায় আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। আমাদের পরাজয় হলেও ইউপি নির্বাচন ঘিরে আমরা দলের কর্মীদের কাছে পেয়েছি। জেলা পর্যায়ে দলের পক্ষ থেকে যদি এই নির্বাচনে কিছুটা ভূমিকা নেওয়া হতো, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারতাম।

কালীগঞ্জ উপজেলা জাপার সভাপতি শাহ সুলতানা নাসিরুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয়ে কারিশমা করেছে, আর ৩১ বছর ধরে জাপা ক্ষমতার বাইরে। দলে নেতৃত্বের সংকট আছে।’

কালীগঞ্জে ৮ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৩টি ও বিদ্রোহী প্রার্থী ২টিতে এবং স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী ২টিতে জয়ী হয়েছেন। বাকি ১টিতে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী সমান ভোট পাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী দুই প্রার্থীর মধ্যে আবারও ভোট হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

১০-১২তম গ্রেডে নিয়োগ: প্রতি পদের বিপরীতে দুজন থাকবেন অপেক্ষমাণ

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

মধুপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে জুতাপেটা

র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে হচ্ছে নতুন আইন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত