ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ

কালিহাতী উপজেলা ও পৌরসভা, এলেঙ্গা পৌর, সরকারি শামসুল হক কলেজ ও শাহজাহান সিরাজ কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার মগড়া বাজারে উপজেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নুরুল ইসলামের দোকানের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।

এ সময় নুরুল ইসলামের ওষুধের দোকান ভাঙচুর করে ছাত্রদলের অপর পক্ষ। এতে আহত হন নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান আকন্দ ও কর্মী নজরুল ইসলাম এবং উপজেলা শাখার আহ্বায়ক শেখ মো. আমিনুর ইসলামসহ রকিব মোল্লা, সাজ্জাদ ও নিয়ামুল।

অপর দিকে সংঘর্ষের পরপরই কমিটি বাতিলের দাবিতে এলেঙ্গায় বিক্ষোভ করে ছাত্রদলের অপর পক্ষ। মিছিলের পর সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা। এ সময় অছাত্র, বিবাহিত ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে উপজেলার পাঁচটি ইউনিটে ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের অভিযোগ করেন তাঁরা। এই কমিটি বাতিল করা না হলে আরও কঠিন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শেখ মো. আমিনুর ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফ মোল্লা, মমিন মিয়া, এলেঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্যসচিব মো. রকিব মোল্লা প্রমুখ।

এ সংঘর্ষের বিষয়ে সদ্য ঘোষিত উপজেলা আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘সোমবার বিকেলে উপজেলার মগড়া বাজারে আমার ওষুধের দোকানে আমিসহ দুজনের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এ সময় দোকানের আসবাব ভাঙচুর করা হয়। আহত হন যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান আকন্দ ও কর্মী নজরুল ইসলাম। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। উপজেলা বিএনপির নেতাদের পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শেখ মো. আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘তাঁরা সকালে দশকিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সজীবের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি করেন। পরে কয়েকজন একত্র হয়ে তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে বিকেলে আমরা তাঁকে দেখতে যাই। ফেরার পথে নুরুল ইসলামের দোকানের সামনে তাঁদের সঙ্গে দেখা হলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আমাদের কয়েকজন মারাত্মক আহত হয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। দলের সবার পরামর্শে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজনু বলেন, ‘কমিটি গঠনে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শেখ মো. আমিনুর ইসলাম কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে নুরুল ইসলামের দোকানে হামলা করে। জেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছু জানি না। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জানা গেছে, গত রোববার রাতে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় ও সদস্যসচিব আব্দুল বাতেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপজেলা, পৌর ও এলেঙ্গা পৌর এবং সরকারি শামসুল হক ও শাহজাহান সিরাজ কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ঘোষণা করা হয়।