তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা
পীরগাছা উপজেলার প্রতিপাল গ্রামের বুড়াইল নদীর ওপর জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বিকল্প উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের ভাঙা সাঁকো দিয়েই পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, স্বাধীনতার পর থেকে সেতু নির্মাণের বিষয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবায়ন আলোর মুখ দেখেনি। দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই দিন পার করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের প্রতিপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-পরান সড়কের বুড়াইল নদীর ওপর স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি। গ্রামবাসী চাঁদা তুলে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করেন। নড়বড়ে সাঁকো দিয়েই চলাচল করছেন উপজেলার পরান, ব্রাহ্মণীকুণ্ডা, পশ্চিমদেবু, শালমারা, আদম, পাওটানা, কামারপাড়াসহ ১০ গ্রামের মানুষ। এতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়াও দুই পাড়ের ফসলি মাঠে উৎপাদিত ফসল পরিবহনে ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষকদের। ২০১৮ সালে প্রতিপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সাঁকো পার হওয়ার সময় পা ফসকে পানিতে পড়ে যায়। পরে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তার পরও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ছোট ছোট শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে। সাঁকোতে কেউ উঠলেই সেটি দুলতে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম, করিম মিয়া, হোসেন আলী জানান, সাঁকো দিয়ে চলাচল করা কষ্টসাধ্য। ফসল পরিবহনে কৃষকদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বৃদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, ‘বুঝ হওয়ার পর থেকেই এ অবস্থা দেখে আসছি। বেশ কয়েক বার মাপজোক করা হলেও সেতু হয়নি।’
প্রতিপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেরামত আলী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পাশে সাঁকোটি। শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকতে হয় অভিভাবকদের। সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সাঁকোর কারণে অনেকেই স্কুল ছেড়ে চলে গেছে।’
জানতে চাইলে তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগেকার চেয়ারম্যানরা ওটা করে যেতে পারেনি। আমার মেয়াদে ওই স্থানে সেতু নির্মাণের বিষয়ে সর্বাত্মক গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্থানীয় সাংসদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবগত আছেন।’
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের বিষয়ে কাগজপত্র ঠিক করে অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’
পীরগাছা উপজেলার প্রতিপাল গ্রামের বুড়াইল নদীর ওপর জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বিকল্প উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের ভাঙা সাঁকো দিয়েই পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, স্বাধীনতার পর থেকে সেতু নির্মাণের বিষয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবায়ন আলোর মুখ দেখেনি। দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই দিন পার করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের প্রতিপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-পরান সড়কের বুড়াইল নদীর ওপর স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি। গ্রামবাসী চাঁদা তুলে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করেন। নড়বড়ে সাঁকো দিয়েই চলাচল করছেন উপজেলার পরান, ব্রাহ্মণীকুণ্ডা, পশ্চিমদেবু, শালমারা, আদম, পাওটানা, কামারপাড়াসহ ১০ গ্রামের মানুষ। এতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়াও দুই পাড়ের ফসলি মাঠে উৎপাদিত ফসল পরিবহনে ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষকদের। ২০১৮ সালে প্রতিপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সাঁকো পার হওয়ার সময় পা ফসকে পানিতে পড়ে যায়। পরে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তার পরও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ছোট ছোট শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে। সাঁকোতে কেউ উঠলেই সেটি দুলতে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম, করিম মিয়া, হোসেন আলী জানান, সাঁকো দিয়ে চলাচল করা কষ্টসাধ্য। ফসল পরিবহনে কৃষকদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বৃদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, ‘বুঝ হওয়ার পর থেকেই এ অবস্থা দেখে আসছি। বেশ কয়েক বার মাপজোক করা হলেও সেতু হয়নি।’
প্রতিপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেরামত আলী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পাশে সাঁকোটি। শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকতে হয় অভিভাবকদের। সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সাঁকোর কারণে অনেকেই স্কুল ছেড়ে চলে গেছে।’
জানতে চাইলে তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগেকার চেয়ারম্যানরা ওটা করে যেতে পারেনি। আমার মেয়াদে ওই স্থানে সেতু নির্মাণের বিষয়ে সর্বাত্মক গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্থানীয় সাংসদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবগত আছেন।’
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের বিষয়ে কাগজপত্র ঠিক করে অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪