জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা (গাইবান্ধা)
গাইবান্ধার সাঘাটার মাঝিপাড়া গ্রামের জ্যোসনা চন্দ্র দাস। চার দশক ধরে যমুনা নদীতে মুঠো জাল দিয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করেন। এ দিয়ে তাঁর পাঁচ সদস্যের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন; কিন্তু কয়েক বছর ধরে নদীতে আর তেমন মাছ মিলছে না। সারা দিন নদী ও খাল-বিলে জাল ফেলেও ২০০-৩০০ টাকার মাছও ধরা না পাড়ায় অর্থকষ্টে পড়েন তিনি। তাঁর মতো একই অবস্থা মাঝিপাড়ার বলরাম, নিপেন, কার্তিকসহ অর্ধশত জেলে পরিবারের।
জানা যায়, বংশপরম্পরায় এসব প্রাকৃতিক উৎস নদী ও খাল-বিল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন উপজেলার প্রায় দুই হাজার জেলে। বর্তমানে মৎস্যজীবী পরিবারের সংখ্যা শ তিনেকের বেশি হবে না। কারণ নদী বা খাল-বিলের ওপর নির্ভর করে এখন সংসার চালানো কঠিন। তাই এই পেশা ছেড়ে জেলেরা ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন।
একই কথা জানান সাঘাটা মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য মোংলা চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, মুক্ত জলাশয় এখন আর মুক্ত নেই, স্থানীয় প্রভাবশালীরা খাল-বিল দখল করে মাছ নিধন করছেন। যার ফলে মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরা পেশার সঙ্গে সম্পৃক্তরা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
উপজেলার ঝাড়া বর্ষা গ্রামের বিপুল চন্দ্র দাস জানান, নদীতে মাছ ধরে আর সংসার চলে না। স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন ধরনের জাল কিনে নদীতে মাছ ধরছে। ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে মাছের পরিমাণ। এ কারণে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মাছ ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়েছেন। এতে সংসারের অভাব-অনটন কিছুটা কমেছে বলে জানান তিনি।
সাঘাটা উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, নদীর নাব্য সংকটে মাছের আবাসস্থল আর নেই। আর এর প্রভাব পড়েছে মৎস্যজীবী জেলে পরিবারগুলোতে। এসব পরিবারের অনেকেই ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের জীবন-জীবিকার উন্নয়নে সরকারকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, এসব পরিবারের লোকজনের কোনো আর্থিক সামর্থ্য, সঞ্চয় ও ভিন্ন কর্মদক্ষতা না থাকায় কষ্টেসৃষ্টে জীবনযাপন করছেন।
তিনি মনে করেন, সময়ের বিবর্তনে এসব পরিবারের জীবন-জীবিকার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য তিনি জেলে পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ও যুবকদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে আয় উপার্জনমূলক কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
গাইবান্ধার সাঘাটার মাঝিপাড়া গ্রামের জ্যোসনা চন্দ্র দাস। চার দশক ধরে যমুনা নদীতে মুঠো জাল দিয়ে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করেন। এ দিয়ে তাঁর পাঁচ সদস্যের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন; কিন্তু কয়েক বছর ধরে নদীতে আর তেমন মাছ মিলছে না। সারা দিন নদী ও খাল-বিলে জাল ফেলেও ২০০-৩০০ টাকার মাছও ধরা না পাড়ায় অর্থকষ্টে পড়েন তিনি। তাঁর মতো একই অবস্থা মাঝিপাড়ার বলরাম, নিপেন, কার্তিকসহ অর্ধশত জেলে পরিবারের।
জানা যায়, বংশপরম্পরায় এসব প্রাকৃতিক উৎস নদী ও খাল-বিল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন উপজেলার প্রায় দুই হাজার জেলে। বর্তমানে মৎস্যজীবী পরিবারের সংখ্যা শ তিনেকের বেশি হবে না। কারণ নদী বা খাল-বিলের ওপর নির্ভর করে এখন সংসার চালানো কঠিন। তাই এই পেশা ছেড়ে জেলেরা ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন।
একই কথা জানান সাঘাটা মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য মোংলা চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, মুক্ত জলাশয় এখন আর মুক্ত নেই, স্থানীয় প্রভাবশালীরা খাল-বিল দখল করে মাছ নিধন করছেন। যার ফলে মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরা পেশার সঙ্গে সম্পৃক্তরা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
উপজেলার ঝাড়া বর্ষা গ্রামের বিপুল চন্দ্র দাস জানান, নদীতে মাছ ধরে আর সংসার চলে না। স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন ধরনের জাল কিনে নদীতে মাছ ধরছে। ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে মাছের পরিমাণ। এ কারণে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মাছ ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়েছেন। এতে সংসারের অভাব-অনটন কিছুটা কমেছে বলে জানান তিনি।
সাঘাটা উপজেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, নদীর নাব্য সংকটে মাছের আবাসস্থল আর নেই। আর এর প্রভাব পড়েছে মৎস্যজীবী জেলে পরিবারগুলোতে। এসব পরিবারের অনেকেই ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের জীবন-জীবিকার উন্নয়নে সরকারকে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, এসব পরিবারের লোকজনের কোনো আর্থিক সামর্থ্য, সঞ্চয় ও ভিন্ন কর্মদক্ষতা না থাকায় কষ্টেসৃষ্টে জীবনযাপন করছেন।
তিনি মনে করেন, সময়ের বিবর্তনে এসব পরিবারের জীবন-জীবিকার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য তিনি জেলে পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ও যুবকদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে আয় উপার্জনমূলক কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪