Ajker Patrika

নৌকা পেয়েও ফেরত দিতে চান আওয়ামী লীগ নেতা

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ১০
নৌকা পেয়েও ফেরত দিতে চান আওয়ামী লীগ নেতা

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াশিম রেজা চৌধুরী রাজা। আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েও ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে নিজের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত আবেদনও করেছেন রাজা। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাজার পরিবর্তে মোকামতলায় আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থী কে হচ্ছেন—তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

মনোনয়ন প্রত্যাহার চেয়ে রাজা চৌধুরীর আবেদন করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল। আল রাজী জানান, মোকামতলা ইউপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা থেকে কেন্দ্রে কয়েকজনের নাম পাঠানো হয়েছিল। রাজা চৌধুরী সরে দাঁড়ানোর পর নতুন করে কাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হবে কেন্দ্র সে সিদ্ধান্ত নেবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজা চৌধুরী সরে দাঁড়ানোর পর চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী হওয়ার জন্য নতুন করে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব সবুজ, জেলা পরিষদের সদস্য মারুফ রহমান মঞ্জু ও মোকামতলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল সরকার। দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নানাভাবে লবিং চালাচ্ছেন তাঁরা।

নৌকা পেয়েও রাজা কেন সরে দাঁড়ালেন—এ প্রশ্ন এখন স্থানীয়দের মুখে মুখে। কেউ বলছেন, পরাজিত হওয়ার ভয়ে সরে রাজা সরে দাঁড়িয়েছেন। কারও দাবি, চাপে পড়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চাইছেন তিনি। যদিও রাজা চৌধুরীর দাবি, নিতান্ত পারিবারিক কারণেই নির্বাচন করতে চাইছেন না। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমার আপন চাচাতো ভাই আওলাদ চৌধুরীও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তিনি পারিবারিকভাবে ওয়াদা করেছিলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু তিনি কথা রাখেননি। মনোনয়ন না পেয়েও তিনি ভোটে থাকছেন। আমার মনে হয়েছে, এক বাড়ি থেকে দুজন প্রার্থী হলে কেউ জিততে পারবেন না। আমি হেরে গেলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এর চেয়ে অন্য কেউ নৌকা নিয়ে ভোট করলেই ভালো। যিনি দলীয় প্রার্থী হবেন আমি তাঁর পক্ষেই কাজ করব।’

তবে রাজা চৌধুরীর এমন দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন তাঁর চাচাতো ভাই আওলাদ চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘রাজা নৌকা পেলে ভোটে দাঁড়াব না—এমন কোনো ওয়াদা করিনি। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে বসাও হয়নি। গত নির্বাচনেও রাজা আমার বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন।’ আওলাদ আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে আমার বাবা বাদশাহ চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন। এরপর আমিও করছি। ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াটা আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের অংশ। ভোটের এই লড়াই উপভোগ করি। তাই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।’

রাজা চৌধুরীর সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা বলেন, ‘তিনি (রাজা) পারিবারিক কারণে সরে দাঁড়াতে চান। এ ব্যাপারে দলীয়ভাবে বলার কিছু নেই। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই তার পক্ষেই কাজ করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হোলি আর্টিজানের ঘটনায় ‘জঙ্গি সন্দেহে’ আটক ছিলেন অনিন্দ্য, রাজশাহীর সাবেক মেয়র লিটনের চাচাতো ভাই তিনি

রাবির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নিয়ম ভঙ্গের জন্য ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার, জানতে চান ১৬২ নাগরিক

টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি পেছাল, পাবে ৫ কোটি শিশু-কিশোর

রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত