চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে সন্ধ্যার পর থেকে চলছে মশার উপদ্রব। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। গত দুই সপ্তাহে উপদ্রব আরও বেড়েছে। তবে পৌরসভা ধারাবাহিকভাবে তাদের মশকনিধন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও পুরোপুরি সুফল পাচ্ছেন না বাসিন্দারা।
পৌরবাসী বলছেন, পৌরসভা থেকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়। তা-ও নিয়মিত নয়। ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাঁদের। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, তাঁরা নিয়মিত মশকনিধন অভিযান চালাচ্ছেন।
শহরের কল্যাণপুর, আলীনগর, আজাইপুর, রামকৃষ্টপুর, পিটিআই, বালুবাগান, দক্ষিণচরাগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মশার উপদ্রবে রাতে কাজকর্ম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিকেল থেকে দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও নিস্তার মিলছে না। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন অভিভাবকেরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মধ্যে অধিকাংশ ড্রেনে পানিপ্রবাহ নেই। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ময়লা-আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে গেছে ড্রেনগুলো। শহরের অধিকাংশ নালা ও ড্রেনের সংস্কারকাজ চলছে। ফলে বেড়েছে নাগরিক ভোগান্তি। অন্যদিকে সময়মতো রাস্তাঘাট ও খোলা জায়গা থেকে ময়লা তুলে না নেওয়ায় বাড়ছে মশার উৎপাত। শহরের অধিকাংশ সড়কের পাশের ড্রেন ও নালার ময়লা তুলে সড়কে রাখায় পুরো শহর উন্মুক্ত ভাগাড়ের শহর মনে হচ্ছে। এসব ড্রেন মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, যত্রতত্র ময়লার ভাগাড় তৈরি করে মশার কারখানা বানিয়েছে পৌরসভা। অপরিকল্পিত ড্রেনগুলোতে পানি জমে মশার প্রজনন হচ্ছে, এর দায় পৌরসভার।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মশিউর রহমান বলেন, তাঁর এলাকায় ডাস্টবিন নেই। রাস্তার ধারে ফেলতে হয় ময়লা-আবর্জনা। ড্রেনগুলোতে পানির প্রবাহ নেই। দীর্ঘদিন জমে থাকা পানিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, তাতে দুর্গন্ধের সঙ্গে বাড়ছে মশাও। গত এক মাস থেকে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। তিনি পৌরসভার কোনো মশকনিধন কার্যক্রম দেখেননি।
পৌর এলাকার পিটিআই মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা ফারিহা খান বলেন, এই এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি। এটি একটি অভিজাত এলাকা। সে হিসেবে তিনি আশা করেছিলেন হয়তো মশার উপদ্রব থেকে স্বস্তি পাবেন। কিন্তু তা থেকে স্বস্তি মেলেনি।
নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মশার উৎপাত বা ময়লা-আবর্জনার বিষয় নিয়ে আলোচনা হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশকনিধনে অভিযান পরিচালনা করে পৌরসভা। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে কয়েক দিনের অভিযান পরিচালনা করে খুব বেশি লাভ হয় না। সারা বছরই মশকনিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে।
১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আহম্মেদ রঞ্জু বলেন, গত রোববার থেকে তাঁর ওয়ার্ডে মশকনিধন অভিযান চালানো হচ্ছে। এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। এতে মশার উপদ্রব কমে আসবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. জিয়াউর রহমান আরমান বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে মশকনিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মশকনিধনকর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন এবং হ্যান্ডস্প্রে দিয়ে ওষুধ ছিটাচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ির আঙিনাসহ ড্রেন, জলাশয় ও নর্দমায় ওষুধ ছিটাচ্ছেন। এতে মশার প্রকোপ কমে আসার পাশাপাশি বংশবিস্তার রোধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে সন্ধ্যার পর থেকে চলছে মশার উপদ্রব। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। গত দুই সপ্তাহে উপদ্রব আরও বেড়েছে। তবে পৌরসভা ধারাবাহিকভাবে তাদের মশকনিধন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও পুরোপুরি সুফল পাচ্ছেন না বাসিন্দারা।
পৌরবাসী বলছেন, পৌরসভা থেকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়। তা-ও নিয়মিত নয়। ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তাঁদের। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, তাঁরা নিয়মিত মশকনিধন অভিযান চালাচ্ছেন।
শহরের কল্যাণপুর, আলীনগর, আজাইপুর, রামকৃষ্টপুর, পিটিআই, বালুবাগান, দক্ষিণচরাগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা বলেন, মশার উপদ্রবে রাতে কাজকর্ম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিকেল থেকে দরজা-জানালা বন্ধ রেখেও নিস্তার মিলছে না। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন অভিভাবকেরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মধ্যে অধিকাংশ ড্রেনে পানিপ্রবাহ নেই। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ময়লা-আবর্জনা জমে ভরাট হয়ে গেছে ড্রেনগুলো। শহরের অধিকাংশ নালা ও ড্রেনের সংস্কারকাজ চলছে। ফলে বেড়েছে নাগরিক ভোগান্তি। অন্যদিকে সময়মতো রাস্তাঘাট ও খোলা জায়গা থেকে ময়লা তুলে না নেওয়ায় বাড়ছে মশার উৎপাত। শহরের অধিকাংশ সড়কের পাশের ড্রেন ও নালার ময়লা তুলে সড়কে রাখায় পুরো শহর উন্মুক্ত ভাগাড়ের শহর মনে হচ্ছে। এসব ড্রেন মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, যত্রতত্র ময়লার ভাগাড় তৈরি করে মশার কারখানা বানিয়েছে পৌরসভা। অপরিকল্পিত ড্রেনগুলোতে পানি জমে মশার প্রজনন হচ্ছে, এর দায় পৌরসভার।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মশিউর রহমান বলেন, তাঁর এলাকায় ডাস্টবিন নেই। রাস্তার ধারে ফেলতে হয় ময়লা-আবর্জনা। ড্রেনগুলোতে পানির প্রবাহ নেই। দীর্ঘদিন জমে থাকা পানিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, তাতে দুর্গন্ধের সঙ্গে বাড়ছে মশাও। গত এক মাস থেকে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। তিনি পৌরসভার কোনো মশকনিধন কার্যক্রম দেখেননি।
পৌর এলাকার পিটিআই মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা ফারিহা খান বলেন, এই এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি। এটি একটি অভিজাত এলাকা। সে হিসেবে তিনি আশা করেছিলেন হয়তো মশার উপদ্রব থেকে স্বস্তি পাবেন। কিন্তু তা থেকে স্বস্তি মেলেনি।
নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, মশার উৎপাত বা ময়লা-আবর্জনার বিষয় নিয়ে আলোচনা হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশকনিধনে অভিযান পরিচালনা করে পৌরসভা। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে কয়েক দিনের অভিযান পরিচালনা করে খুব বেশি লাভ হয় না। সারা বছরই মশকনিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে।
১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আহম্মেদ রঞ্জু বলেন, গত রোববার থেকে তাঁর ওয়ার্ডে মশকনিধন অভিযান চালানো হচ্ছে। এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। এতে মশার উপদ্রব কমে আসবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. জিয়াউর রহমান আরমান বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে মশকনিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মশকনিধনকর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ফগার মেশিন এবং হ্যান্ডস্প্রে দিয়ে ওষুধ ছিটাচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়ির আঙিনাসহ ড্রেন, জলাশয় ও নর্দমায় ওষুধ ছিটাচ্ছেন। এতে মশার প্রকোপ কমে আসার পাশাপাশি বংশবিস্তার রোধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫