Ajker Patrika

পৌর ভোটে ‘সমর্থন- বাণিজ্যের’ অভিযোগ পটুয়াখালী আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১: ৩৪
পৌর ভোটে ‘সমর্থন- বাণিজ্যের’ অভিযোগ পটুয়াখালী আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে

পৌরসভা নির্বাচনের আগে পটুয়াখালীতে এক প্রার্থীর পক্ষে সভা করে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, ওই প্রার্থীকে সমর্থন দিতে টাকা নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ২৪ জানুয়ারি বিভিন্ন পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্বাচন এবার দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না।

এরপর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দল থেকে কাউকে সমর্থন দেওয়া হবে না। নেতা-কর্মীরা তাঁদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবেন। তবে কাজী আলমগীর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র শফিকুল ইসলামকে নিয়ে সভা করে সমর্থন দেওয়ায় এ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। 

আগামী ৯ মার্চ পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রচার শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের আরও দুই নেতা। তাঁরা হলেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ও পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনায়েত হোসেন। 

তবে এই দুই নেতা সভাপতির কোনো আনুকূল্য পাচ্ছেন না। গত শনিবার হঠাৎ সভা ডেকে মেয়র নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। সভায় কাজী আলমগীর বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে যে আলোচনা হয়, সে আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা এই জরুরি সভা ডেকেছি। অনেক অনেক বক্তব্য দিয়েছেন এবং সময় ক্ষেপণ না করে আমি পার্টির প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিগত নির্বাচনের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং দলের সবার সম্মতিক্রমে শফিকুল ইসলামকে সমর্থন দিচ্ছি।’ 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির এই বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নানক ভাই (আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক), বাহাউদ্দিন নাছিম ভাই (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম) এবং পার্টির সাধারণ সম্পাদক (ওবায়দুল কাদের) মিডিয়ার মাধ্যমে বলল, দল থেকে কাউকে সমর্থন দেবে না। সে ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কীভাবে দেয়, আমরা হতাশ। তার এই বক্তব্যে নেতা-কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।’ 

শফিকুল ইসলামকে সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন দলটির নেতা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, বড় ধরনের আর্থিক বিনিময়ে তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন।’ 

এ প্রসঙ্গে বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তাঁর (জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি) এই সিদ্ধান্ত কোনো নেতা-কর্মী মানে না, উল্টো তাঁর কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ 

তবে এ বিষয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তিনি সাড়া দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত