শরিফুল আলম রাসেল, তারাকান্দা
তারাকান্দায় ধানখেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি। ধানি জমিতে গাছের ডাল, খুঁটি ও বাঁশের কঞ্চি পুঁতে তৈরি করা হচ্ছে পার্চিং। এর ওপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। এ পদ্ধতি ফসলের পোকা দমনের কম ব্যয়ের এবং পরিবেশবান্ধব বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এ পদ্ধতিতে ফসলের উৎপাদন খরচ ও কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাওয়ায় এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উপজেলার কৃষকদের মাঝে। অনেক কৃষক বোরো ফসলের খেতে কীটনাশক ব্যবহার বাদ দিয়ে পোকা দমনে সহজ ও লাভজনক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবার ২১ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকেরা।
বর্তমানে তাঁদের রোপণকৃত ধানগাছ বড় হচ্ছে। এখন সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। আর এ ধানের গাছ কৃষকদের মনে এনে দিয়েছে প্রশান্তি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পার্চিং সাধারণত দুই ধরনের হয়। ডেড পার্চিং ও লাইভ পার্চিং। মরা ডালপালা পুঁতে দিলে তা হবে ডেড পার্চিং। আর জীবন্ত ধইঞ্চার ডাল জমিতে পুঁতে দিলে তা হবে লাইভ পার্চিং। কৃষকেরা তাঁদের বোরো ফসলের খেত ক্ষতিকারক পোকা থেকে রক্ষার জন্য বাঁশের আগা, কঞ্চি, গাছের ডাল পুঁতে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষা করেছেন।
এসব ব্যবহারে শালিক, বুলবুলি, দোয়েলসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি খেতের পার্চিংয়ের ওপরে বসে। সেখান থেকে উড়ে উড়ে গিয়ে ক্ষতিকারক পোকা ও পোকার ডিম খেয়ে ফেলে। এর ফলে কীটনাশক ছাড়াই পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছগুলো রক্ষা পাচ্ছে। এ ছাড়া পরিবেশের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ধান উৎপাদনও বাড়ছে।
খিচা গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমান জানান, তাঁদের জমিতে ধান সবুজ এবং সতেজ হয়েছে। তাঁরা সম্পূর্ণ খেতে পার্চিং পদ্ধতি করেছেন। বিঘাপ্রতি বোরো ধানের খেতে ছয়টি ছোট ডাল ও বাঁশের কঞ্চি পুঁতে দিয়েছেন। শালিক, বুলবুলি, দোয়েলসহ বিভিন্ন পাখি ওই ডালে বসে খেতের ক্ষতিকর পোকা ধরে খেয়ে ফেলছে।
এই কৃষক বলেন, এ পদ্ধতির ফলে ফসল উৎপাদনের খরচ কম হচ্ছে এবং কীটনাশক ব্যবহার অনেক কমে গেছে। এতে তাঁরা খুব উপকৃত হচ্ছেন বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, পোকা দমনে শুধু কীটনাশকে ভরসা করায় কৃষকদের উৎপাদনের খরচ একটু বেশি হয়। এখন পার্চিং পদ্ধতিতে কৃষকদের খরচ কমছে। এ ছাড়া এ পদ্ধতি বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখছে। সেই সঙ্গে জৈব সার হিসেবে পাখির বিষ্ঠা পড়ে জমির উর্বরতা বাড়ছে।’
তারাকান্দায় ধানখেতে পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি। ধানি জমিতে গাছের ডাল, খুঁটি ও বাঁশের কঞ্চি পুঁতে তৈরি করা হচ্ছে পার্চিং। এর ওপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফেলে। এ পদ্ধতি ফসলের পোকা দমনের কম ব্যয়ের এবং পরিবেশবান্ধব বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এ পদ্ধতিতে ফসলের উৎপাদন খরচ ও কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাওয়ায় এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে উপজেলার কৃষকদের মাঝে। অনেক কৃষক বোরো ফসলের খেতে কীটনাশক ব্যবহার বাদ দিয়ে পোকা দমনে সহজ ও লাভজনক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবার ২১ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকেরা।
বর্তমানে তাঁদের রোপণকৃত ধানগাছ বড় হচ্ছে। এখন সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ। আর এ ধানের গাছ কৃষকদের মনে এনে দিয়েছে প্রশান্তি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পার্চিং সাধারণত দুই ধরনের হয়। ডেড পার্চিং ও লাইভ পার্চিং। মরা ডালপালা পুঁতে দিলে তা হবে ডেড পার্চিং। আর জীবন্ত ধইঞ্চার ডাল জমিতে পুঁতে দিলে তা হবে লাইভ পার্চিং। কৃষকেরা তাঁদের বোরো ফসলের খেত ক্ষতিকারক পোকা থেকে রক্ষার জন্য বাঁশের আগা, কঞ্চি, গাছের ডাল পুঁতে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষা করেছেন।
এসব ব্যবহারে শালিক, বুলবুলি, দোয়েলসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি খেতের পার্চিংয়ের ওপরে বসে। সেখান থেকে উড়ে উড়ে গিয়ে ক্ষতিকারক পোকা ও পোকার ডিম খেয়ে ফেলে। এর ফলে কীটনাশক ছাড়াই পোকার আক্রমণ থেকে ধানগাছগুলো রক্ষা পাচ্ছে। এ ছাড়া পরিবেশের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ধান উৎপাদনও বাড়ছে।
খিচা গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমান জানান, তাঁদের জমিতে ধান সবুজ এবং সতেজ হয়েছে। তাঁরা সম্পূর্ণ খেতে পার্চিং পদ্ধতি করেছেন। বিঘাপ্রতি বোরো ধানের খেতে ছয়টি ছোট ডাল ও বাঁশের কঞ্চি পুঁতে দিয়েছেন। শালিক, বুলবুলি, দোয়েলসহ বিভিন্ন পাখি ওই ডালে বসে খেতের ক্ষতিকর পোকা ধরে খেয়ে ফেলছে।
এই কৃষক বলেন, এ পদ্ধতির ফলে ফসল উৎপাদনের খরচ কম হচ্ছে এবং কীটনাশক ব্যবহার অনেক কমে গেছে। এতে তাঁরা খুব উপকৃত হচ্ছেন বলে জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, পোকা দমনে শুধু কীটনাশকে ভরসা করায় কৃষকদের উৎপাদনের খরচ একটু বেশি হয়। এখন পার্চিং পদ্ধতিতে কৃষকদের খরচ কমছে। এ ছাড়া এ পদ্ধতি বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে ভূমিকা রাখছে। সেই সঙ্গে জৈব সার হিসেবে পাখির বিষ্ঠা পড়ে জমির উর্বরতা বাড়ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪