Ajker Patrika

সেতু হচ্ছে না, ভরসা সাঁকো

তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৪৭
সেতু হচ্ছে না, ভরসা  সাঁকো

পীরগাছা উপজেলার প্রতিপাল গ্রামের বুড়াইল নদীর ওপর জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকোটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। বিকল্প উপায় না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের ভাঙা সাঁকো দিয়েই পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, স্বাধীনতার পর থেকে সেতু নির্মাণের বিষয়ে বারবার প্রতিশ্রুতি মিললেও বাস্তবায়ন আলোর মুখ দেখেনি। দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই দিন পার করছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের প্রতিপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-পরান সড়কের বুড়াইল নদীর ওপর স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সেতু নির্মাণ করা হয়নি। গ্রামবাসী চাঁদা তুলে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করেন। নড়বড়ে সাঁকো দিয়েই চলাচল করছেন উপজেলার পরান, ব্রাহ্মণীকুণ্ডা, পশ্চিমদেবু, শালমারা, আদম, পাওটানা, কামারপাড়াসহ ১০ গ্রামের মানুষ। এতে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়াও দুই পাড়ের ফসলি মাঠে উৎপাদিত ফসল পরিবহনে ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষকদের। ২০১৮ সালে প্রতিপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সাঁকো পার হওয়ার সময় পা ফসকে পানিতে পড়ে যায়। পরে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। কিন্তু তার পরও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, ছোট ছোট শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হচ্ছে। সাঁকোতে কেউ উঠলেই সেটি দুলতে থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম, করিম মিয়া, হোসেন আলী জানান, সাঁকো দিয়ে চলাচল করা কষ্টসাধ্য। ফসল পরিবহনে কৃষকদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বৃদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, ‘বুঝ হওয়ার পর থেকেই এ অবস্থা দেখে আসছি। বেশ কয়েক বার মাপজোক করা হলেও সেতু হয়নি।’

প্রতিপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেরামত আলী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পাশে সাঁকোটি। শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়। শিশুদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকতে হয় অভিভাবকদের। সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। সাঁকোর কারণে অনেকেই স্কুল ছেড়ে চলে গেছে।’

জানতে চাইলে তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগেকার চেয়ারম্যানরা ওটা করে যেতে পারেনি। আমার মেয়াদে ওই স্থানে সেতু নির্মাণের বিষয়ে সর্বাত্মক গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্থানীয় সাংসদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবগত আছেন।’

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতু নির্মাণের বিষয়ে কাগজপত্র ঠিক করে অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত