Ajker Patrika

সেতু নেই, নদ পারাপারে ভরসা বাঁশের সাঁকো

হারুনুর রশিদ, রায়পুরা
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ০৫
সেতু নেই, নদ পারাপারে ভরসা বাঁশের সাঁকো

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ ইউনিয়নের রাধাগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আড়িয়াল খাঁ নদের ওপর সেতু নেই। তাই শিবপুর ও রায়পুরার অন্তত ১২ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ইজারাদারের নির্মিত বাঁশের সাঁকো। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দ্রুত এখানে সেতু নির্মাণ করা হোক। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, এখানে সেতু নির্মাণের জন্য সমীক্ষা, সয়েল টেস্ট এবং ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হয়েছে।

বর্তমানে সেতুর প্রকল্পটি প্ল‍্যানিং কমিশনে আছে। সেখান থেকে পাস হওয়ার পর ড্রয়িং ডিজাইন হবে। এরপর দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রাধাগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর রয়েছে বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকোতে নদী পারাপার করছে সাধারণ মানুষ। পাকা সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে নৌকায় এবং শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোতে প্রতিনিয়ত শিবপুর ও রায়পুরা উপজেলার রাধাগঞ্জ, নয়াচর, মাকাল্লা, কামালপুর, লেটারবর, সৃষ্টিগর, সৈকারচর, জানখারটেক, কাজিয়ারা, চৈতান‍্যাসহ অন্তত ১২টি গ্রামের মানুষের নদী পার হতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাধাগঞ্জ বাজারে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে। হাটে দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষ সাঁকো পার হতে নানা ভোগান্তির শিকার হয়। সাঁকোর পাশেই রয়েছে নয়াচর উম্মুল কুরা ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা। সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করে। তা ছাড়া যান চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় অসুস্থদের নিয়ে নদী পারাপার করতে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে বাজারে আসা মানুষেরা। এখানে প্রতিবছর ইজারাদার নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। তাই প্রতিবার সাঁকোটি পারাপারের সময় জনপ্রতি পাঁচ টাকা ভাড়া দিতে হয়। বর্ষায় নৌকায় এবং শুকনায় সেই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে টাকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। তাই বর্ষাকালে নৌকাডুবি, শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে।

উপজেলা প্রকৌশলী শামীম ইকবাল মুন্না বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের জন্য সমীক্ষা, সয়েল টেস্ট এবং ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিয়ের অনুমোদনের জন্য কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। নদীটি খ শ্রেণির, তাই এখনো ক্লিয়ারেন্স পাইনি। পাশে বড় বাজার রয়েছে। রাস্তা ও জায়গা নিয়ে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া একটু দীর্ঘ হতে পারে। বর্তমানে সেতুর প্রকল্পটি প্ল্যানিং কমিশনে আছে। সেখান থেকে পাস হওয়ার পর ড্রয়িং ডিজাইন হবে। এরপর দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত